সংগীতা চৌধুরী: কলকাতা, এই মুহূর্তে পালা বদল চলছে জি- বাংলার জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘কৃষ্ণকলি’ – র । ঘরোয়া বধূ শ্যামাকে এবার অন্যরূপে দেখা যাবে। কীর্তন গাওয়া শ্যামা এখন কি ভাবে নিজের আত্মপ্রকাশ ঘটায় তারজন্য জি – বাংলার দর্শকরা সাগ্রহে অপেক্ষা করে আছে। কিন্তু এই শ্যামা ওরফে তিয়াসা ব্যক্তিগত ভাবে কতটা ঘরোয়া না অন্যরকম সেটা জানতেই অভিনেত্রীর মুখোমুখি হওয়া গেল। প্রশ্ন:ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের ইচ্ছে ছিল?
উত্তর: একেবারেই না, তবে নিউজ রিডার হবার একটা বাসনা ছিল।
প্রশ্ন: ছোটবেলা কোথায় কেটেছে?
উত্তর: আমার বাড়ি বনগাঁ- য়, তবে গোবরডাঙা মামাবাড়িতেই আমার স্কুল ও কলেজ লাইফ কেটেছে।
প্রশ্ন: ‘ কৃষ্ণকলি’ – র মত একটা একটা গানের সিরিয়ালে কাজ করছেন ,গানটা নিশ্চয়ই জানেন?
উত্তর: আমি ছোটবেলা থেকেই নাচটা খুব ভালো করে শিখেছি, আঁকা ও শিখেছি। কিন্তু বাবার খুব ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও গানটা শিখিনি। এখন তারজন্য খুব আপশোষ হয়।প্রশ্ন: অভিনেতা সুবান রায়ের সঙ্গে বিয়েটা হল কিভাবে?
উত্তর: আমি মাস কমিউনিকেশন নিয়ে পড়ার সময় ভয়েস মডিউলেশনের জন্য থিয়েটার জয়েন করি। আমি একটা গ্রুপে কাজ করতাম আর সুবান ও আরেকটা গ্রুপে কাজ করত। কিন্তু আরেকটা গ্রুপ একটা প্রোডাকশনের জন্য আমাদের দুজনকেই ডাকে। আর সেই গ্রুপে কাজ করার সময়ই আমাদের মন দেয়া- নেয়া চলে। অতঃপর দুই পরিবারের অনুমতিতে আমাদের সম্পর্ক পরিনতি পায়।প্রশ্ন: অভিনয়টা তখন থেকেই চালিয়ে গেছেন?
উত্তর: যে প্রোডাকশনের হয়ে আমরা শো- এর কাজ করেছি , তার চারটে শো একসঙ্গে করি। নাটকটি ছিল ‘ যমের অরুচি’। তবে বিয়ের পর আর নাটক করতে চাইতাম না। কিন্তু আমার শ্বশুর মশাই আমার কন্ঠস্বরের কারনে সবসময় চাইতেন আমি অভিনয় করি। আর সত্যিকথা বলতে আমার শ্বশুর মশাইয়ের কারনেই আমার সিরিয়াল করা। এমনকি সিরিয়ালের প্রথম আউটডোর শুটিংয়ে উনি আমার সঙ্গে গিয়েছিলেন।
প্রশ্ন: ‘ কৃষ্ণকলি’ -র সুযোগ এল কি ভাবে?
উত্তর: বিয়ের পর সুবান ফেসবুকে আমার একটা ছবি পোষ্ট করে। সেই ছবি দেখেই ‘ কৃষ্ণকলি’ সিরিয়ালের প্রযোজক ও পরিচালক সুশান্ত দাস আমাকে ডেকে পাঠান। তারপরেরটা পুরো স্বপ্নের মত, আমি সিরিয়ালের লিড চরিত্র শ্যামা হয়ে উঠি।
প্রশ্ন: কিছুদিন আগে সুবানের সঙ্গে আপনার মনোমালিন্য অনেকদূর গড়ায় , কি এমন ঘটেছিল?উত্তর: মানুষের জীবনে যে কোন সম্পর্কের ক্ষেত্রেই ছোট বড় ভুল বোঝাবুঝি থাকে। কিন্তু আমরা যেহেতু এখন সকলের কাছে সেলিব্রেটি তাই আমাদের জীবনের ছোটখাট বিষয়গুলো ও তাদের কাছে বড় করে সামনে আসে।
প্রশ্ন: সিরিয়ালের মতো আপনি বাস্তব জীবনেও কি সাংসারিক কাজে নিপুনা?
উত্তর: মিষ্টি হেসে বলেন , তেমন কিছু নয় তবে সকলে বলে আমার রান্নার হাত নাকি খুব ভালো।
প্রশ্ন: জীবনের লক্ষ্য কি?
উত্তর : ভালো ছবিতে অভিনয় করা। সেক্ষেত্রে নতুন পরিচালক হলেও ক্ষতি নেই।
প্রশ্ন: অবসর কাটে কি ভাবে?
উত্তর: রোজ ১৪ ঘন্টা কাজ করতে হয়, আবার ওভার টাইম থাকলে তো ২০থেকে ২২ ঘন্টা স্টুডিওতে কাটাতে হয়, ভালো করে ঘুমানোর সময় পাই না। তাই সুযোগ পেলেই ঘুমিয়ে কাটাই। হাসতে হাসতে বললেন আসলে আমি ঘুমোতে খুব ভালোবাসি।
Be First to Comment