কাঠবাদাম??
সুস্মিতা দাস : কলকাতা, ৩, অক্টোবর, ২০২০। খুব ছোট বেলা স্কুল ছুটি হলেই দৌড়ে যেতাম বন্ধুদের সাথে কাঠ বাদাম কুড়ানোর জন্য। বিশাল একটা গাছ ছিল স্কুলের পথে। বাদাম গুলো পাথর দিয়ে ভেঙে সে অনেক কসরত করে খেতে হতো। কিন্তু তার মধ্যেই এক দারুণ আনন্দ ছিলো। ছেলে বেলার সেই দিন গুলোর মতো এই গাছ গুলোও খুব তাড়াতাড়ি সব ফুরিয়ে যাচ্ছে।
এই কাঠবাদাম নিয়ে আলোচনা করতে করতে ছেলে বেলায় ফিরে গিয়েছিলাম। বহু ফলের হারিয়ে যাওয়ার মধ্যে ক্রমশ সামনের দিকে চলে আসছে এই কাঠবাদাম।
কাঠবাদাম সম্পর্কে কিছু তথ্য ??
কাঠ বাদাম বৈজ্ঞানিক নাম Terminalia catappa.এর আদি নিবাস সম্পর্কে কিছু জানা যায় নি। তবে আফ্রিকা, দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা প্রভৃতি দেশে এই গাছ হয়ে থাকে। এই গাছ উষ্ণ অঞ্চলে জন্মে থাকে। এই ফলকে নানা জায়গায় নানা নামে ডাকা হয়। যেমন-বেঙ্গল আখরোট, ইবেলবো, মালাবার আখরোট, সমূদ্র আখরোট, ছাতা গাছ, সিঙ্গাপুর আখরোট, নিরক্ষীয় আখরোট ইত্যাদি। তবে সারা বিশ্বে কাঠবাদাম ভারতীয় বাদাম নামে পরিচিত। কাঠবাদাম বাদামের গন্ধ যুক্ত। এই বাদাম গাছ অনেক বড় গাছ। এই গাছ ৩৫ মিটার উঁচু হয়। গাছের অনেক ডালপালা হয়। গাছটির উপরের দিকে ছাতার আকার ধারণ করে। পাতাগুলো আকারে অনেক বড় হয়। ১৫-২৫ সেমি দীর্ঘ ও ১০-১৪ সেমি চওড়া, ডিম্বাকার এবং চকচকে সবুজ বর্ণের হয়। শুষ্ক মরসুমে পাতা ঝরতে শুরু করে। ঝরার আগে পাতাগুলো গোলাপি – লাল বা হলদেটে – খয়েরী রঙের হয়ে যায়। কাঠবাদাম গাছের ফল গুলি রসালো হয়। ফলের ভেতর একটি শক্ত দানা থাকে। এই দানাটি ফাটিয়ে এর ভেতরের বাদাম গুলি খাওয়া হয়। ফল পাকলে বাদাম খাবার উপযোগী হয়। বাদাম গুলি খেতে অনেকটা আখরোটের মত হয়। এই কাঠবাদাম সরাসরি কাঁচা ও ভেজে খাওয়া যায়।
পুষ্টিগুণ ??
অন্য সব বাদামের মতো কাঠবাদামে ও প্রচুর পুষ্টি রয়েছে। কাঠবাদামে রয়েছে – ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-বি, ডি, ই, আয়রন, ফসফরাস, জিঙ্ক , কপার, ফ্যাট ইত্যাদি।
উপকারিতা ??
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে, হজমশক্তি বাড়াতে, বয়স বৃদ্ধি দূর করতে, এনার্জি বাড়াতে, হার্টের সমস্যা দূর করতে, ব্রেইনের কার্যক্ষমতা বাড়াতে, হাড় ও দাঁত ভালো রাখতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, উচ্চ রক্তচাপ কমাতে, ডায়াবেটিস প্রতিরোধে বিশেষ কার্যকর।
ছবি ~ গুগল থেকে সংগ্রহ করা।
Be First to Comment