শম্পা দেবনাথ: ভাগলপুর, বিহার।
রাজপ্রাসাদ- – ঐশ্বর্য – সুখী দাম্পত্যের মাঝেও
কিসের যেন অপ্রাপ্তি থেকেই বুঝি
সব ছেড়েছিলাম ……!
জগৎ- সংসার ঘুরে দেখলাম…
জরা – ব্যাধি – মৃত্যুই নির্মম সত্য !
মোহাবিষ্ট হয়ে মায়াজালে জড়ালেও
এ সত্যের সম্মুখীন তো হতেই হবে!
ধর্মের অনুসন্ধান করে বুঝলাম…
অহিংসাই তো পরম ধর্ম!
আর মূর্তিপূজো….?
তাতে কোনোদিনই তো বিশ্বাস করি নি!
তারপর কেটে গেছে বেশ কিছু যুগ….
একদিন পিছু ফিরে দেখি…
রাজপ্রাসাদ সদৃশ প্যাগোডা – মঠ !
কি বৈভব…. কত প্রাচুর্য !
মনি মুক্তোখচিত সিংহাসনে
সুসজ্জিত, কুঞ্চিত কেশে
নিজেকে দেখে বেশ অবাক হয়েছিলাম!
আমি তো মুন্ডিতমস্তক ছিলাম…
তবে কুঞ্চিত কেশ…?
দেখলাম ….
.ধর্মের ধ্বজাধারী লোভী মানুষ
আমারই মূর্তি বানিয়ে
বেশ একটা ব্যাবসা ফেঁদেছে!
আমার জীবনাদর্শ যাদের ভালো লাগত
তারা তো আমার অনুগামী ছিল… শিষ্য নয়!
ধান্দাবাজেরা বেশ একটা নাম দিল “বৌদ্ধধর্ম!”
কিছু নিয়ম – কানুন তৈরী হল,
‘লামা’ নাম নিয়ে ধর্মগুরু এল !
রমরম করে ব্যাবসা ছড়িয়ে পড়ল
দেশ – দেশান্তরে!
কিউরিও দোকানে ….
হাতি দাঁতের বুদ্ধ অবয়ব বিকোতে লাগল
বেশ চড়া দামে!
বড়লোকের ড্রইংরুমের শোভাবর্ধনে ….
বাঘছালের সাথে হাতি দাঁতের বুদ্ধমূর্তিও
অনিবার্য হয়ে উঠল!
হোটেল – পাব – রেস্তোরা – নাচঘর
গাড়ি – বাড়ি সবেতেই শো – পিস হিসেবে
প্রথম স্থান অধিকার করলাম আমি!
হতবাক হয়ে দেখি…!
আমাকেই সামনে রেখে
ভোগ – বিলাস – ব্যভিচার – হিংসায়
মজেছে মানুষ! কিন্তু…..
আমি তো ঈশ্বর হতে চাইনি!
শুধু চেয়েছিলাম…. মানুষের মাঝে থেকে
মানবতা বোধ জাগ্রত করতে….
তবে….?
Be First to Comment