Press "Enter" to skip to content

বড়ে গুলাম আলী খাঁ ‘পাতিয়ালা ঘরানার’ শতবর্ষের সেরা শিল্পী হিসাবে সঙ্গীতবিশ্বে স্বীকৃত……

Spread the love

বাবলু ভট্টাচার্য: ঢাকা, তিনি হিন্দুস্থানী উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের সর্বকালের অন্যতম সেরা কন্ঠশিল্পী। এক কিংবদন্তী পুরুষ তিনি। ‘পাতিয়ালা ঘরানার’ শতবর্ষের সেরা শিল্পী হিসাবে তিনি সঙ্গীতবিশ্বে স্বীকৃত। তাঁকে অনেক সঙ্গীতজ্ঞই বিংশ শতাব্দীর ‘মিয়াঁ তানসেন’ বলে অভিহিত করে থাকেন। তিনি হিন্দুস্থানী ধ্রুপদী সঙ্গীতজ্ঞ ওস্তাদ বড়ে গুলাম আলী খাঁ। বাবা উস্তাদ আলীবক্স খাঁ ছিলেন সুখ্যাত উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী তাঁর চাচা ও গুরু উস্তাদ কালে খাঁ ছিলেন স্বনামধন্য সারেঙ্গী বাদক।

সাত বছর বয়সে কালে খাঁ’র কাছে সারেঙ্গী ও উচ্চাঙ্গসঙ্গীতে তালিম নিতে শুরু করেন বড়ে গুলাম আলী। ওস্তাদ বড়ে গুলাম আলী খাঁ সাহেবের কণ্ঠ ছিল অনন্য। তাঁর কণ্ঠের পরিসর ছিল বিস্তৃত, স্থিতিস্থাপক এবং সব লয়েই শ্রুতিমধুর। ব্যতিক্রমহীনভাবে তাঁর কণ্ঠ তাঁর সংগীতকে অসাধারণ প্রাঞ্জলতা দিয়েছে। এই বৈশিষ্ট্য কোনো কাজকে মূর্ত রূপে উপস্থাপন করে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়। তাঁর কণ্ঠ তাঁর সংগীতকে স্পষ্ট করে তুলেছে। তিনি তাঁর নিজস্ব সেরা চারটি সঙ্গীতের ধরণ প্রবর্তন করে স্মরণীয় হয়ে আছেন। সেগুলো হচ্ছে পাতিয়ালা-কাসুর, ধ্রুপদের বেহরাম খানি, জয়পুরের, গোয়ালিয়রের বেলাভাস। তাঁর রাগের বিষয়ে খানিকটা বিতর্ক রয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বলেছিলেন যে, ধ্রুপদী সঙ্গীতের সৌন্দর্য্য মূলতঃ অবসর বিনোদনের মধ্যে নিহিত। তিনি বিশ্বাস করতেন, দর্শকেরা দীর্ঘকালীন সময়ে একগুঁয়েমিতে ভোগে। ফলে তিনি শ্রোতাদের চাহিদামাফিক গানকে পরিবর্তন করে থাকেন।১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর তিনি লাহোরে বসবাস শুরু করেন।

১৯৫৭ সালে ভারতের নাগরিকত্ব পেয়ে বম্বেতে ফিরে আসেন। ১৯৫৭ সালে বোম্বের তৎকালীন মূখ্যমন্ত্রী মোরারজি দেসাইয়ের সহায়তায় ভারতীয় নাগরিকত্ব লাভ করেন ও মালাবার হিলের একটি বাংলোয় বসবাস শুরু করেন। জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সঙ্গীত পরিচালকদের কাছ থেকে অনুরোধ সত্ত্বেও সুদীর্ঘকাল চলচ্চিত্রে গান পরিবেশন করা থেকে নিজেকে দূরে রাখেন। কিন্তু কে আসিফের উদ্দীপনায় সঙ্গীত পরিচালক নওশাদের সাথে ১৯৬০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মুঘল-ই-আজম’ চলচ্চিত্রে সোহনি ও রাগেশ্রীভিত্তিক দুইটি গানে অংশ নেন। সঙ্গীত নাটক অকাদেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত বড়ে গুলাম আলী খাঁ ১৯৬২ সালে পদ্মভূষণ পদকে ভূষিত হন। ২৩ এপ্রিল, ১৯৬৮ সালে হায়দ্রাবাদের বাঁশেরবাগ প্যালেসে তাঁর দেহাবসান ঘটে।

ওস্তাদ বড়ে গুলাম আলী খাঁ ১৯০২ সালের (২ এপ্রিল) ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের কাসুর নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

More from GeneralMore posts in General »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.