বাবলু ভট্টাচার্য: ঢাকা, বাংলাদেশ: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০। দেখতে দেখতে শেষ হয়ে এলো ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। সেই সঙ্গে বিদায়-বিরহের সুর প্রাণের মেলা বইমেলায়।
বাংলা একাডেমির চত্বর কিংবা সোহরাওয়ার্দী ময়দান জুড়ে রবিবার থেকে জ্বলে উঠবে না সারি সারি বইয়ের কুটির। আজ শনিবারই দিন শেষে পর্দা নামছে এবারের আসরের। এবারের বইমেলা একটা তৃপ্তি নিয়েই শেষ হচ্ছে বলা যায়। অন্যবারের চেয়ে এবারের বইমেলার আয়োজনে ছিল বৈচিত্র্য-ভরা।
সুপরিসর, নান্দনিক এবং গোছানো। বড় পরিসরে স্টল ও প্যাভেলিয়ন সাজানো হয়েছিল সোহরাওয়ার্দী ও একাডেমি চত্বর। ফলে মেলায় আসা ক্রেতা-দর্শনার্থীরা স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরেফিরে বই কিনেছেন। উপভোগ করেছেন মেলা। কবি-সাহিত্যিকরা মেতেছিলেন সাহিত্য আড্ডায়।গতকাল ছিল বইমেলার শেষ শুক্রবার। মেলা শুরু হয়েছিল বেলা ১১টায়। দুপুর একটা পর্যন্ত ছিল শিশুপ্রহর।
এই সময়টাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিশুচত্বরে হালুম, ইকরি আর শিকুদের দেখতে শিশু-কিশোরদের উচ্ছ্বাসের জোয়ার লেগেছিল। দুপুর একটা থেকে তিনটা পর্যন্ত মেলায় লোকসমাগম কিছুটা কম ছিল। জুমার নামাজ ও মধ্যাহ্নভোজে ব্যস্ত ছিলেন বইয়ের ক্রেতারা। সূর্য মাঝ আকাশ ছাড়িয়ে পশ্চিমে হেলিয়ে পড়তেই মানুষের ঢল নামে মেলায়। বিকেল নাগাদ মেলা টইটম্বুর। সন্ধ্যায় বইমেলা যেন লোকে লোকারণ্য হয়েছিল। ভিড় ছিল মেলার শেষ অবধি। শুক্রবারে মেলায় বিক্রিও হয়েছে আশানুরূপ। ক্রেতাদের সামলে বিক্রয়কর্মীদের দম ফেলার ফুসরত ছিল না। এদিকে আজ মেলায় ক্রেতাসমাগম যেমন আছে, তেমনি বিক্রিও হচ্ছে ভালো। খুশি প্রকাশকরাও।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে উৎসর্গ করে বইমেলা শুরু হয়েছিল ২ ফেব্রুয়ারি। ওইদিন মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Be First to Comment