সুজিৎ চট্টোপাধ্যায়: কলকাতা,১৬ই জানুয়ারি ২০২০, বাড়ছে জনসংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রোগভোগ। চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি দৈনন্দিন অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস নানা রোগের জন্ম দিচ্ছে। এছাড়া তামাকজাত নেশা, মদ্যপানের আসক্তি দেশে অসুস্থতার সংখ্যা বাড়াচ্ছে। রোগের তালিকায় অন্যতম ক্যান্সার । ক্যান্সার মূলত শরীরের অস্বাভাবিক কোষের বাড়বাড়ন্ত। ক্যান্সার সম্বন্ধে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বাড়লেও ব্লাডার ক্যান্সার সম্বন্ধে স্বচ্ছ ধারণা নেই।
আজ কলকাতা প্রেস ক্লাবে নারায়না হাওড়া হাসপাতালের তরফে সাংবাদিক সম্মেলনে ব্লাডার ক্যান্সার সম্পর্কে বক্তব্য রাখলেন হাসপাতালের তরফে ক্লিনিক্যাল ডাইরেক্টর,(হাওড়া) ড: সুমন মল্লিক, ফ্যাকাল্টি ডাইরেক্টর শুভাশিস ভট্টাচার্য্, মেডিক্যাল অঙ্কলজি কনসালট্যান্ট ড: চন্দ্রকান্ত এম. ভি. এবং ইউরোলজি-ইউরো অঙ্কলজি কনসালট্যান্ট ড: অভয়কুমার।
ড: অভয়কুমার বলেন, অন্য ক্যান্সারগুলির তুলনায় এই ব্লাডার ক্যানসারকে মারণ রোগ বলা যায় না। অন্য ক্যান্সারের উপসর্গ অনেক সময় প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা যায়না, কিন্তু ব্লাডার ক্যান্সারের উপসর্গ প্রথমেই ধরা পড়ে। মূল উপসর্গ মূত্রে রক্ত আসা। এই রক্ত আসাটা অনেক কারণেই হতে পারে। তাই প্রথমেই ডাক্তার দেখিয়ে কিছু পরীক্ষার মাধ্যমে জেনে নেওয়া জরুরি মূত্রে রক্ত আসছে কেন? এই রোগটি সম্পর্কে মানুষের ধারণা স্বচ্ছ না থাকার কারণ এবং এদেশে বিষয়টি নিয়ে গবেষণা উপেক্ষিত থেকে যাওয়ায় রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে । নারায়না হাসপাতালে আগত রোগীদের মধ্যে ৪০% ব্লাডার ক্যান্সার রোগী নজরে আসছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা হয়। কিন্তু জটিলতার কারণে কেমোথেরাপি করতে হয়, করা হয় টি ইউ আর বি টি, রেডিয়েশন থেরাপিও করতে হয়।
ড: অভয়কুমার আরও বলেন , ইমিউনোথেরাপি এখনও গবেষণার স্তরে থাকলেও বি সি জি ভ্যাকসিন দিয়েও চিকিৎসা হচ্ছে । কোনো কোনো ক্ষেত্রে মূত্র থলির এই ক্যান্সারে ব্লাডারের কিছু অংশ বা পুরোটাই বাদ দিয়ে কৃত্রিম ব্লাডার রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। এই ক্যান্সারেরও অন্যতম কারণ তামাক এবং মদ। সুতরাং ড: অভয়কুমারের টিপস্ মূত্র ত্যাগের সময় জ্বালা বা মূত্রে রক্ত আসছে মনে হলেই দ্রুত ডাক্তার দেখানো উচিত । নারায়ণী হাসপাতালের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে মূত্র থলির ক্যান্সারে তাদের আধুনিক চিকিৎসা রোগীদের নতুন জীবন ফিরিয়ে দিতে পারে।










Be First to Comment