Press "Enter" to skip to content

৫৭ বছর পর স্বত্ব জিতে ‘নায়ক’ চলচ্চিত্র সত্যজিৎ রায়েরই…..।

Spread the love

বাবলু ভট্টাচার্য : ২৪ মে ২০২৩। সত্যজিৎ রায়ের ‘নায়ক’-এর চিত্রনাট্যের স্বত্ব কার? এ প্রশ্নের ফয়সালা হলো দিল্লি হাইকোর্টে। আদালত জানাল, চিত্রনাট্য লিখেছিলেন সত্যজিৎ স্বয়ং। সেখানে প্রযোজকের কোনও অবদান ছিল না। তাই চিত্রনাট্যের স্বত্বাধিকারী সত্যজিৎ রায়। তাঁর অবর্তমানে এই অধিকার পুত্র সন্দীপ রায় এবং রে সোসাইটি-র।

ছবিটির প্রযোজক ছিলেন আর ডি বনশল। ‘নায়ক’-এর চিত্রনাট্যের ভিত্তিতে সম্প্রতি ভাস্কর চট্টোপাধ্যায়ের লেখা একটি উপন্যাস প্রকাশ করেছে প্রকাশক সংস্থা হার্পার কলিন্স।

বনশল পরিবার তারই বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ করে। পরিবারের আর্জি ছিল- ‘নায়ক’ ছবির প্রযোজক তারাই। সত্যজিৎ রায় চিত্রনাট্য লিখলেও এর স্বত্বাধিকার তাদের। কোনও তৃতীয় পক্ষ এর ভিত্তিতে উপন্যাস লিখে বনশল পরিবারের অনুমতি ছাড়া প্রকাশ করতে পারে না।

প্রকাশক সংস্থার তরফে আদালতে সন্দীপ রায় এবং রে-সোসাইটি-র অনুমতিপত্র দাখিল করা হয়। এই প্রমাণের ভিত্তিতেই দিল্লি আদালত জানিয়েছে- বনশল পরিবার ছবিটির প্রযোজক ঠিকই। কিন্তু তারা চিত্রনাট্যের স্বত্বাধিকারী নয়।

চিত্রনাট্যটি লিখেছিলেন সত্যজিৎ রায়। সেখানে বনশলদের কোনও অবদান ছিল না।

সেই যুক্তিতে চিত্রনাট্যের প্রথম স্বত্বাধিকারী স্বয়ং সত্যজিৎ। তাঁর অবর্তমানে স্বত্বের মালিকানা সন্দীপ রায় এবং রে-সোসাইটি-র।

ফলে, বনশল পরিবারের অভিযোগ ধোপে টেঁকে নি। একই যুক্তিতে ভাস্কর চ্যাটার্জির উপন্যাস প্রকাশনার উপর নিষেধাজ্ঞাও জারি করা যাচ্ছে না বলে আদালতের বক্তব্য।

১৯৬৬ সালের মে মাসেই মুক্তি পেয়েছিল সত্যজিতের ‘নায়ক’। একের পর এক বিখ্যাত দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছিলেন ম্যাটিনি আইডল অরিন্দম মুখোপাধ্যায় (উত্তম কুমার) ও সাংবাদিক অদিতি সেনগুপ্ত (শর্মিলা ঠাকুর)।

শোনা যায়, সত্যজিৎ রায় এই ফিল্মের চিত্রনাট্য লিখেছিলেন দার্জিলিঙে বসে। তাঁর ‘নায়ক’কে রুপোলি পর্দায় চেয়েছিলেন পুরোদস্তুর মেক আপ ছাড়া।

‘হাল্কা টাচ আপ চলতে পারে’- পরিচালকের এমন কথা শুনে নাকি অবাকই হয়েছিলেন উত্তম কুমার।

৫৭ বছর পেরিয়ে আজও বাংলার অন্যতম সেরা ছবি ‘নায়ক’। যার চিত্রনাট্যের মালিকানা নিয়ে এই ২০২৩-এও চলে দ্বৈরথ।

এ প্রসঙ্গে দিল্লি হাইকোর্টের রায় নিয়ে সন্দীপ রায় বলেন- ‘এটা বহুদিন আগের ঘটনা। আমরা প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম বিষয়টা। তবে এখন আদালত যা রায় দিয়েছে, তার উপর কোনও কথাই থাকে না। আমরা আশা করব, সবাই এই রায় মেনে চলবেন।’

কৃতজ্ঞতা স্বীকার-  বিদেশি সংবাদ সংস্থা।

More from BooksMore posts in Books »
More from CinemaMore posts in Cinema »
More from InternationalMore posts in International »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.