*হরিচাঁদ ঠাকুরের ২১১ তম জন্মজয়ন্তীতে মতুয়াদের ফিরে দেখা টিভি নাইন বাংলা নিউজ সিরিজে ‘মতুয়া-কথা’, দেখুন আজ রাত ১০ টা*
নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতা, ২ এপ্রিল, ২০২২। প্রান্তজনের অন্তরের মানুষ ছিলেন হরিচাঁদ ঠাকুর। সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে প্রবর্তন করেন নতুন সহজিয়া ধর্ম মতুয়া। মতুয়ারা বহুদিন ছিলেন ব্রাত্য, লাঞ্ছিত, অবহেলিত। মতুয়া ধর্ম মানবতাবাদী ধর্ম হিসাবে পরিচিত।
হরিচাঁদের নির্দিষ্ট করা জীবনাচরণই মতুয়া ধর্ম। ছেষট্টি বছর জীবিত ছিলেন হরিচাঁদ। মৃত্যুর আগে জ্যেষ্ঠপুত্র গুরুচাঁদ ঠাকুরের ওপর অসম্পূর্ণ কাজ শেষের ভার দিয়ে যান তিনি। মতুয়া আদর্শকে সামনে রেখে সেই ধারাকেই এগিয়ে নিয়ে যান গুরুচাঁদ। তাঁর মূল কাজ ছিল পিছিয়ে পড়া মানুষের মধ্যে শিক্ষার বিস্তার। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন যে, অবহেলিত সমাজে যদি শিক্ষার আলো না পৌঁছয় তাহলে কখনওই তাঁদের মুক্তি ঘটবে না। বিদ্যাশক্তি ও অর্থনৈতিক শক্তিই কারও মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর মূল শক্তি। তিনি বলতেন, ‘খাও বা না খাও, সবে বিদ্বান করাও।’ গুরুচাঁদের শিক্ষা আন্দোলনের প্রভাবে মতুয়ারা উৎসাহিত হয়ে গ্রামেগঞ্জে পাঠশালা প্রতিষ্ঠা শুরু করেন। হরিচাঁদ ঠাকুরের ২১১ তম জন্মজয়ন্তীতে মতুয়াদের ফিরে দেখা টিভি নাইন বাংলা নিউজ সিরিজে।
গুরুচাঁদ ঠাকুর বাংলায় গড়েছিলেন শতাধিক বিদ্যালয়। কিন্তু হরিচাঁদ ঠাকুর বা গুরুচাঁদ ঠাকুরের সামাজিক উন্নয়নের কাজকে সামনে নিয়ে আসা হয়নি সুপরিকল্পিত ভাবে। কেন এই বৈষম্য? কী কারণে মতুয়াদের একঘরে করার চেষ্টা? উত্তর মিলবে TV9 বাংলার নিউজ সিরিজ ‘মতুয়া-কথা’য়। দেখুন ‘মতুয়া-কথা’। শনিবার রাত ১০টা।
Be First to Comment