Press "Enter" to skip to content

ডাঃ নীহাররঞ্জন গুপ্ত’র প্রথম গোয়েন্দা উপন্যাস ‘কালো ভ্রমর’।

Spread the love

——-জন্মদিনে স্মরণঃ ডাঃ নীহাররঞ্জন গুপ্ত——

বাবলু ভট্টাচার্য: ঢাকা, তিনি বিখ্যাত গোয়েন্দা চরিত্র কিরীটি রায়ের স্রষ্টা হিসেবে উপমহাদেশে স্মরণীয় হয়ে আছেন। বড়দের ও ছোটদের উপযোগী— উভয় ধরনের গোয়েন্দা উপন্যাস রচনায় সবিশেষ পারঙ্গমতা প্রদর্শন করেছেন নীহাররঞ্জন গুপ্ত। নীহাররঞ্জন গুপ্তের পরিবার ছিল বিখ্যাত কবিরাজ বংশীয়। তাঁর পিতা সত্যরঞ্জন গুপ্ত এবং মা লবঙ্গলতা দেবী। পিতার স্থানান্তরিত চাকুরীর কারণে তিনি অনেক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। নীহাররঞ্জন গুপ্ত শৈশবকাল অতিবাহিত করেন কলকাতায়। ১৯৩০ সালে কোন্ননগর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করে কৃষ্ণনগর কলেজ থেকে আইএসসি ডিগ্রী অর্জনের পর কলকাতায় কারমাইকেল মেডিকেল কলেজ (বর্তমানে আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল) থেকে ডাক্তারি বিদ্যায় কৃতকার্য হন তিনি। এরপর তিনি লন্ডন থেকে ডাক্তারি শাস্ত্রের ডার্মেটোলোজি বা চর্মবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন।

তিনি চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ছিলেন। ছাত্রাবস্থায় তার বড় বোন পোকার কামড়ে মারা যায়। ফলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের মহান পেশায় নিয়োজিত থেকে এই রোগ সারানোর জন্য স্বপ্ন দেখেন ও পরবর্তী জীবনে বাস্তবায়িত হয়। যুক্তরাজ্য থেকে বিশেষ ডিগ্রী অর্জন শেষে তিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে যোগ দেন। শৈশবকাল থেকেই তিনি সর্বদাই স্বপ্ন দেখতেন লেখক হবার। আঠারো বছর বয়সে নীহাররঞ্জন তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘রাজকুমার’ রচনা করেন। ইংল্যান্ডে অবস্থানকালীন সময়ে তিনি গোয়েন্দা গল্প রচনায় আগ্রহী হয়ে ওঠেন এবং আগাথা ক্রিস্টির সাথে সাক্ষাৎ করেন। ভারতে ফিরে এসে তিনি তাঁর প্রথম গোয়েন্দা উপন্যাস ‘কালো ভ্রমর’ রচনা করেন। এতে তিনি গোয়েন্দা চরিত্র হিসেবে কিরীটি রায়কে সংযোজন করেন— যা বাংলা কিশোর সাহিত্যে এক অনবদ্য সৃষ্টি।

এ পর্যন্ত তাঁর পঁয়তাল্লিশটি উপন্যাসকে টালিউড ও বলিউডে বাংলা ও হিন্দি ভাষায় চলচ্চিত্রায়ণ করা হয়েছে। ১৯৮৬ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় পরলোক গমন করেন জননন্দিত এই উপন্যাসিক।

উল্লেখযোগ্য বইঃ
কালোভ্রমর, মৃত্যুবাণ, কালনাগ, উল্কা, উত্তর ফাল্গুনী, হাসপাতাল, কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী, লালুভুলু, রাতের রজনীগন্ধা, কিরীটি অমনিবাস, অপারেশন প্রভৃতি।

ডাঃ নীহাররঞ্জন গুপ্ত ১৯১১ সালের আজকের দিনে (৬ জুন) বাংলাদেশের নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার ইতনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

More from GeneralMore posts in General »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.