গোপাল দেবনাথ – আজ কলকাতা প্রেসক্লাবে “বাংলা পক্ষ” নামে একটি জাতীয় সংগঠন তারা সাংবাদিকদের সামনে এক গুচ্ছ দাবি আদায়ের সম্মিলিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি তুলে দেন সংগঠনের কর্তা ব্যক্তিরা। এই দাবি পত্র থেকে জানা গেল এই সংগঠন বাংলা ও বাঙালির অধিকার রক্ষার্থে লড়াই চালিয়ে যাবে। এই রাজ্যে যে সকল সংস্থা বাঙালি ও বাংলাভাষিদের কর্মক্ষেত্রে নিয়োগের ব্যাপারে পক্ষ পাতিত্ব করবেন তাদের বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী গর্জে উঠবে এই সংগঠন। এই প্রসঙ্গে কলকাতার দুটি সংস্হার নাম ও উল্লেখ করেন এই সাংবাদিক সম্মেলনে। “বাংলা পক্ষ” জাতীয় সংগঠনের সদস্যরা জানালেন, বাংলার সকল চাকরিতে বাঙালি সহ ভূমি পুত্রদের কমপক্ষে ৯০% সংরক্ষণ করতে হবে। ভারতে বিভিন্ন দল শাসিত নানা রাজ্যে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। বিজেপি শাসিত গুজরাট ও গোয়া করেছে, কংগ্রেস শাসিত মধ্যপ্রদেশ করেছে, ওয়াই এস আর কংগ্রেস শাসিত অন্ধ্রপ্রদেশ করেছে। সদ্য নির্বাচিত মহারাষ্ট্র সরকার ৮০% সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করেছে। বাংলা পক্ষের দাবী চাকরিতে ৯০% ভূমি পুত্রদের সংরক্ষণ হোক এই বাংলায়। সমস্ত রাজ্য সরকারি কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে ৯০% ভূমি পুত্র সংরক্ষণ করতে হবে। স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করার পরেও মেডিকেলে রাজ্যের জন্য সংরক্ষিত ৮৫% আসনে বাংলার স্বার্থ ধ্বংসকারী ‘ডোমিসাইল- বি’ বাতিল হয়নি। এই সংগঠনের দাবি বাংলার ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রীর ‘ডোমিসাইল- বি’ বাতিলের ঘোষণা করুক স্বাস্থ্য দপ্তর। যে ভারতকে বাঙালি রক্ত দিয়ে স্বাধীন করেছে সেখানে বাঙালিকে নাগরিকত্বের পরীক্ষা কেন দিতে হবে বারংবার? ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি বৈধ ভারতীয় বাঙালি এবং নিপীড়ণের কারণে অন্য রাষ্ট্র থেকে আসা বাঙালির নাগরিকত্ব দিতে হবে। সিটিজেনশিপ এমেন্ডমেন্ট বিলের নামে সৎ নাগরিককে শরণার্থী এবং বাংলাদেশী বানানো চলবে না। এখানকার বাঙালিকে কেউ বাংলাদেশী বললে তার শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া এখানে কাউকে ভারত রাষ্ট্র অবৈধ বাংলাদেশী হিসাবে সন্দেহ করলে রাষ্ট্র কে কোর্টে প্রমান করতে হবে যে সে ভারতীয় নয়। এটা প্রমাণের দায় বাঙালির নয়, এটা রাষ্ট্রের। সেই কারণে নাগরিকত্বের নামে বাঙালিকে কোনো ভাবে হেনস্থা করা চলবে না। বাংলা পক্ষের দাবি এটি একটি ভারতের বাঙালির ধর্মীয় অসাম্প্রদায়িক, অদলীয় রাজনৈতিক সংগঠন। ভারত বিরোধী কোনো চক্রের সাথে যোগ নেই। ভারত রাষ্ট্রের অখণ্ডতা ও সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এই “বাংলা পক্ষ”। এই সংগঠনের সাথে কোনো সাম্প্রদায়িক শক্তির যোগ নেই বলে দাবি করলেন উপস্থিত সদস্যরা। এই সংগঠনের আরো দাবি আসামে অসমিয়াকে রাজ্য ভাষা করা অসাংবিধানিক এবং অন্যায্য। এই আসাম রাজ্যে বাংলা ভাষা এবং বাঙালি আক্রান্ত। আসামে বসবাসকারি বাঙালি ও বাংলা ভাষা কে যথা যোগ্য মর্যাদা ও অধিকার দিতে হবে। অসমিয়ারা যেন ভুলে না যান আসামে বাঙালিরা ভূমিপুত্র এবং এটি একটি বাঙালি সংখ্যা গরিষ্ঠ রাজ্য। এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন অর্ণব বোস, অমিত সেন, গর্গ চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক মাইতি, কৌশিক ব্যানার্জী ও সুস্মিত বসু।
বাংলা ও বাঙালির অধিকার আদায়ের স্বার্থে জাতীয় সংগঠন “বাংলা পক্ষ”
More from GeneralMore posts in General »
- বরানগরে তরুস্তুতি….।
- এটিএম কার্ড ফিরিয়ে দিল মঙ্গলকোটের ‘নিখোঁজ’ যুবক কে!….
- Your Summer Dishwashing Routine Made Simple…..
- প্রয়াত বিচারকের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোওয়ার আসর….।
- TV9 বাংলার নতুন নিউজ সিরিজ ‘বিপন্ন উত্তরবঙ্গ’….।
- কলকাতার গান এন্ড শেল ফ্যাক্টরি পরিদর্শনে প্রতিরক্ষা দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সঞ্জয় শেঠ….।
Be First to Comment