ডাঃ দীপালোক বন্দোপাধ্যায় : ৩ ডিসেম্বর, ২০২৩। পুরানো হায়দ্রাবাদ শহরে মুসি নদীর দক্ষিণে রয়েছে এই বিখ্যাত মিউজিয়াম ৷ আশ্চর্য হলাম একজন মাত্র শিল্প রসিক ব্যক্তির অসাধারন ব্যক্তিগত সংগ্রহ দেখে ৷ “সালার জং” মানে উজীর বা মন্ত্রী ৷ তৎকালীন পৃথিবীর অন্যতম ধনী হায়দ্রাবাদের
নিজামের প্রধানমন্ত্রী তৃতীয় সালার জং মীর ইউসুফ আলী খান চাকরিতে ইস্তাফা দিয়ে মন প্রাণ সঁপে দেন বিশ্বের সব দেশ থেকে নানারকম পেন্টিং , তৈজসপত্রাদি দ্রব্য সংগ্রহে ৷
অবিবাহিত এই মানুষটির সংগ্রহ দেখে অবাক হয়ে
গেলাম ! ঔরঙ্গজেবের তরোয়াল , নূরজাহানের ড্যাগার , জাহাঙ্গীর মদ পানের পেয়ালা , টিপু সুলতানের হাতির দাঁতের চেয়ার ৷ অবন ঠাকুর , রবি ভার্মার মত বিশিষ্টদের নামকরা ছবি ৷ ভারতীয় পুরাণ , ইতিহাস , সমাজের নানা কৃতি ৷
খেলনা , পুতুল, পান্ডুলিপি , পোর্সেলিনের বাসন , হরেক রকম
কোরানের সম্ভার , ইটালীয় ভাস্কর বেনজনির অবগুন্ঠিতা সুন্দরী রেবেকা , একদিকে পুরুষ ও অন্যদিকে নারী বা মেফিস্টোফেলিস মার্গারেট মূর্তি ইত্যাদি দেখে চোখ জুড়িয়ে গেল ৷ পেঁচামুখি ঘড়ি যার পা থেকে এক যুবক কাঁটা তুলছে ৷ প্রতি ঘন্টায় ঘড়ির শো দেখতে সামিয়ানায় চেয়ার পেতে বসে মানুষ দেখছে ৷এখানে রয়েছে চীন , জাপান ও
মায়ানমারের আলাদা আলাদা হল ৷ সালার জং এর মৃত্যুর পর নেহেরু ১৯৫১ সালে এটিকে জাতীয় সংগ্রহশালা করে দিয়েছেন।
Be First to Comment