শু ভ জ ন্ম দি ন সু হা সি নী মু লে
বাবলু ভট্টাচার্য : মডেলিং থেকে ছবিতে এসেছিলেন সুহাসিনী মুলে। ষাটের দশকের মাঝামাঝি মডেলিং শুরু করেন তিনি।
পিয়ার্স গ্লিসারিন সাবানের বিজ্ঞাপন দেখে মৃণাল সেন তাকে ‘ভুবন সোম’ ছবির গৌরীর ভূমিকায় পছন্দ করেন। কিন্তু ছবির দুনিয়ায় থাকেননি তিনি। চলে যান উচ্চশিক্ষার জন্য।
বাবা যখন প্রয়াত হন সুহাসিনীর তখন মাত্র তিন বছর বয়স। তাকে বড় করে তোলেন মা বিজয়া মুলে। বিজয়াও ছিলেন সিনেমাজগতের নামী ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন তথ্যচিত্র পরিচালক এবং চলচ্চিত্র-ইতিহাসবিদ এবং গবেষক। মা-এর কাছেই ছবির অ-আ-ক-খ পাঠ সুহাসিনীর। তার দৃঢ়চেতা এবং ভিন্নস্বাদের ব্যক্তিত্বের গঠনেও মায়ের অবদান রয়েছে।
সত্তরের দশকের শুরুতে সুহাসিনী দেশে ফেরেন। তবে ক্যামেরার সামনে নয়, তিনি এলেন ক্যামেরার পিছনে। ‘জনঅরণ্য’ ছবিতে তিনি ছিলেন সত্যজিৎ রায়ের সহকারী। মৃণাল সেনকে সাহায্য করেন ‘মৃগয়া’ ছবিতে।
সুহাসিনী নির্মাণ করেন গোটা ষাটেক তথ্যচিত্র। চারটির জন্য পান জাতীয় পুরস্কার।
‘ভুবন সোম’-এর প্রায় ৩০ বছর পরে সুহাসিনী ফিরে আসেন হিন্দি ছবির মূলস্রোতে। গুলজারের ‘হু তু তু’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব-অভিনেত্রীর জাতীয় পুরস্কার পান।
বেশ কিছু ছবিতে সুহাসিনী অভিনয় করেছেন চরিত্রাভিনেতা হিসেবে। সিনেমার পাশাপাশি সুহাসিনী কাজ করেছেন টেলিভিশন এবং ওয়েব সিরিজেও।
সুহাসিনীর অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র সমূহঃ ‘পীড়া’, ‘বাসমতি ব্লুজ’, ‘মহেঞ্জো দারো’, ‘রকি হ্যান্ডসাম’, ‘হামারি আধুরি কাহানী’, ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’, ‘গান্ধী অফ দ্য মান্থ’, ‘শ্রীমতী কুরিয়েন ক্লাব ৬০’, ‘রঙ্গরসিয়া’, ‘বিটস অ্যান্ড পিসেস’, ‘তুমহারে লিয়ে’, ‘দ্য হোয়াইট ল্যান্ড’, ‘মাই ফ্রেন্ড গনেশা ২’, ‘যোধা আকবর’, ‘রানী পদ্মাবতী’, ‘ইউঁ হোতা তো ক্যায়া হোতা’, ‘পেজ ৩’, ‘লগান : ওয়ান আপন এ টাইম ইন ইন্ডিয়া’, ‘হু তু তু’, ‘শতরঞ্জ’, ‘শ্রীমতি ঊষা ডি. বর্মা’, ‘সড়ক ছাপ’, ‘ভুবন সোম’ উল্লেখযোগ্য।
সুহাসিনী মুলে ১৯৫০ সালের আজকের দিনে (২০ নভেম্বর) পাটনায় জন্মগ্রহণ করেন।
Be First to Comment