Press "Enter" to skip to content

সুদীপ নাগের জ্বলন্ত সামাজিক সমস্যা নিয়ে ছবি- “আমি যাযাবর”

Spread the love

সুজিৎ চট্টোপাধ্যায় : কলকাতা৬ইজানুয়ারি২০২০, পরিচালক সুদীপ নাগের আমি যাযাবর ছবির বিশেষ প্রদর্শনের আয়োজন করা হয় সাংবাদিকদের জন্য দক্ষিণ কলকাতার তপন থিয়েটারে। ইরানদীপ নাগ নিবেদিত ও শ্রীসুরেশ্বরী ফিল্মস প্রযোজিত আমি যাযাবর ছবির কাহিনীকার ও মুখ্য অভিনেত্রী কিয়া দেবদাস।ছবির কাহিনীও কিয়া দেবদাসের। প্রধান তিন শিল্পী পাপিয়া অধিকারী, শান্তনু মুখার্জি, শ্রীধর,পার্থ সারথি কুমার। ছবির একটি মাত্র গানও লিখেছেন কিয়া দেবদাস। ছবির সুরকার ও গায়ক শান্তনু ঘোষ।
ছবির কাহিনী গড়ে উঠেছে পিতৃমাতৃহীন টিয়া নামে একটি মেয়েকে নিয়ে। সে বাবুর বাড়িতে পরিচালিকার কাজ করে। এক বাড়ির কাজ হারিয়ে আর এক বাড়িতে কাজ পায়।
মুখ্য চরিত্রের পরিচিত মুখ পাপিয়া অধিকারী স্বাভাবিকভাবেই ভালো অভিনয় করেছেন। ভালো অভিনয় করার চেষ্টা করেছেন কিয়া। কিন্তু কাহিনী আর চিত্র নাট্য বাধা দিয়েছে।
পরিচালক জানিয়েছেন আমরা যখন ঘরছাড়া হয়ে যাই, তখন আমরা যাযাবর হয়ে পড়ি।
সেই অর্থে ছবির কাহিনী অনুযায়ী নামকরণ যথার্থ হয়নি। অভিধান বলে, যারা স্থায়ী ঘরে থাকে না। যাদের স্থায়ী ঠিকানা নেই। কিন্তু ছবির মূল চরিত্র টিয়া কিন্তু শ্রমের বিনিময়ে ঠিকানা চেয়েছে। কিন্তু নিরাপদ ঠিকানা পায়নি।
কাহিনীকার বিষয়টি ভালোই বেছেছিলেন। মনে পড়ে রমাপদ চৌধুরীর কাহিনী অবলম্বনে মৃনাল সেনের খারিজ ছবির কথা। শিক্ষিত সমাজ বাড়ির কাজের লোকেদের কি নজরে দেখে তার নগ্ন ছবি পেয়েছি। কিন্তু আমি যাযাবর ছবিতে তেমন কোনো জোরালো বক্তব্য পাওয়া গেলো না।
এই মুহূর্তে সমীক্ষা বলছে, সারা ভারতে সবচেয়ে বেশি মহিলা কাজের লোকের জোগান দেয় পশ্চিমবাংলা। ২০১৫ সালের কেন্দ্রীয়
গ্রামীণ উন্নয়ন বিভাগ এর সমীক্ষা বলছে দেশে প্রায় কাজের লোকের সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। কাহিনীকার যদি একটু আর্থ-সামাজিক ছবিটা অনুশীলন করে গল্প নির্মাণ করতেন তাহলে ছবিটা হয়তো কিছু হয়ে উঠতে পারতো। তখন বলতাম গল্প হলেও সত্যি। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা রাহুল বর্মন, কিয়া দেবদাস, ছবির পরিচালক সুদীপ নাগ ও গায়ক শান্তনু ঘোষ সহ অন্যান্য গুণীজন।

More from GeneralMore posts in General »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.