হাসে অন্তর্যামী-
শম্পা দেবনাথ: ভাগলপুর, বিহার।
জানিস……
একটা প্রেমের বাসা ছিল!
ফুরফুরে মেঘ, নদী ছিল,
তিরিং – বিড়িং লাফানো ছিল,
ফুরুৎ- ফুরুৎ ওড়া ছিল!
মোদের একটা বাসা ছিল!
এসবই মা বলেছিল!
উঁচু ডালে ছোট্ট বাসা
চখা – চখীর কাঁদা হাসা!
কুয়াশামাখা শীতের ভোরে ,
শহরতলীর অগোচরে
প্রেম এল যে চুপটি করে!
দুটি প্রাণের হৃদয় জুড়ে!
কিচিরমিচির কতো কথা,
আদর সোহাগ নক্সী কাঁথা!
তারপরেতে দিনের শেষে
কালো আঁধার ঘনিয়ে আসে….
জোব্বা পড়া জাদুকরে
লোহার খাঁচায় দিল পুরে!
জাদুকরের শখটি খাসা
হেথায় অনেক লোহার বাসা!
খাঁচায় – খাঁচায় পাখ – পাখালি
কে যেন বলে
“বুঝি ,এখন এলি? ”
ক’দিন পরে কি যে হল….
মহারাজের শমন এলো!
“শোনো.. শোনো… শোনোওওওও
কেউ বাইরে যায় না যেনওওওও!
মৃত্যুদূতের আনাগোনা
বাইরে যেতে সবার মানাআআআআ! ”
ধৈর্যহারা জাদুকরে
এঘর থেকে সেঘর করে !
জানলা দিয়ে আকাশ দেখে
রকমারী গন্ধ মেখে!
ঘুমিয়ে – খেয়ে আবার শুয়ে
শিকল খোলার আর্জি নিয়ে…
পাগল হল দুদিনেতেই!
অস্থির বুঝি! ভালো লাগে না!
বন্দী জীবন ……আর সয় না!
কে যায় ঐ অট্টহেসে
যেন বলে কানে ,এসে
“যার যা পাওনা তোলা থাকে সব
তুমি বল পাকচক্র ,আমি বলি সময় সরব! “
Be First to Comment