রাজর্ষি মজুমদার: কর্ণধার, দেব সাহিত্য কুটির, কলকাতা, ২জুন, ২০২০। ,সারা বিশ্ব জুড়ে করোনা ভাইরাসের মহামারী তে কয়েক লক্ষ মানুষ ইতি মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন। আমাদের দেশ ভারতবর্ষ ও এই মহামারীর হাত থেকে রক্ষা পায়নি। ইতি মধ্যে আমাদের দেশেও কয়েক হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। এই রোগ থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করার জন্য দেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি। ইতিমধ্যে দু মাসের বেশি সময়কাল ধরে লকডাউন চলার কারণে গরিব দুঃস্থ মানুষ থেকে শুরু করে সাধারণ চাকুরে ও ব্যবসায়ীদের চূড়ান্ত ভাবে আর্থিক ক্ষতির শিকার হতে হয়েছে। এই লক ডাউনের প্রথম দিকে বাড়িতে পরিবার নিয়ে সময় কাটাতে খুব একটা খারাপ লাগছিল না। এই লকডাউন নিয়ে আমরা অনেকেই নানা ধরণের হাসিমজাও করেছি। কিন্তু,সবকিছুর নেপথ্যে একটা চিনচিনে ব্যাথা কম বেশি সকলেরই বুকের মধ্যে হচ্ছে। কারণ আমরা কাজ না করে দীর্ঘ দুমাস ধরে বিনা রোজগারে বাড়িতে বসে আছি। তবে সোশ্যাল ডিস্টেনসিং মেইনটেইন করতে করতে আমরা কিন্তু নিজেদের মধ্যে সোশ্যাল কমিউনিকেশন বাড়িয়ে ফেলেছি। আগে অভিযোগ ছিল পরিবারে সময় দেওয়ার সময় নেই! আর এখন আমরা স্বপরিবারে একসাথে ছাদে সময় কাটাচ্ছি, নিজেদের মধ্যে চায়ের আসরে বসছি। রেস্টুরেন্ট, শপিং মল, সিনেমা হল এ যাবার কথা ভুলেই গেছি। এই সময়কালে একবারও মনে হয়নি মাথার চুল কাটাই অথবা একটু ফ্রেশ হয়ে ভালো জামা কাপড় গায়ে তুলি। কোনো কিছুরই বিশেষ চাহিদা মনে হয়নি। পরিবারের সাথে সময় কাটাতে কাটাতে ভাবি আমরা কত স্বার্থপর ছিলাম। পরিবারের সাথে সময় কাটানোর কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। পুজো, জন্মদিন, বিয়ে বা বিবাহবার্ষিকী ছাড়া আত্মীয়দের সাথে দেখা বা কথা বলা কোনোটাই হতো না। কিন্তু এই সময়ে প্রায় রোজই ফোন করে এর ওর খবর নিতে থাকি।এখন স্কুল, অফিস সবই বন্ধ। তাই বোধহয় সময় আমাদের বাধ্য করলো মানবিকতা কে জাগিয়ে তুলতে। এই দীর্ঘ লকডাউনে এটাই আমাদের উজ্জ্বল উদাহরণ। ‘সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে’।
মানব জীবনে আর কিবা বাকি, এলো কত বাধা, এলো কত ঝড়
অজানা অচেনা অসুখের ভর মানুষের ত্বরে মানুষ না যদি বাড়ায় হাত শেষ অবধি
কিই বা রইলো পৃথিবীতে আর
সবটাই যেন ফাঁকি।
তবে জানো আজ নেই কোনো ভয়
অবশেষে হবে মানুষেরই জয়, বিপদ যতই আসুক না কেন!
এগোতেই হবে নেই পথ কোনো
একদিন ঠিক পৌঁছাতে পারবো
সেই আশাটুকু রাখি।
Be First to Comment