—————বিশ্ব সমুদ্র দিবস আজ————–
বাবলু ভট্টাচার্য: ঢাকা, সমুদ্র একটি বিশাল জলরাশি! সমুদ্র ভাবনাতেই চোখে ভাসে নীল জলের প্রকান্ড উৎসের ছবি। যেখানে ক্রমাগত ঢেউ ছুটে আসছে। সমুদ্রের উপরিভাগ আর তলদেশ আমাদের কাছে বেশ পরিচিত। সাগর-মহাসাগরকে বলা হয় পৃথিবীর ফুসফুস। আমাদের অক্সিজেনের সবচেয়ে বড় জোগানদাতা হল এসব সাগর আর মহাসাগর। সমুদ্রের এই অবদান, আবেদন, প্রয়োজনীয়তা আর উপকারীতাকে স্বতন্ত্রভাবে বিশ্বের সবার সামনে তুলে ধরতে প্রতি বছর ৮ জুন পালন করা হয় বিশ্ব সমুদ্র দিবস। ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রাজধানী রিও ডি জেনিরোতে আয়োজিত বিশ্ব ধরিত্রী সম্মেলনে কানাডা কর্তৃক বিশ্ব সমুদ্র দিবসের প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। ২০০৮ সালের ৫ ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৩তম অধিবেশনে গৃহীত ১১১নম্বর প্রস্তাব অনুযায়ী ২০০৯ সাল থেকে দ্য ওসেন প্রজেক্ট এবং ওয়ার্ল্ড ওসেন নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে প্রতি বছরের ৮ জুন আন্তর্জাতিকভাবে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে বৈশ্বিক অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে দিবসটি পলিত হচ্ছে।
সমুদ্র থেকে মানুষ প্রতি বছর যে পরিমাণ সম্পদ আহরণ করে এবং এর উপর ভিত্তি করে পণ্য উৎপাদন করে তার অর্থনৈতিক মূল্য বছরে দাঁড়ায় প্রায় ৩ ট্রিলিয়ন ডলার। এতো উপকার করার পরেও আমরা সমুদ্রকে রেহাই দিচ্ছি না। দিনের পর দিন নানা ভাবে, নানা চেহারা তার ক্ষতি করেই চলছি। পরিসংখ্যান আর বাস্তবতা বলছে, মোট সাগর আর মহাসাগরের ৪০ শতাংশের বেশি ক্ষতির শিকার হয়ে গেছে। মানবসৃষ্ট দূষণ আর আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়ে চলছে এই মহান জলরাশিগুলি। বিজ্ঞানীরা জানান, বিশ্বের প্রায় ১০ শতাংশ প্লাস্টিকজাত আবর্জনায় ভরে গেছে এই সব সমুদ্রের কোল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন- সাগর ও মহাসাগরকে বাঁচানোর সুযোগ এখনও আছে। সরকার ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনগুলির সন্মিলিত সক্রিয় ভূমিকা পালনের মাধ্যমে এই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
Be First to Comment