চিত্রণ চৌধুরী: কলকাতা, ১২এপ্রিল ২০২০ আগামী দিনে জোৎস্নার সৌন্দর্যের অবগাহনে সিক্ত হবার দিন বোধহয় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। পাহাড়ি নদীর ধারে কল্পনার ঘর বানিয়ে পূর্ণিমার রাতে গোনা তারা গুলো দূর ভবিষ্যতে এক এক করে ঠিক খসে পড়বে। আজকের করোনা স্তব্ধ জনজীবনের আবহে ভাবতে বসলে বলতেই হচ্ছে ভবিষৎতের মানবজীবন কিন্তু মোটেই সুরক্ষিত নয়।
প্রাগৈতিহাসিক, অতি ক্ষুদ্র, আদিম এক তুচ্ছ কণার দৌলতে মহামারীর দাপট, চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো করোনা মহামারী শুধুই এক মহড়া মাত্র। ভবিষ্যতে এর চেয়ে আরো অনেক ভয়ঙ্কর পরিণতি অপেক্ষা করছে। উদ্ধত সভ্যতার হিংস্র আস্ফালনের সাথে সাথে প্রকৃতি এবং জীবজগৎ নিধন এমন পর্যায়ে চলে গেছে তার পরিণতি ভয়ঙ্কর।
পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে ওঠার সাথে সাথে সহস্র কোটি বছর পুরোনো আদিম যুগের ক্ষুদ্র প্রোটিন কণা গুলি আস্তে আস্তে আবার জেগে উঠছে। তাই করোনা দিয়ে শুরু হয়ে পরবর্তী ক্রমিক মহামারী গুলির চরিত্র কেমন হতে পারে তার সামান্য এক আভাস আমরা হয়তো পেয়েই গেলাম।
প্রকৃতি ঠিক নিজের মতন করে ভারসাম্য রক্ষা করবে, করতেই হবে। শুধুমাত্র মানবজাতির রক্ষা প্রকৃতির কর্তব্য নয়। নিজ গ্রহের সুরক্ষা স্বার্থে প্রকৃতি নিজের মতন করেই আবার সুস্থিতি তৈরী করে নেবে, হয়তো সময় লাগবে, কিন্তু এ পরিণতি অবসম্ভাবী।
নীল আকাশে উড়ে বেড়ানো হংস মিথুনেরা অনেক উঁচু থেকে পৃথিবীকে দেখে। তারা এ কথা জানে। তাই সব নাগাল এড়িয়ে, এক প্রান্তর থেকে অন্য প্রান্তরে ছুটে বেড়ায়।
আমরা উড়তেও পারিনি, আর সব দেখে শিখতেও পারিনি। কবিগুরু কিন্তু অনেক আগেই বুঝেছিলেন, তাই আজ জোর গলায় আবার বলতে হয় “দাও ফিরে সে অরণ্য, লও এ নগর…”
Be First to Comment