অশোক দে: কলকাতা,৩১শে জানুয়ারি ২০২০। সরস্বতী পুজো উপলক্ষে পরিচিত তবলাবাদক অমিত চ্যাটার্জি-র আমন্ত্রণে শংকর ভবনে (দমদম এইচ এম ভি স্টুডিও-র কাছে) এসেছিলেন যশস্বী তবলাশিল্পী পঃ শঙ্খ চ্যাটার্জি। অনুষ্ঠান চলাকালীন সৌম্য দর্শন এই ব্যক্তিত্ব প্রথম থেকেই উপস্থিত ছিলেন নতুন প্রজন্মের শিষ্যদের উৎসাহ দিতে। সান্ধ্য আসরের সূত্রপাত সোমনাথ মজুমদারের একক তবলা বাদনে(তিন তাল)। এর পর শিশুশিল্পী অদ্বৈতা চ্যাটার্জি সনৎ সিংহের সেই বিখ্যাত ছড়ার গান ‘সরস্বতী বিদ্যাবতী’-র তালে তালে মন ভরিয়েছে।
কথকের মুদ্রাগুলোও বেশ অনুসরণ করেছে। অয়ন রায়চৌধুরী রাগ ইমন-র পর জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষ সহ শুনিয়েছে আরও একটি রচনা। তবলায় বোধিমন দাশগুপ্ত। দ্বৈত তবলা লহরায় (তিন তাল)ছিলেন শমীক চক্রবর্তী ও মৈনাক মুখার্জি। কৌস্তভ মজুমদারের সেতারে উপস্থাপনা রাগ ঝিনঝটি বা ঝিঁঝিট। খাম্বাজ রাগের ঠাটে আলাপেই মধুরতার পরশ। আরহণ-অবরোহণের চলাচলে অনুভূতি কিঞ্চিৎ আন্দোলিত হল তবলিয়া হিন্দোল মজুমদারের তিন তালে! পঃ হরিপ্রসাদ চৌরাশিয়ার ছাত্র জয় গান্ধী।
আমাদের এই অতিথি ইউ এস এ থেকে এসেছেন। বাঁশিতে সাহানা ছিল তাঁর প্রথম রাগ। পরে শোনালেন খাম্বাজ। রম্য উপস্থাপনকে তবলায় যোগ্য সঙ্গ দিলেন অর্কেন্দু মিত্র(ঝাঁপতাল, তিন তাল, এক তাল)। বিদুষী কণ্ঠশিল্পী সঙ্গীতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাগ যোগকোশ দিয়ে তাঁর আসর শুরু করেন।শেষ পরিবেশন মিশ্র ভৈরবী আধারিত তুলসী দাসের ভজন। তবলাশিল্পী শুভজ্যোতি গুহ ছিলেন যথার্থ পরিপূরক(রূপক ও তিন তাল)।
সব শিল্পীর সঙ্গে হারমোনিয়াম বাজিয়েছেন সায়ন চ্যাটার্জি। সবমিলিয়ে এরকম একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজক সোনালী চ্যাটার্জি ও অমিত চ্যাটার্জিকে ধন্যবাদ দেওয়া যেতেই পারে!
Be First to Comment