Press "Enter" to skip to content

বিনা বিচারে ‘দীপক যোশী’ মামলায় ৫ লক্ষের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হলো…। 

Spread the love

মোল্লা জসিমউদ্দিন : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২। বিনা বিচারে জেলের গারদে নিরপরাধ অনেকেই থাকে। সবাই তো আর ‘হ্যাম রেডিও’র মত পাশে থাকার সত্যিকারের সংগঠন পাইনা। আবার কেউ সংবাদমাধ্যমে সেভাবে নিরপরাধ প্রমাণের সুযোগ মেলেনা। তবে এখনো অনেক মানুষ আছেন যারা অসহায়দের সুবিচারের পক্ষে সওয়াল চালিয়ে যান।হ্যাঁ,  টানা চল্লিশ বছর জেলের গারদে বিনা বিচারে কাটিয়ে ছিলেন নেপালের ঝাপা জেলার দীপক যোশী নামে এক মানসিক রোগী। দৈনিক বাংলা পত্রিকার এক প্রকাশিত নিউজের জেরে তৎকালীন রাজ্য আইনী পরিষেবা কেন্দ্রের সচিব দুর্গা খৈতান কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণন এর নজরে এনেছিলেন।তাতে কলকাতা হাইকোর্ট স্বতঃস্ফূর্ত মামলা দায়ের করেছিল।সেখানে আইনজীবী সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য আইনী পরিষেবা কেন্দ্র কে দীপক যোশী মামলায় অনুসন্ধানের নির্দেশ জারি করেছিল।এমনকি নেপাল সরকার কে এই মামলায় পক্ষভুক্ত করা হয়েছিল।জানা যায়, ১৯৮২ সালে দার্জিলিং পুলিশ এক খুনের মামলায় দীপক কে জেলে পাঠায়। অভিযোগ,  পুলিশ এই মানসিক রোগী কে আসামি প্রতিপন্ন করার চেস্টা করে থাকে। দমদম জেলে দীর্ঘ ৪০ বছর কাটিয়ে দেয় নেপালের এই বাসিন্দা। হ্যাম রেডিও কর্তৃপক্ষ নেপালের প্রকৃত ঠিকানা এবং আত্মীয়স্বজনদের সন্ধান দেয়। কলকাতা হাইকোর্ট দীপক যোশী কে কারাগার মুক্ত করার নির্দেশ দেয়।পাশাপাশি ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। বুধবার রাজ্যের পক্ষে এডিজি (কারা) পীযুষ পান্ডে, রাজ্য আইনী পরিষেবা কেন্দ্রের প্রতিনিধি আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় নেপাল দূতাবাসে আধিকারিক কে এই ৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন। কলকাতা হাইকোর্টের ফৌজদারি বিশেষজ্ঞ আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় জানান – “দীপক যোশীদের মত অসহায় মানুষদের পাশে রয়েছি সর্বদা”।

More from CourtMore posts in Court »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *