গোপাল দেবনাথ: পশ্চিমমেদিনীপুর, ২৪শে জানুয়ারি ২০২০ পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ী ব্লকে অবস্থিত দুধেবুধে গ্রামসভা ট্রাইবাল ইনস্টিটিউশন, জঙ্গলমহল এলাকার এই স্কুলটি, এক পশ্চাদপদ জনপদে শিক্ষা বিস্তারে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে বিগত পঞ্চাশ বছর ধরে। এই গৌরবময় পঞ্চাশ বছর ধরে এই বিদ্যালয়ের বহু কৃতি প্রাক্তনী দেশে ও বিদেশে প্রতিষ্ঠিত। ২১ ও ২২ জানুয়ারি দু’দিন ব্যাপী নানান কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে এই বিদ্যালয় পালন করল সূবর্ণজয়ন্তী বর্ষপূর্তি উৎসব।
২১ জানুয়ারি, মাঙ্গলিক প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষপূর্তি উৎসবের সূচনা করেন ঝাড়গ্রাম রামকৃষ্ণ বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক স্বামী শুভকরানন্দজী মহারাজ। অনুষ্ঠানে সভাপতির আসন অলংকৃত করেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শিক্ষা আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব গৌরিপদ জানা। প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, পতাকা উত্তোলন, স্বাগত ভাষণ, স্মারক পত্রিকা প্রকাশ, আবক্ষ মূর্তির আবরণ উন্মোচন, বৃক্ষরোপন এই কর্মসূচীগুলির মাধ্যমে প্রথমদিনের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ২২ জানুয়ারি, অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গৌরিপদ জানা। প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন রাষ্ট্রপতি-পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও রবীন্দ্র গবেষক ড. বিবেকানন্দ চক্রবর্তী। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞানমঞ্চ, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির সম্পাদক নন্দদুলাল ভট্টাচার্য ও অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ড. শিবশংকর মহাপাত্র। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি পিন্টু সামন্ত। সুবর্ণজয়ন্তী স্মারক প্রদান করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অচিন্ত্য কুমার হাটুই। দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত তিন বক্তা তিনটি ভিন্ন ভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করেন। ড. বিবেকানন্দ চক্রবর্তী বলেনঃ ‘দ্বিশত জন্মবর্ষের আলোকে বিদ্যাসাগর’; নন্দদুলাল ভট্টাচার্য বলেনঃ ‘সকলের জন্য স্বাস্থ্য’; শিবশংকর মহাপাত্র বলেনঃ ‘সার্ধশততম জন্মবর্ষের আলোকে মহাত্মা গান্ধী’, প্রভৃতি বিষয়গুলিতে। আলোচনা সভার পর অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত হন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জনস্বাস্থ্য-কারিগরি ও পরিবেশ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ড. সৌমেন মহাপাত্র। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দিন উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র আনন্দ পুরস্কারপ্রাপ্ত সাহিত্যিক নলিনী বেরা। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ অসামান্য কৃতিত্বের সঙ্গে পরিবেশন করে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সমবেত জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষপূর্তি উৎসবের সমাপ্তি সূচিত হয়।
Be First to Comment