——————-রুদ্রাক্ষ-??——————-
সুস্মিতা দাস-
রুদ্রাক্ষ সম্পর্কে কম বেশি আমরা সকলে জানি। বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীগণ ধর্মীয় কাজে এর ব্যবহার করে থাকেন।রুদ্রাক্ষ আসলে কি,কোথায় পাওয়া যায়, কেমন, সেটা আমাদের অনেকেরই জানা নেই। তবে চলুন জেনেনি আমাদের খুব পরিচিত ফল রুদ্রাক্ষ কে।
রুদ্রাক্ষ সম্পর্কে কিছু তথ্য-
রুদ্রাক্ষ একটি গাছের ফল। এই গাছ বহুবর্ষজীবি, বৃক্ষজাতীয়, চিরহরিৎ বৃক্ষ। অনেকটা বকুল ফুল গাছের মতো দেখতে, পাতা বড় ও চওড়া হয়। এই গাছ Elaeocarpus গণভুক্ত, এই গাছের নানান প্রজাতি রয়েছে। রুদ্রাক্ষের বেশির ভাগই ইন্দোনেশিয়ার জাভা, সুমাত্রা এবং বোর্নিও প্রভৃতি দ্বীপে (প্রায় ৬৫ শতাংশ), নেপালে, সবিশেষে ভোজপুর জেলায় (২৫ শতাংশ), এবং বাকি অংশ ভারত, বাংলাদেশ, চীন, ভূটান, আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়।
রুদ্রাক্ষ আসলে রুদ্রাক্ষ গাছের ফলের বীজ। কাঁচা ফল সবুজ এবং পাকলে গাঢ়নীল বর্ন হয়। তাই ইংরেজিতে একে ‘ব্লুবেরি বিডস্’ বলে। এই শক্ত বীজ থেকে অঙ্কুরোদ্গম হতে সময় লাগে প্রায় ছয় মাস। উভলিঙ্গ ফুল হওয়া সত্ত্বেও এসব গাছে ফুল ধরতে ৫ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত সময় লাগে।হিমালয়ের যোগী সাধুরা এই ফলকে তাদের তৃষ্ণা মেটাতে ব্যবহার করে থাকে। এই ফল স্বাদে টক জাতীয় হয়। তাই নেপালে এই ফল দিয়ে পিকে্লস নামে একটি মুখরোচক খাদ্য তৈরি করা হয়। ‘রুদ্র’ অর্থাৎ শিব আর ‘অক্ষ’ অর্থাৎ চোখ। ধর্মমতে মনে করা হয় রুদ্রাক্ষের উৎপত্তি শিবের চোখ থেকে। তাই রুদ্রাক্ষকে পবিত্র মনে করে ধারণ করা হয়। রুদ্রাক্ষ ১ থেকে ৩৮ মুখী হতে পারে।তবে ১৪ থেকে ২১মুখী রুদ্রাক্ষের মূল্য অনেক এবং সহজে পাওয়া যায়না। গৌরীশঙ্কর রুদ্রাক্ষটি অতি মূল্যবান। এটি দেখতে দুটি বীজ এক সঙ্গে জোড়া থাকে, যাকে শিব পার্বতীর প্রতীক বলে মনে করা হয়।
ব্যবহার- ??
সাধারণত রুদ্রাক্ষ বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের মালা হিসেবে ধারণ করতে দেখা যায়। তবে প্রাচীন মুনি ঋষিরা রুদ্রাক্ষকে ‘অমৃত ফল’ আখ্যা দিয়েছেন। আর্য়ুবেদিক শাস্ত্রে এই গাছের শিকড়, ছাল, বীজ বা রুদ্রাক্ষ ভেজানো জল বা প্রলেপ ব্যবহারে হাঁপানি, চর্মরোগ, মৃগীরোগ, চোখ ওঠা,ক্ষয় রোগ, গুটিবসন্ত, যক্ষা, রক্তচাপ, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি এই সব রোগের নিরাময় ঘটেছে।
ভারতের কোথায় পাওয়া যায়–
ভারতের হিমালয়, নেপাল ও ভুটান সীমান্তে, উত্তরবঙ্গের (পঃব) শুকনার জঙ্গলে রুদ্রাক্ষ গাছ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা যায়।
ছবি ~ গুগল থেকে সংগ্রহ করা।
Be First to Comment