গোপাল দেবনাথ : কলকাতা, ২৩ অক্টোবর, ২০২৩। বিধান শিশু উদ্যান এর প্রতিষ্ঠাতা দাদু অতুল্য ঘোষ এর সাধের উদ্যান শিশুদের স্বর্গরাজ্য বিধান শিশু উদ্যান। এই উদ্যানেই পড়াশোনার সাথে সাথে খেলাধুলার পাশাপাশি সমস্ত ধরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিষ্ঠার পালন করে বিধান শিশু উদ্যান কতৃপক্ষ। একই সাথে বিধান শিশু উদ্যানের সদস্যরা গত ১৬ বছর ধরে অত্যন্ত নিষ্ঠা ও ভক্তি সহকারে দুর্গা মায়ের পুজোর আয়োজন করে আসছে। প্রতিটি অনুষ্ঠানেই বিধান শিশু উদ্যানে বিশাল খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করা হয়। এই নিয়ম চলে আসছে প্রতিষ্ঠার দিন থেকেই।
ছবির বাঁদিক থেকে অধ্যাপক ঝন্টু বড়াইক, অধ্যাপক গৌতম বসু, বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতা অসীম চট্টোপাধ্যায়।
পুজোর প্রতিদিনই সকলের জন্য নিরামিষ ভোগ প্রসাদ এর আয়োজন করা হয়েছিল। নবমীর দিনটা একটু আলাদা বলা যেতে পারে। সোমবার নবমীর দিনে বিধান শিশু উদ্যানে মিলন উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। সেইসাথে ছিল ভুরিভোজ এর ব্যবস্থা।এইদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমাজের বিশিষ্টজন।বিশিষ্টজনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চিত্রশিল্পী অনুপ রায়, অসীম চট্টোপাধ্যায়, অশোক বসু, নির্মলেন্দু মন্ডল, অধ্যাপক ঝন্টু বড়াইক, অধ্যাপক গৌতম বসু, বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতা অসীম চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা। উপস্থিত ছিল উফ্যানের ছাত্র ছাত্রী বন্ধু সহ আত্মীয় পরিজন। অসাধারণ সব সুস্বাদু খাবার এর আয়োজন মন ভালো করে দেয়। এই খাদ্য তালিকায় আছে ভাত, ডাল, ঝিরি ঝিরি আলু ভাজা সাথে বাদাম , ভেটকি মাছের ফিস ফ্রাই, সর্ষে দিয়ে পমফ্রেট মাছ, কাতলা মাছের কালিয়া, আমসত্ত্ব খেজুরের চাটনি, পাঁপর, মিষ্টি লাল দই, কমলা ভোগ এবং রসগোল্লা।
ছবির বাঁদিক থেকে অনুপ রায়, অসীম চট্টোপাধ্যায়, অশোক বসু, নির্মলেন্দু মন্ডল।
খাবার খেতে খেতে অতিথিগণ ক্লান্ত হয়ে গেলেও পরিবেশন কারীদের হাসি মুখ দেখতে পাওয়া গেল। আজকের বিশেষ দিনে এই বাংলার অন্যান্য জেলা সহ অন্য রাজ্য থেকে অতিথিগণ হাজির হয়ে ছিলেন বিধান শিশু উদ্যানের প্রতিমা দর্শন সহ মিলন উৎসবে যোগদান করতে। সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গৌতম তালুকদার বলেন আমাদের ১৬ তম বর্ষের দুর্গোৎসব মিলন উৎসবে পরিণত হয়েছে। প্রতিবছর আমরা মহা নবমীর দিনে আমিষ আহারের জন্য অতিথি সহ বিশিষ্টজনদের নিয়ে একসাথে ভুরিভোজ এর আয়োজন করে আমরা নিজেরাই তৃপ্ত হই। এই দিনটা এলে মন খারাপ হয়ে যায় আবার বছরভর অপেক্ষা।
Be First to Comment