————–আজ বিশ্ব ধরিত্রী দিবস—————
“এ বিশ্বকে শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ়-অঙ্গীকার।”
———— সুকান্ত ভট্টাচার্য
বাবলু ভট্টাচার্য: ঢাকা, শিশুর আগমনের পূর্বে পৃথিবীকে সে শিশুর বাসযোগ্য করে তোলা মানুষের দায়িত্ব। যে দায়িত্ব পূর্ববর্তীদের পক্ষ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে চলে আসছে। প্রায় ৪.৫ বিলিয়ন বছরের প্রাচীন এই পৃথিবী আজ সাত বিলিয়নেরও বেশি মানুষের বাসভূমি। এই আমাদের একমাত্র ঠিকানা। মানুষ ছাড়াও এই পৃথিবী আরো অগণিত প্রজাতির প্রাণী আর উদ্ভিদের ঠিকানা। ২০০৯ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অ্যাসেম্বলির ৬৩তম অধিবেশনে গৃহীত সিদ্ধান্তে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও ইকোলজিক্যাল চাহিদার মাঝে ভারসাম্য অর্জনের জন্য প্রকৃতির সাথে মানুষের সুসঙ্গতিতে সহায়তা করা এবং আমাদের পৃথিবীর ইকো-সিস্টেমকে রক্ষা করা ও বজায় রাখা প্রয়োজন।
তবে আজ এমন সময় দিবসটি পালিত হচ্ছে যখন করোনা ভাইরাসের কারণে পুরো বিশ্বই থমকে আছে। যদিও এ ভাইরাসের প্রভাবে কল-কারখানা বন্ধ থাকা এবং লকডাউন পরিস্থিতিতে বিশ্বে দূষণ অনেকটা কমেছে। পৃথিবীকে মানুষের বসবাসযোগ্য রাখতে প্রতিবছর ২২ এপ্রিল এই দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। বিশ্বকে দূষণমুক্ত ও সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে ১৯৬৯ সালে সান ফ্রান্সিসকোতে ইউনেস্কোর সভায় দিনটির সূচনা করেন শান্তিদূত জন ম্যাককনেল। বিশ্বের ১৯২টি দেশে এই দিবসটি পালিত হয়।
কবি সুকান্তের মত আমাদেরকেও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হতে হবে। শত বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে আমরাও যেন আগামীর শিশুদের জন্য পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে দিয়ে যেতে পারি।
Be First to Comment