মধুমিতা শাস্ত্রী: ৬ জুন, ২০২০। লকডাউনে দূর্দশাগ্রস্থ ১০০টি পরিবারের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন রনিত রায়। সম্প্রতি ইটাইমস টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এই বাঙালি অভিনেতা খবরটি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গত জানুয়ারি মাস থেকে তাঁর কোনো রোজগার নেই। যেসব ধারাবাহিকে তিনি কাজ করেছেন সেই প্রযোজনা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে এযাবৎ কালে তিনি কোনো পারিশ্রমিক পাননি। তাঁর একটি সিকিউরিটি সংস্থা আছে সেটিও মার্চ মাস থেকে বন্ধ। তা সত্ত্বেও তিনি নিজের ঘটি, বাটি বিক্রি করে এই ১০০টি পরিবারকে সাহায্য করে যাচ্ছেন। রনিত বিভিন্ন প্রযোজনা সংস্থাগুলোর দিকে এ নিয়ে আঙুল তুলেছেন। বলেছেন যেসব বড় বড় প্রযোজনা সংস্থার ঝাঁ চকচকে অফিস দু কিলোমিটার দূর থেকেও মানুষের চোখে পড়ে তারা যদি এরপরেও এগিয়ে না আসে তবে সেটা অত্যন্ত অনুচিত হবে। লকডাউনের জেরে মানুষ কাজ হারিয়েছেন। অভিনেতারাও তাদের ন্যায্য পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না। এই দিকটা প্রযোজনা সংস্থাগুলির বিবেচনা করা উচিত বলে রনিত মনে করেন। ১৯৯২ সালে ‘জান তেরে নাম’ সুপারহিট ছবিতে মুখ্য একটি চরিত্রে অভিনয় করে নিজের কেরিয়ার শুরু করেন রনিত। কিন্তু তারপরেও তাঁর ভাগ্যে ভালো কাজ জোটেনি। শেষমেশ একতা কাপুরের প্রযোজনা সংস্থার ‘কিউকি সাস ভি কাভি বহু থি’, ‘জিন্দেগী এক এক কসৌটি’ প্রভৃতি ধারাবাহিকে অভিনয় করে তাঁর ভাগ্যে শিঁকে ছেড়ে। তারপরেও প্রায় চার বছর তাঁর কাছে টাকাকড়ি ছিল না। এমনকি গাড়ির পেট্রোল পর্যন্ত কিনতে পারতেন না, খেতে যেতেন মার কাছে। এইসব লড়াইয়ের কথা উল্লেখ করে রনিত বলেছেন, তবু আমি হার মানিনি। লকডাউনের মধ্যেই মনমিত গ্রেওয়াল নামে এক টেলিভিশন অভিনেতা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন। সম্প্রতি রাজেশ কারীর নামে আর এক অভিনেতাকে একটি ভিডিও মেসেজে সকাতরে অর্থ সাহায্যের আবেদন জানাতে দেখা গিয়েছে।
এইসব প্রসঙ্গ টেনে রনিত বলেন, আত্মহত্যা কোনো সমাধান হতে পারে না। এদিকে রনিতের সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ্যে আসার পরই বহু মানুষ তাঁকে সাহায্য করতে চেয়েছেন। রনিত বিনিতভাবে তাদের বলেছেন আমাকে সাহায্য করতে হবে না। দয়া করে তাঁদের সাহায্য করুন যাঁরা এই লকডাউনের মধ্যে না খেতে পেয়ে অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন।
Be First to Comment