সুজিৎ চট্টোপাধ্যায়: কলকাতা, আজ থেকে তিরিশ বছর আগে সি কে বিড়লা হাসপাতালে গড়ে ওঠে কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিট। হাসপাতালের ডাক্তার নার্স ও কর্মীদের আন্তরিক পরিষেবার ক্ষেত্রে রোগী ও তাঁদের পরিজনদের সন্তুষ্টি তাদের পথ চলায় সাহায্য করেছে। ১৯৯০ সালে এদেশে হৃদরোগে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল১৫ শতাংশ। ২০১৬ র সমীক্ষা বলছে, প্রতি একশো রোগীর মধ্যে হৃদরোগে মৃত্যুর সংখ্যা ২৮জন। দি ল্যান্সেট গ্লোবাল হেল্থ জার্নাল তাদের গবেষণাপত্রে জানিয়েছে- নুন, চিনি ও ফ্যাট জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়ার জন্য এবং অবশ্যই ধূমপান ও তামাকজাত নেশার কারণেও এদেশের মানুষরা বেশি করে হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
সি কে বিড়লা হাসপাতালের অন্যতম হার্ট সার্জন ডা:ধীমান কাহালি জানালেন, উন্নত দেশগুলির তুলনায় এখনও আমাদের দেশে হার্ট সংক্রান্ত রোগে মৃত্যু কমের অন্যতম কারণ এদেশে বেশিরভাগ মানুষ নিরামিষাশী। প্রধানত মাংসে কোলেস্টেরলের আধিক্যের জন্যই হৃদরোগ হয়।তাছাড়া পরিবেশ দূষণের কারণেও মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়।
সোমবার হাসপাতালের নিজস্ব সেমিনার রুমে কার্ডিয়াক ইউনিটের ৩০বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হন সাংবাদিকেরা। হাজির ছিলেন হাসপাতাল গোষ্ঠীর চিফ অপারেটিং অফিসার সিমরণ দীপ সিং গিল। ছিলেন এই হাসপাতালের হৃদরোগ ও হৃদরোগ শল্য বিশেষজ্ঞ, হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা হৃদরোগীদের বেশ কয়েকজন। এদের মধ্যে যেমন আছেন ৯৫বছর বয়সের রোগী, তেমন ১৪দিনের শিশুও। শিশুটির নাম আনমোল। শিশুটির ছিল জন্মগত হৃদয়ের কিছু ত্রুটি।
ছিলেন বাংলাদেশের হৃদরোগী টি ভি আজম।হাসপাতালের তরফে সংস্থার অন্যতম কর্তা সিমরনদীপ সিং গিল বলেন, ১৯৮৯ থেকে হৃদ চিকিৎসার নির্ভরযোগ্য সেরা পরিষেবা দিতে দায়বদ্ধ বি এম বিড়লা হাসপাতালের সি কে বিড়লা কার্ডিয়াক ইউনিট কাজ করে চলেছে।মানুষের আশির্বাদে আজ যা তিরিশ বছর অতিক্রান্ত করলো।এই উপলক্ষে হাসপাতাল সংলগ্ন লনে ছিল ঢালাও খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা,তেমন ছিল গুরুত্বপূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদের স্মারকপ্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এই হাসপাতাল থেকে অপারেশনের পর সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদের অন্যতম দেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্তও হাজির ছিলেন হাসপাতালের তিরিশ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে।
Be First to Comment