অশোক দে: কলকাতা,৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২০ বেনারস ঘরের গুণী তবলাবাদক পঃ অনিল কুমার পালিত ছিলেন একজন সুদক্ষ প্রশিক্ষকও। তাঁর স্মৃতি উজ্জ্বল রাখতে সম্প্রতি যাদবপুর সূর্য সেন মঞ্চে আয়োজন হয়েছিল এক উচ্চাঙ্গ সংগীত সন্ধ্যার। বিশিষ্ট আইনজীবী জয়ন্ত ব্যানার্জি এবং দিল্লি আগত সংস্কৃতি অনুরাগী শ্যামল বোসের বক্তব্যের পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক আসর। লখনউ ঘরানার বিদুষী মণীষা রাণী বিশ্বাস শোনালেন রাগ মারু বেহাগ। সীমিত আলাপ সেরে এলেন বিস্তার পর্বে। স্বরগম, গমক, তানকারি ইত্যাদিতে তাঁর সহজতা ধরা পড়ে।
শেষ করলেন ভজনে। তবলায় যোগ্য সহায়তা দেন শিবনাথ ভট্টাচার্য। এরপর একক তবলা বাদনে এলেন তরুণী দীপমালা ভট্টাচার্য। ইতিমধ্যে এই শিল্পী ‘বাণীচক্র’ ও ‘সংগীত পিয়াসী-র মতো দু’টি উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানে বাজিয়েছেন। সাধারণত তিন তালে সবাই অনুষ্ঠান আরম্ভ করেন কিন্তু দীপমালা-র নির্বাচন ঝাঁপতাল। হয়তো এই তাল তার প্রিয়! দীপমালা-র যখন ১০বছর বয়সের তখন থেকেই ওর তবলায় আসা। তাহলে লক্ষ্য করা গেল ১০ মাত্রা মানে ঝাঁপতালেই তার ঝোঁক বেশি। জানি না! দীপমালা-র শিক্ষাগুরু পিতা শিবনাথবাবুই বলতে পারবেন।
সেদিন দীপমালা উপস্থাপনায় রেখেছিলেন উঠান, বাট,কায়দা, রেলা,গৎ ইত্যাদি অনুসঙ্গ। বেনারস ঘরের বৈশিষ্ট্য রেলা, গৎ ফর্দ ও কায়দার চমৎকারিত্ব বাজনায় গ্রহনীয় হয়ে ওঠে। কায়দা পর্বে ডমরুর গম্ভীর নাদ– অনবদ্য! টুকরা : দিঙ্গঘেনে নাগেতেটেও বেশ। শেষে সেতার ও সরোদের দ্বৈত বাদন। পরিবেশনায় ছিলেন পার্থপ্রতিম রায় ও পঙ্কজ দে সরকার। বাজিয়েছেন রাগ: কিরবাণী(আলাপ, জোড়, ঝালা)। পরে বিলম্বিত তিন তাল। বহুশ্রুত রবীন্দ্রসংগীত : যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে দিয়ে এরা আসর সমাপন করেন।
Be First to Comment