সুজিৎ চট্টোপাধ্যায়/গোপাল দেবনাথ: ৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২০ কলকাতার প্রেস ক্লাবে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মিলিত হলেন তফসিল জাতি আদিবাসী প্রাক্তন সৈনিক কৃষি বিকাশ শিল্প কেন্দ্রের পরিচালকবৃন্দ। একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি তে জানানো হয়, সংগঠনের গেঁটে গড়ি, পলাশী, ধনিয়া খালি, হুগলি অফিসের অধীনে পশ্চিমবঙ্গের ১৮ টি জেলায় ২০৪ টি ব্লকের ৬৫০০ কর্মীদের দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের ফল মিলেছে। সংস্থার কর্মীদের কর্মসংস্থান হয়েছে।
লাক্ষা উৎপাদনে সংস্থার লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ হয়েছে। এখন বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। এছাড়াও সেরি কালচার, মাশরুম, ভার্মি কম্পোস্ট, ফিশারি, বাওফ্লক, পালস মিলেট নিয়েও কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। দেশের বাজারে মাশরুমের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানিরও ব্যাবস্থা করা হয়েছে। সংগঠনের পক্ষে সম্পাদক সৌমেন কোলে জানান, ভারত সরকারের সঙ্গে যৌথ কর্মসূচি সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার ব্রত নেওয়া হয়েছে। কর্মীরা আরও সচেতন ভাবে কর্মযজ্ঞে সামিল হয়েছেন। ফলে শুধু এই রাজ্যনয়, বিহারঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, ছত্তিশগড়, অসম, ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশ পঞ্জাব ও হরিয়ানাসহ বহু রাজ্যের মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হচ্ছে। গরুর বর্জ্য পদার্থকে আরও বিজ্ঞানসম্মতভাবে কৃষি বিকাশে সহায়ক করা হচ্ছে। গরুর মল ও মূত্র বিক্রি করেও উপার্জনের সুযোগ রয়েছে।
তার সুষ্ঠ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার কাজ চলছে। মুরগি চাষের ক্ষেত্রেও এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিচ্ছে এই সংস্থা। মূলত ইন্দোনেশিয়াজাত এক বিশেষ জাতীয় মুরগি মধ্যপ্রদেশে চাষ হচ্ছে। নাম কালি মাসি। বাংলাতে বলা হয় কড়কনাথ মুরগি। জাভা দ্বীপে প্রথম মেলে এই মুরগি।নাম জেট ব্ল্যাক অ্যায়াম কেমানি চিকেন। জীব বিজ্ঞানীরা বলছেন,কালো টিস্যুর জিন বহু মাত্রার জন্য এই মুরগির পালক ও মাংস কালো।
জেনেটিক এই বিষয়টিকে বলে ফাইব্রোমেলানোসিস। মুরগির গড়পড়তা ওজন হয় দু থাকে আড়াই কে জি।ডাক্তাররা বলছেন কালো মাংসের এই মুরগি অসীম দেখতে কালো। কিন্তু গুণে ভালো। উচ্চমাত্রায় প্রোটিন, চর্বি সামান্য। অর্থাৎ কোলেস্টরল কম। রুগী, খেলোয়ার, প্রবীণ ব্যক্তি শুধু নয় সব বয়সের জন্য উপকারী। হাড়ের রোগ বা কান্সার প্রতিরোধক এই মুরগির মাংস এই মুহূর্তে দামী।
প্রায় পাঁচশ টাকা কেজি। ডিম প্রতিটি চল্লিশ টাকা। আশা করা যায় যেভাবে এই মুরগির চাষ বাড়ছে বছর খানেকের মধ্যে দাম নেমে আসবে। এই মুরগি চাষে সমস্যা কম। দ্রুত বাড়ে।সুতরাং আগামীদিনে বাঙালির পাতে এই কালো মুরগির কদর বাড়বে নিঃসন্দেহে।
খুব শিগগির ডাক্তার ডায়েটিশিয়ানদের নিয়ে এই মাংসের গুণাগুণ নিয়ে সচেতনতা প্রসারের কাজে নামবে সংস্থা। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও এই মুরগির চাষ যে লোভনীয় লাভজনক সেকথাও খামারপালনকারিদের কাছে ও বার্তা পৌঁছে দেবে এই কৃষি বিকাশ শিল্প কেন্দ্র।
এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সভাপতি হরিদাস শেঠ, গোপাল চন্দ্র মুখোপাধ্যায়, বিকাশ মণ্ডল, শুভঙ্কর বিশ্বাস ও বিপ্লব আচার্য্য।
Be First to Comment