গোপাল দেবনাথ:৩১শে জানুয়ারি ২০২০ মেদিনীপুরের গৌরবী ঐতিহ্য বহন করছে মেদিনীপুর সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ফোরাম। অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মী, আধিকারিক ও সরকারি কর্মচারীদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এই সমাজসেবামূলক সংগঠন সারা বছর ধরে নানান সামাজিক কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে তাঁদের অবসর সময় অতিবাহিত করেন। মেধাবী অথচ দুঃস্থ ছাত্রদের পাঠ্যপুস্তক ও পাঠ্যসামগ্রী প্রদান, রক্তদান, বস্ত্র বিতরণ, চারাগাছ বিতরণ, বৃক্ষরোপণ, দরিদ্র ছাত্রদের আর্থিক সাহায্য, বার্ষিক পত্রিকা প্রকাশ, যুব শক্তির জাগরণ শীর্ষক আলোচনাচক্র, প্রতি মাসের শেষ রবিবার পাঠচক্র, থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা শিবির, ধূমপান ও মদ্যপানের ক্ষতিকর দিক নিয়ে আলোচনা সভা ইত্যাদি নানান সামাজিক কর্মসূচি সম্পন্ন করে এই সংগঠন। বিগত ২৫ জানুয়ারি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিধন্য বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দিরে ফোরাম উদ্যাপন করে পঞ্চদশ বর্ষীয় বার্ষিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ভারত সেবাশ্রম সংঘ মেদিনীপুর শাখার অধ্যক্ষ্য স্বামী মিলনানন্দজী মহারাজ। আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের মেন্টর প্রণব বসু, অধ্যাপক সত্যরঞ্জন ঘোষ, ডাঃ হৃষিকেশ দে, ড. হিমাংশু শেখর পান্ডা, ড. অমলকান্তি পাণ্ডে, ড. হরিহর ভৌমিক, উদ্যোগপতি মদন মোহন মাইতি, ড. শ্রীমন্ত সাহা, সমাজসেবী প্রণব কুমার দুবে, জাতীয় শিক্ষক ড. বিবেকানন্দ চক্রবর্তী সহ মেদিনীপুরের বহুগুণী মানুষ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফোরামের সভাপতি সত্যব্রত রায়।মাঙ্গলিক প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও স্বামীজীর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান এর পর স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফোরামের সম্পাদক তথা ফোরামের প্রাণপুরুষ নিত্যানন্দ পান্ডা।
শ্রী পান্ডা তাঁর স্বাগত বক্তব্যে বলেনঃ আমাদের এই সংগঠন স্বামী বিবেকানন্দের ভাবাদর্শকে অন্তরে গ্রহণ করে বিগত ১৫ বছর ধরে নানান সামাজিক কর্মসূচি সম্পন্ন করে চলেছে। আমাদের এই সংগঠন সম্পূর্ণভাবে অরাজনৈতিক ও এখনো পর্যন্ত কোনো সরকারি সাহায্য গ্রহণ করেনি। আমরা আমাদের লক্ষ্যে স্থির ও অবিচল। আগামী দিনে আমরা আরো অনেক কর্মসূচি গ্রহণ করব ও তা পালন করব। এই দিন ৪৫টি স্কুলের মোট ১৬২ জন ছাত্রকে পাঠ্যপুস্তক ও পাঠ্যসামগ্রী প্রদান করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ফোরামের সহ-সভাপতি তথা অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক আধিকারিক অশোক চক্রবর্তী। শীতের সকালে মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দির প্রকৃত অর্থেই হয়ে উঠেছিল প্রাণচঞ্চল।
Be First to Comment