Press "Enter" to skip to content

স্কটিশ চার্চের অধ্যাপিকা সমাজ সেবায় এ সি ভক্তি বেদান্ত মেমরিয়াল পুরষ্কার পেলেন….।

Spread the love

সায়ন দেবনাথ : কলকাতা, ২৬ মার্চ ২০২৩। উত্তর কলকাতার বাগমারি খালপাড় বস্তির গরিব ও পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েদের সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে শহরের ঐতিহ্যবাহী স্কটিস চার্চ কলেজ দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করে চলেছে। কলেজের অধ্যাপিকা ডক্টর মৌসুমী মান্নার নেতৃত্বে অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের সহযোগিতায় ফুটপাথে বসবাস করা এইসব ছেলেমেয়ে ‘সবুজ মন’ বা স্থানীয়দের ভাষায় ‘মাঠের স্কুলে’ পড়াশোনা, খেলাধূলা ও হাতের কাজ শিখে সাবলম্বী হয়েছে।
সমাজের এই সব সুবিধা থেকে বঞ্চিত শিশুদের জীবনে পরিবর্তন এনে তাদের জীবনে হাসি ফোঁটাতে অসামান্য অবদানের জন্য কলেজের অর্থনীতির অধ্যাপিকা ডঃ মৌসুমী মান্নাকে এই প্রথম ‘এ সি ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ মেমোরিয়াল পুরস্কার ২০২৩’ প্রদান করা হল।
স্কটিস চার্চ কলেজের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার তুলে দেন ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের ডিন ও ট্রাস্টি ডক্টর সুমন্ত রুদ্র।
উপস্থিত ছিলেন কলকাতার বিশপ রেভারেন্ড পরিতোষ ক্যানিং ও কলেজের অধ্যক্ষা ডক্টর মধুমঞ্জুরি মন্ডল, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার অধ্যাপক দেবাশীষ দাস সহ বিশিষ্টজন। কলেজের অধ্যক্ষা ডক্টর মধুমঞ্জুরি মন্ডল বলেন, গরিব ও পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েদের সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে আরো বেশি করে কাজ করতে চান তারা। এই কাজে সমাজের সকল স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।


ডক্টর সুমন্ত রুদ্র বলেন, গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মগুরু এবং ইসকন বা হরেকৃষ্ণ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা-আচার্য অভয়চরণ দে ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ ম্যাট্রিক পাস করে ১৯১৬ সালে উত্তর কলকাতার স্কটিস চার্চ কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকেই ১৯১৮ তে ইন্টার মিডিয়েট ও ১৯২০ সালে গ্র‍্যাজুয়েশন শেষ করেন। প্রভুপাদের সেই কলেজ জীবনের স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে স্কটিস চার্চ কলেজে ‘এ সি ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড’ সমাজ সেবার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্যে তারা তুলে দিতে পেরে খুবই আনন্দিত।

More from EducationMore posts in Education »
More from InternationalMore posts in International »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *