গোপাল দেবনাথ : ৭অক্টোবর ২০২১। দুর্গা পুজো মানেই যেমন কুমোরটুলির ব্যস্ততা, তেমনই শহরে ঢাকিদের আসার সময়। এ ছাড়া ঢাকের আওয়াজ শুনতে না পেলে পুজো পুজো ভাব আসে না। কলকাতায় আসার আগেই এক বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হলো বাংলার ঢাকিদের। অজয় নদীর পাড়ে কাশ বনে ঢাকা চড়ে বসেছিল ঢাকের আসর। নানা বোলে ভেসে উঠল নদীর চড়। এই অভিনব উদ্যোগ খুকুমণির। সংস্থার পঞ্চাশ বছর পূর্তি আর সেই কারণেই গ্রাম বাংলার ঢাকিদের নিয়ে হয়ে গেল এমন এক মন ভরানো আসর। পালক লাগানো ঢাকের সাথে ছিল, বাংলার ঢোল, কাঁসর, শঙ্খধ্বনি। সব মিলিয়ে অজয় পাড়ে পুজোর আমেজ ছিল জমজমাট। ঢাকির দলে ছিলেন পরেশ দাস, অনিল দাস, মনোজিৎ দাস,সুনীল দাস,শ্যামল দাস। জ্যোৎস্না থানদার (শঙ্খ )।
সাথে ছিল বীরভূমের ছিনাথ বহুরূপী সংস্থার শিল্পীরা সুবল দাস বৈরাগ্য ( শিব),ধনেশ্বর দাস বৈরাগ্য ( দুর্গা )। ঢাকের তালে বহুরূপী শিল্পীদের নৃত্য গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে মনে করায়। সব শেষে সংস্থার পক্ষে ঢাকিদের এবং সব শিল্পীদের সম্মান জানান অরিত্র রায় চৌধুরী। ঢাকিদের নিয়ে এক মিউজিক ভিডিও তৈরি করা হয় জিমা পুরস্কৃত পন্ডিত প্রদ্যুৎ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গীত পরিচালনায়। এই কাজকে করোনা আবহে সকলের কাছে পৌঁছে দিতে এই বিশেষ উদ্যোগ।করোনা কালে কাজের অবস্থা খুবই খারাপ তাই সংস্থার পক্ষে এই শিল্পীদের পাশে এসে দাঁড়ানোর এই উদ্যোগ। আজ প্রকাশ পেল সেই মিউজিক ভিডিও।
পন্ডিত প্রদ্যুৎ মুখোপাধ্যায় জানান,”বাংলার ঢাকিদের নিয়ে কাজ করার অনেক দিনের একটা ইচ্ছা ছিল। আর দুর্গা পুজোর আগে এর চেয়ে ভালো আর কিই বা হতে পারতো।যারা এই বাদ্যযন্ত্রের ঐতিহ্যের ধারক এবং বাহক তাঁদের শ্রদ্ধা জানালাম আমার নতুন সুর সৃষ্টির মাধ্যমে।করোনা কালে সবার মতো ওঁদেরও নানা সমস্যা হয়েছে।এই সুর সৃষ্টি তাই ওঁদেরকেই উৎসর্গ করলাম।”অন্যদিকে খুকুমণির পক্ষে ডাইরেক্টর অরিত্র রায় চৌধুরী বললেন,” আমাদের সংস্থার পঞ্চাশ বছর উপলক্ষে দুর্গা পুজোয় ঢাকিদের পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। এই সম্মান দিতে পেরে আমরাই সম্মানিত হলাম।
“মিউজিক ভিডিওটা মহালয়ার দিন মুক্তি পেয়েছে। সমগ্র ভিডিও পরিকল্পনায় সুদীপ্ত চন্দ। ভিডিও নির্দেশনায় সৌম্যদীপ সরকার, অরুণ হালদার।
Be First to Comment