Press "Enter" to skip to content

টিভি -৯ এর বাংলা বৈঠকে বাঙালির আত্মসমীক্ষা….।

Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতা, ২৯ মার্চ ২০২২।  বাঙালির পরিচিতি ও সত্তার মূল্যায়ন এবং সেই মূল্যায়নের ক্ষেত্রে চিরকালীন সমস্যাগুলি নিয়ে নানা রঙের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ পাওয়া গেল গত ২৫ মার্চ, শুক্রবার। কলকাতার পাঁচতারা হোটেল, আইটিসি সোনার-এ, TV9 বাংলা আয়োজিত ‘বাংলা বৈঠকে’।

বাঙালির কাল-আজ-কালের আলোচনা-পর্যালোচনা-কাটাছেঁড়ায় মেধা ও গ্ল্যামারের বিচ্ছুরণ হল বারবার। সঞ্চালনায় ছিলেন TV9 বাংলার ম্যানেজিং এডিটর অমৃতাংশু ভট্টাচার্য, কনসাল্টিং এডিটর অনির্বাণ চৌধুরী, পিউ রায়, লিমা চট্টোপাধ্যায়, মঞ্জিরা দত্ত ও রুমেলা চক্রবর্তী। কথাবার্তা অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন TV9 নেটওয়ার্কের সিইও বরুণ দাস ও অমৃতাংশু ভট্টাচার্য। আগাগোড়া দোহার-এর গান যুক্তিজালের সীমা ছাপিয়ে ছড়িয়ে দিল সুরের রেশ।

বাঙালি কী করে আবার সামনের সারিতে উঠে আসতে পারে, সেই অন্বেষণেই TV9 বাংলায় চলছে বাঙালিয়ানা চর্চা। তার সূত্রেই এই বাংলা বৈঠকের আয়োজন। বাংলা বৈঠকে আবার উঠে এল বাঙালির বহু চর্চিত চরিত্র ও স্বভাবের নানা দিক। TV9 বাংলায় বাঙালিয়ানা চর্চা শুরু হয়েছিল গত ১৩ ফেব্রুয়ারি। বাংলার নানা গুণীজন সেদিন হাজির হয়েছিলেন TV9 বাংলার স্টুডিওতে।
প্রায় দেড়শো বছর ধরে সাহিত্য থেকে শিল্পকলা, ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে বিজ্ঞানচর্চা– নানা ক্ষেত্রে এ দেশে আধুনিকতায় উত্তরণ ঘটেছে বাঙালির হাত ধরেই। কিন্তু বর্তমানে কোথায় দাঁড়িয়ে বাঙালি? তার খোঁজেই TV9 বাংলায় চলছে নিরন্তর বাঙালিয়ানা চর্চা।
বাংলা বৈঠকে আলোচনার প্রথম বিষয় ছিল, বাঙালি কি শ্রমবিমুখ, ঝুঁকি নিতে ভয় পায়? সঞ্চালক অনির্বাণ চৌধুরীর প্রশ্নের উত্তরে বাঙালির অতীতে আলো ফেললেন সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। শীর্ষেন্দু বললেন, ‘শৈশবে বাঙালি কুলি, টাঙাচালক, ট্যাক্সিচালক দেখিনি। দেশভাগের পর বাঁচার লড়াইয়ের কারণে এটা রইল না। তবে বাঙালি নিজেকে অন্য ভাষাভাষীদের থেকে বুদ্ধিমান ভাবে। প্রতিযোগিতায় নামতে ভয় পায়। এখন বাঙালি অবশ্য পুরনো ধুলোময়লা ঝেড়ে ফেলে লড়াই করছে। বাঙালির অস্মিতা আছে, কিন্তু সে প্রাদেশিক নয়।’ আশিস বিদ্যার্থীর মা বাঙালি। এগারোটি ভাষার ছবিতে কাজ করা বিশিষ্ট অভিনেতা আশিসের কথায়, ‘একটা অভিবাসী মানসিকতা প্রয়োজন। যেখানে তাড়াতাড়ি ঘুম পায় না। তখন আমরা নিজেদের নতুন নতুন পথে চালিত করতে পারি। প্রসারিত করতে পারি নিজের সীমা। ৫৬ বছরেও যখন আমি স্বপ্ন দেখি তখন কম ঘুমাই। সেই সময় পূরণ করি নিজের স্বপ্ন। মানুষকে স্বপ্ন দেখানোর জন্য এই ধরনের বৈঠক বা সম্মেলন জরুরি।’ এভারেস্টজয়ী পর্বতারোহী বসন্ত সিংহরায় তুলে ধরলেন বাঙালির ঝুঁকির ঐতিহ্য। তবলিয়া তন্ময় বসু ও আমলা দেবাশিস সেনও ছিলেন আলোচনায়।

শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণের সূত্র ধরে TV9 নেটওয়ার্কের সিইও বরুণ দাসের প্রশ্ন ছিল, ‘ভালো-মন্দ তো আপেক্ষিক। আমরা এগিয়েছি কি না, সেটা বুঝব কীভাবে?’

পরের বিষয় ছিল, বাঙালি কি এখনও অর্থকে অনর্থ মনে করে? বক্তা ছিলেন ডাঃ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়, ডাঃ অভিজিৎ চৌধুরী, সত্যম রায়চৌধুরী, প্রচেত গুপ্ত, ডাঃ কুণাল সরকার। প্রশ্নের বল গড়িয়ে দিলেন TV9 বাংলার ম্যানেজির এডিটর অমৃতাংশু ভট্টাচার্য। অর্থ-অনর্থ প্রসঙ্গে ডাঃ কুণাল সরকারের সাফ কথা, ‘আমাদের একটা হাঁটু ভেঙে দিয়েছিল ঔপনিবেশিক শাসকরা। আর একটা হাঁটু ভেঙে দিয়েছে দেশভাগ। আমি অবশ্য চিরকালের আশাবাদী। আমার একদিকে সোমনাথ অন্যদিকে সত্যম বসে আছেন। কী করে বলি, বাঙালি উদ্যোপতি নয়?’ টেকনো ইন্ডিয়ার গোষ্ঠীর অন্যতম কর্নধার, উদ্যোগপতি সত্যম রায়চৌধুরী বললেন, ‘আমি নিজে লক্ষ্মী ও সরস্বতী, দুই দেবীকেই নিয়ে চলেছি। প্রাইভেট টিউশনের পুঁজি নিয়ে একটা গ্যারাজে কম্পিউটার সেন্টার খুলেছিলাম দাদার সঙ্গে। তাই বাঙালি ব্যবসা করতে জানে না, এটা স্বীকার করি না।’ আবার ডাঃ অভিজিৎ চৌধুরীর মত, ‘বাঙালির মধ্যে প্রচুর আম্পায়ার। প্লেয়ার হতে না চাওয়া, খেলতে নামতে না চাওয়ার মানসিকতা থেকে বেরোতে হবে। না-হলে বালি খাদানের মধ্যেই পড়ে থাকতে হবে আমাদের।’

ছিলেন সাহিত্যিক প্রচেত গুপ্তও। প্রচেতর কথায়, ‘পরিচালক তরুণ মজুমদার বলেছিলেন, যিনি সিনেমার জন্য লগ্নি করেছেন, তাঁর কষ্টের রোজগার ফেরত না দিতে পারলে লজ্জা লাগে। বুকের মধ্যে সোনার চাকতি, বাইরে রুপোর চাকতি, বাঙালির দুটোই থাক।’

তিন নম্বর বিষয় ছিল, বাঙালি কি আপন সৃষ্টিকর্মে আত্মমগ্ন? সেখানে যুক্তিজাল বিস্তার করলেন সাহিত্যিক-সাংবাদিক শঙ্করলাল ভট্টাচার্য, সাহিত্যিক ও প্রাক্তন আমলা অনিতা অগ্নিহোত্রী ও অভিনেতা সুজন মুখোপাধ্যায়। সঞ্চালক পিউ রায়ের চাঁচাছোলা প্রশ্নে শঙ্করলাল বলছিলেন, ‘আমরা আত্মবিস্মৃতও বটে। আমরা অনুকরণে ব্যস্ত। এটা মগ্নতা নয়। সাহিত্য বা শিল্পসৃষ্টি একটা ভদ্র-সভ্য অভ্যাস। মগ্নতা ছেড়ে ছড়াবার তাগিদে কাজের কাজ হবে না। আপনাকে খুঁজে বের করা হবে। আপনি নিজে শিকারী হবেন না।’ সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে শঙ্করলালের তীব্র কটাক্ষে জমে উঠেছিল তর্ক-বিতর্ক।

বাঙালি কি নিজের ঢাক পেটাতে পারে না? বাঙালির কি মজ্জায় মজ্জায় রাজনীতি? বাঙালিয়ানা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণে এমন দুই প্রশ্নেও জমে উঠেছিল বৈঠক। অংশ নিলেন সনাতন দিন্দা, শিলাজিৎ, শুভাপ্রসন্ন, সত্রাজিৎ সেন, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, শশী পাঁজা, নির্বেদ রায়, শতরূপ ঘোষ, তথাগত রায়। সঞ্চালনায় ছিলেন অনির্বাণ চৌধুরী ও পিউ রায়।
বাঙালির রাজনীতি প্রসঙ্গে আলোচনা কিছুটা তপ্ত হল স্বাভাবিক ভাবেই। বাঙালি যে অন্যদের তুলনায় রাজনৈতিক ভাবে বেশি সচেতন, সে ব্যাপারে অবশ্য একমত প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়, রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা ও সিপিএমের তরুণ মুখ শতরূপ ঘোষ। তবে তাতে লাভ না ক্ষতি, এ নিয়ে তিনজনের দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা। তথাগত যেমন বলেই দিলেন, ‘রাজনৈতিক সচেতনতা আসলে বামেদের অবদান।

এটাকে আদর্শের ওপরে ঠাঁই দেওয়া হয়েছে। এমনকী এর ফলেই ভালো-মন্দের ফারাক মুছে গিয়েছে বাঙালির কাছে।’

কথাবার্তা অনুষ্ঠানে TV9 নেটওয়ার্কের সিইও বরুণ দাস বলছিলেন, ‘বাঙালি যদি সত্যিই ঝুঁকি নিতে ভয় পায় তাহলে বুঝতে হবে তার উচ্চাকাঙ্ক্ষা কমে গিয়েছে। তবে তরুণ প্রজন্ম পশ্চিমী উন্নত বিশ্বে সমবয়সিদের সঙ্গে নিজেদের এক সারিতেই বসায়।

সেকারণেই আমার মনে হয় তারা বিশ্ব-নাগরিক হয়ে উঠেছে।’
বৈঠকের একদম শেষ পর্বে বিশ্বায়ন ও বাঙালির বিনোদন নিয়ে আলোচনা জমিয়ে দিলেন অভিনেত্রী-থিয়েটার ব্যক্তিত্ব অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়, দুই পরিচালক অনীক দত্ত ও অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী, অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। সঞ্চালক রুমেলা চক্রবর্তীর সঙ্গে আলোচনায় অভিনেত্রী অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘আমরা বাঙালিরা নিজেদের মূল্য কতটা, তার মূল্যায়ন করি না। মনে করি, কাজটাই আসল। কিন্তু কাজের মূল্যায়নটা করা দরকার।’ পরিচালক অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী বলেন, ‘এখন ‘লোকাল’ই হচ্ছে নতুন ‘গ্লোবাল’। আমি বাঙালি তাই আমার মতো থাকব। এই ভান থেকেই সমস্যা দেখা দিচ্ছে।’ তবে অর্পিতা, অনিরুদ্ধ, অনীক ও রুদ্রনীল একটা বিষয়ে একমত।

সেটা হল, বাংলা ছবির গুণমান বাড়াতে হবে এবং হল ও অনুদানের বন্দোবস্ত করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে সরকারকেও। যেভাবে কেরালা এগিয়ে এসেছে।

সমগ্র অনুষ্ঠানের শেষ পর্বেও ছিল দোহার-এর গান। বাংলা বৈঠকে স্বর ও সুর আক্ষরিক অর্থেই মিশিয়ে দিল TV9 বাংলা।

বিষয় এক: বাঙালি কি শ্রমবিমুখ, ঝুঁকি নিতে ভয় পায়?
বক্তা: শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, আশিস বিদ্যার্থী, বসন্ত সিংহরায়, তন্ময় বসু, দেবাশিস সেন। সঞ্চালনায় অনির্বাণ ভট্টাচার্য।
কোট:
১. শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়: শৈশবে বাঙালি কুলি, টাঙাচালক, ট্যাক্সিচালক দেখিনি। দেশভাগের পর বাঁচার লড়াইয়ের কারণে আর এটা রইল না। তবে বাঙালি নিজেকে অন্য ভাষাভাষীদের থেকে বুদ্ধিমান ভাবে। প্রতিযোগিতায় নামতে ভয় পায়। এখন বাঙালি অবশ্য পুরনো ধুলোময়লা ঝেড়ে ফেলে লড়াই করছে। বাঙালির অস্মিতা আছে, কিন্তু সে প্রাদেশিক নয়।
২. আশিস বিদ্যার্থী: একটা অভিবাসী মানসিকতা প্রয়োজন। যেখানে তাড়াতাড়ি ঘুম পায় না। তখন আমরা নিজেদের নতুন নতুন পথে চালিত করতে পারি। প্রসারিত করতে পারি নিজের সীমা। ৫৬ বছরেও যখন আমি স্বপ্ন দেখি তখন কম ঘুমাই। সেই সময় পূরণ করি নিজের স্বপ্ন। মানুষকে স্বপ্ন দেখানোর জন্য এই ধরনের বৈঠক বা সম্মেলন জরুরি।
৩. বসন্ত সিংহরায়: ঝুঁকি নেওয়া তো কলকাতায় বসে হয় না। তবে বাঙালির ঝুঁকি অভিযানের একটা ঐতিহ্য আছে। আবার ইংরেজ আমলে প্রচুর বাঙালি হিমালয়ের গভীরে বেড়াতে যেতেন। সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, এখন দেশে ১০০টা অভিযান হলে তার মধ্যে ৭০টা হয় পশ্চিমবঙ্গ থেকে।

 

*প্যানেলিস্ট বাইট*

বিষয় দুই: বাঙালি কি এখনও অর্থকে অনর্থ মনে করে?
বক্তা: ডাঃ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়, ডাঃ অভিজিৎ চৌধুরী, সত্যম রায়চৌধুরী, প্রচেত গুপ্ত, ডাঃ কুণাল সরকার। সঞ্চালনায় অমৃতাংশু ভট্টাচার্য।
ডাঃ কুণাল সরকার: আমাদের একটা হাঁটু ভেঙে দিয়েছিল ঔপনিবেশিক শাসকরা। আর একটা হাঁটু ভেঙে দিয়েছে দেশভাগ। আমি অবশ্য চিরকালের আশাবাদী।

আমার একদিকে সোমনাথ অন্যদিকে সত্যম বসে আছেন। কী করে বলি, বাঙালি উদ্যোপতি নয়?
সত্যম রায়চৌধুরী: আমি নিজে লক্ষ্মী ও সরস্বতী, দুই দেবীকেই নিয়ে চলেছি। প্রাইভেট টিউশনের পুঁজি নিয়ে একটা গ্যারাজে কম্পিউটার সেন্টার খুলেছিলাম দাদার সঙ্গে। তাই বাঙালি ব্যবসা করতে জানে না, এটা স্বীকার করি না।
ডাঃ অভিজিৎ চৌধুরী: বাঙালির মধ্যে প্রচুর আম্পায়ার। প্লেয়ার হতে না চাওয়া, খেলতে নামতে না চাওয়ার মানসিকতা থেকে বেরোতে হবে। না-হলে বালি খাদানের মধ্যেই পড়ে থাকতে হবে আমাদের।
প্রচেত গুপ্ত: আমি একবার বলেছিলাম, উপার্জনের জন্যও লিখি। এটা বলায় অনেকেই রে রে করে উঠেছিলেন। এটা যেন অনর্থ। পরিচালক তরুণ মজুমদার বলেছিলেন, যিনি সিনেমার জন্য লগ্নি করেছেন, তাঁর কষ্টের রোজগার ফেরত না দিতে পারলে লজ্জা লাগে। বুকের মধ্যে সোনার চাকতি, বাইরে রুপোর চাকতি, বাঙালির দুটোই থাক।
বিষয় তিন: বাঙালি কি আপন সৃষ্টিকর্মে আত্মমগ্ন?
বক্তা: শঙ্করলাল ভট্টাচার্য, অনিতা অগ্নিহোত্রী, সুজন মুখোপাধ্যায়। সঞ্চালনায় পিউ রায়।

শঙ্করলাল: আমরা আত্মবিস্মৃতও বটে। আমরা অনুকরণে ব্যস্ত। এটা মগ্নতা নয়। সাহিত্য বা শিল্পসৃষ্টি একটা ভদ্র-সভ্য অভ্যাস। মগ্নতা ছেড়ে ছড়াবার তাগিদে কাজের কাজ হবে না। আপনাকে খুঁজে বের করা হবে। আপনি নিজে শিকারী হবেন না।
বিষয় চার: বাঙালি কি নিজের ঢাক পেটাতে পারে না?
বক্তা: সনাতন দিন্দা, শিলাজিৎ, শুভাপ্রসন্ন, সত্রাজিৎ সেন, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। সঞ্চালনায় অনির্বাণ চৌধুরী।
শিলাজিৎ: ঢাক পেটানোটা জরুরি। যতজন আমার সঙ্গে ছবি তুলতে চায় ততজন আমার গান শুনতে চায় না। এই সমাজে ঢাক পেটানো তাই জরুরি।
অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়: নির্জনতার জায়গা ছেড়ে মানুষের কাছে পৌঁছনোর জন্য একটা মঞ্চ দরকার। তবে ঢাক পেটানোর মধ্যে একটা রুচি থাকুক।
বিষয় পাঁচ: বাঙালির কি মজ্জায় মজ্জায় রাজনীতি?
বক্তা: শশী পাঁজা, নির্বেদ রায়, শতরূপ ঘোষ, তথাগত রায়
শশী পাঁজা: কেউ কেউ রাজনীতিকে ব্যবহার করছে। রাজনীতি খারাপ হয় না।
বিষয় ছয়: বিশ্বায়ন ও বাঙালির বিনোদন
বক্তা: অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়, অনীক দত্ত, অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী, রুদ্রনীল ঘোষ। সঞ্চালনায় রুমেলা চক্রবর্তী

অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়: আমরা বাঙালিরা নিজেদের মূল্য কতটা, তার মূল্যায়ন করি না। মনে করি, কাজটাই আসল। কিন্তু কাজের মূল্যায়নটা করা দরকার।
অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী: এখন ‘লোকাল’ই হচ্ছে নতুন ‘গ্লোবাল’। আমি বাঙালি তাই আমার মতো থাকব। এই ভান থেকেই সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

More from CultureMore posts in Culture »
More from EntertainmentMore posts in Entertainment »
More from InternationalMore posts in International »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.