Last updated on October 21, 2022
বিশেষ প্রতিনিধি : কলকাতা,২০ অক্টোবর ‘২০২২: পুরুষ ও মহিলা বিভাগে এস এস বি-র জয়জয়কারের মধ্যে দিয়ে শেষ হলো ‘৩২ তম সিনিয়র ন্যাশনাল সেপাক টাকরাও চ্যাম্পিয়নশিপ ফর মেন অ্যাণ্ড ওম্যান’।
‘৩২ তম সিনিয়র ন্যাশনাল সেপাক টাকরাও চ্যাম্পিয়নশিপ ফর মেন অ্যাণ্ড ওম্যান’ প্রতিযোগিতার ‘টিম চ্যাম্পিয়নশিপ’ পর্যায়ে পুরুষ বিভাগে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে তামিলনাড়ু, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে মণিপুর ও প্রথম হয়েছে এস এস বি।
‘টিম চ্যাম্পিয়নশিপ’ পর্যায়ে মহিলা বিভাগে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে আসাম, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে এস এস বি এবং প্রথম স্থান অধিকার করেছে মণিপুর।
‘রেগু’ (Regu) পর্যায়ে পুরুষ বিভাগে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে মণিপুর, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে তামিলনাড়ু এবং প্রথম স্থান অধিকার করেছে এস এস বি।
এই বিভাগেরই মহিলা বিভাগে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে হরিয়ানা, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে এস এস বি এবং প্রথম স্থান অধিকার করেছে মণিপুর।
অপরদিকে ‘ডাবলস’ পর্যায়ে পুরুষ বিভাগে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে গোয়া, যুগ্মভাবে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে পশ্চিমবঙ্গ ও হরিয়ানা এবং প্রথম স্থান অধিকার করেছে বিহার।
এই বিভাগেরই মহিলা বিভাগে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে ওড়িশা, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে গোয়া এবং প্রথম স্থান অধিকার করেছে বিহার।
বৃহস্পতিবার রাজ্য এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণার সাধারণ ও আরক্ষা প্রশাসনের বিশিষ্ট পদাধিকারীদের সামনে বিজয়ী ও বিজেতা দলের হাতে ট্রফি, শংসাপত্র ও অন্যান্য পারিতোষিক তুলে দেওয়া হয়।
গত ১৬ অক্টোবর থেকে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার সোনারপুর-এর জ্যোতির্ময় পাবলিক স্কুল প্রাঙ্গণে চলছিল এই খেলা।
‘ওয়েস্ট বেঙ্গল সেপাক টাকরাও অ্যাসোসিয়েশন’-এর অধ্যক্ষ ডঃ পার্থসারথি গাঙ্গুলী জানান, “ভারতের ২৮ টা রাজ্য সহ এস এস বি -র মতো সার্ভিস দল থেকে ছয় শতাধিক খেলোয়াড় এই খেলায় অংশগ্রহণ করেছিলেন।”
‘ওয়েস্ট বেঙ্গল সেপাক টাকরাও অ্যাসোসিয়েশন’-এর অবৈতনিক সচিব বিমল কান্তি পাল সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে জানিয়েছেন, “গত ১৬ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অগ্নি ও জরুরী পরিষেবা দপ্তর-এর বিভাগীয় মন্ত্রী সুজিত বোস, সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, ‘বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন’-এর অধ্যক্ষ স্বপন ব্যানার্জি, বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল, ‘সেপাক টাকরাও ফেডারেশন অব ইণ্ডিয়া’র মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক যোগেন্দ্র সিং দাহিয়া-র উপস্থিতিতে পাঁচ দিন ব্যাপী এই খেলার সূত্রপাত হয়েছিল। ” মহিলাদের ‘ডাবলস বিভাগ’-এর ফাইনাল খেলায় বিহারের মেয়েরা ২২-২০ এবং ২১-১৩ পয়েন্টে গোয়ার মহিলা দলকে হারিয়ে জাতীয় খেতাব অর্জন করেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একসময় পশ্চিমবঙ্গে এই খেলা শুরু হলেও সরকারী ও বেসরকারী স্তরে উৎসাহের অভাবের কারণে এই খেলা জনমানসে সেভাবে দাগ ফেলতে সমর্থ হয়নি। ফলতঃ একসময় সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটে বাংলা দল ঝলক দেখালেও রাজ্যে এই খেলা লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যায়।
‘ওয়েস্ট বেঙ্গল সেপাক টাকরাও অ্যাসোসিয়েশন’-এর অধ্যক্ষ ডঃ পার্থসারথি গাঙ্গুলী আজ সরকারের কাছে আগ্রহ পেশ করে জানিয়েছেন, “অনুরোধ করব পশ্চিমবঙ্গ সরকার যেন ‘সেপাক টাকরাও’ খেলার প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে সবিশেষ নজর দেন।”
Be First to Comment