গোপাল দেবনাথ : কলকাতা, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২। শিয়ালদহ অঞ্চলে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে মধ্য কলকাতা ক্লাব সমন্বয় সমিতি আয়োজিত ষষ্ঠবর্ষ খাদ্যমেলা চেটেপুটে গতকাল ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে। চারদিনব্যাপি এই খাদ্যমেলার সমাপ্তি হবে আগামী ১৩ই ফেব্রুয়ারি।
মেলায় আছে সুসজ্জিত ৬০টি খাবারের স্টল। এই মেলার মধ্যে যে সকল খাবারের স্টল খাদ্য রসিকদের নজর কেড়েছে তারমধ্যে অন্যতম মিত্র ক্যাফে, বিজলিগ্রীল, আলিবাবা, ব্যারাকপুরের দাদা বৌদির বিরিয়ানি, আরসালান, আমেনিয়া রেস্টুরেন্ট, পার্বনি, পৌষপার্বন,
ফুচকাওয়ালা, এ ছাড়াও ভালো মানের মিষ্টির জন্য কে সি দাশ, ফেলু মোদক, ব্যতাই মিষ্টান্ন ভান্ডার, নলীন চন্দ্র দাস, ভীম নাগ, যে স্টলটি আম বাঙালির নজর কেড়েছে তা হলো শঙ্খশুভ্র রায় এর টিটোস কিচেন আর এই টিটোস কিচেন এ যাদের আশীর্বাদের হাত রয়েছে তারা হলেন শঙ্খশুভ্র র মা শ্রীমতি কাজল রায় এবং তার পিতা শুভজিৎ রায়।
এই টিটোস কিচেন এ পাবেন সুস্বাদু ফিশফ্রাই এবং মাছের নানান ধরণের পদ, একটি উল্লেখযোগ্য কেক স্টল এর কথা উল্লেখ করতে হয় যেখানে পাবেন এই বিশ্বের নানান দেশের কেক এর স্বাদ। বাজেটের মধ্যেই সব ধরণের খাবার পাবেন মধ্যবিত্তরা। কমদামে নানান ধরণের কম্বোপ্যাক পাওয়া যাচ্ছে।
বিশ্বের নানা প্রান্তের খাবারের স্বাদ গ্রহণ করতে হলে অবশ্যই একবার যেতে হবে এই খাদ্যমেলায়। এখানে পাবেন অক্টোপাস, খরগোশ, পাঠা সহ মুরগির মাংসের বিভিন্ন পদ। এ ছাড়াও আছে নানান ধরণের মাছের সুস্বাদু পদ। এই বাংলার প্রখ্যাত মিষ্টির দোকানের জিভে জল আনা সব অসাধারণ মিষ্টির স্বাদ একই সাথে পাওয়ার জন্য একমাত্র ঠিকানা ‘খাদ্যমেলা চেটেপুটে’।
রক্তে শর্করার ভেবে খাবার খাওয়া বন্ধ করলেও এই মেলার কথা ভেবে অন্তত একবার চেখে দেখতে পারেন। প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে এই মেলা। জনসাধারণের জন্য প্রবেশমূল্য মাত্র ২০/- টাকা। অনুষ্ঠান শুরুর আগে সদ্য প্রয়াত কিংবদন্তি বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী লতা মঙ্গেশকর কে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এরপর প্রদীপপ্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন খাদ্যরসিক অভিনেতা ও গায়ক অম্বরীশ ভট্টাচার্য, প্রখ্যাত তালবাদ্যশিল্পী মল্লার ঘোষ, আবৃত্তিকার মল্লিকা ঘোষ, সংস্থার সভাপতি প্রদীপ ঘোষ এবং ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরপিতা ও সংস্থার সম্পাদক সজল ঘোষ সহ সংগঠনের একনিষ্ঠ কর্মী স্বরূপ দে। অনুষ্ঠান মঞ্চেই দুটি জনপ্রিয় সংগীত পরিবেশন করেন অভিনেতা অম্বরীশ ভট্টাচার্য। এ ছাড়া তালবাদ্য ও আবৃত্তি করেন মল্লার ও মল্লিকা ঘোষ।
Be First to Comment