গোপাল দেবনাথ
ঋত্বিক ঘটক বলেছিলেন ,ভাবো ভাবা প্র্যাকটিস করো।
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসের প্রাক্কালে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতাল জি ডি হসপিটাল এন্ড ডায়াবেটিস ইনস্টিটিউট জনসচেতনা প্রচার অভিযান করছেন। স্লোগান ‘হাঁটো বাংলা হাঁটো, বুধবার বিকেলে মধ্য কলকাতার একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মিলিত হলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের সি ই ও মুশরেফা হোসেন জানালেন, ভারতে দ্রুতগতিতে বাড়ছে ডায়াবেটিক রোগী, মূল কারণ অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও শারীরিক পরিশ্রমে চূড়ান্ত অনীহা।
এই হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডঃ সুকুমার মুখার্জি, ডঃ শুভঙ্কর চৌধুরী , ডঃ এস এ ফয়জল, ডঃ চন্দ্রচুড় ভট্টাচার্য্য, ডঃ সিদ্ধার্থ ঘোষ,ডঃ সুজয় মজুমদার ,ডঃ শৈবাল চক্রবর্তী, ডঃ অরিন্দম চন্দ্র এবং ডঃ শুভাশিস গাঙ্গুলি ডায়াবেটিক রোগী রা কি ভাবে জীবনযাপন করলে সুস্থ থাকবেন এই সম্বন্ধে সু চিন্তিত মতামত পেশ করেন। শরীর সুস্থ রাখতে হাঁটার কোনো বিকল্প নেই, কোনো বিশেষ দিনে হাঁটলে হবে না, প্রতিদিন অভ্যাস করার পরামর্শ দেন। ডঃ সুকুমার মুখার্জি বলেন ডায়াবেটিসে চীনের পরেই দ্বিতীয় স্থান ভারতবর্ষের।
আগামী সতেরো নভেম্বর হাসপাতাল প্রাঙ্গন থেকে হবে একটি পদযাত্রা, সূচনা করবেন অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। চব্বিশে নভেম্বরে এই পদযাত্রা হবে মালদা শহরে। জি ডি হসপিটালে সব ধরণের চিকিৎসার সুব্যবস্থা থাকলেও ডায়াবেটিক চিকিৎসার বিশেষ উন্নত ব্যবস্থা আছে। ডাক্তার বাবুরা জানালেন, রক্ত পরীক্ষার জন্য নির্ভরযোগ্য প্যাথলজিক্যাল ক্লিনিক বেছে নেওয়া উচিত। চিনির বিকল্প হিসেবে বাজারে যে বিকল্প সুইটনার পাওয়া যায় তা খাওয়া যেতে পারে, তবে এই বিকল্পে ওজন কমে এমন পরীক্ষালব্ধ প্রমান এখনও পাওয়া যায় নি।
Be First to Comment