Press "Enter" to skip to content

প্রাচীন কলা কেন্দ্র-র ৪৭তম বার্ষিক সমাবর্তন উৎসব

Spread the love

অশোক দে: কলকাতা, ১২ই জানুয়ারি ২০২০ প্রাচীন কলা কেন্দ্র-র উদ্যোগে মহানয়ক উত্তম মঞ্চে হয়ে গেল সমাবর্তন উৎসব। ছিল গুণীজন সম্মাননাও। হিন্দুস্থানী সংগীতের পাশাপাশি কাব্যগীতি তথা কলাবিদ্যা প্রচার ও প্রসারে প্রাচীন কলা কেন্দ্র-র একটা নিরন্তর ভূমিকা রয়েছে। উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধির নেপথ্যে যাদের অবদান ছিল তাঁরা হলেন গুরু এম এল কোসার, সুনীল কোসার এবং অবশ্যই সংস্থার রেজিস্টার শোভা কোসার। প্রায় এমনই বলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক তিলোত্তমা মজুমদার,ভাস্কর নিরঞ্জন প্রধান,নৃত্যশিল্পী অলকা কানুনগো,তবলাশিল্পী আনন্দগোপাল বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। সংগীত সম্পর্কিত সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন প্রখ্যাত শিল্পী ইন্দ্রাণী সেন। কথাশিল্পী শংকরকে সংস্থার পক্ষ থেকে দেওয়া হল জীবনকৃতি সম্মান। উত্তরে কৃতজ্ঞতার পাশাপাশি একটু রসিকতা করে বলেন প্রতিষ্ঠানের নাম প্রাচীন কলা কেন্দ্র করলেন কেন? তবে কী নবীনদের সন্দেহ করেন!রবীন্দ্রনাথ থাকলে নিরন্তর কলা কেন্দ্র করতেন। প্রদ্যত ভদ্র স্মৃতি সম্মান পান সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক(বিজ্ঞান বিষয়ক)পথিক গুহ।সম্মাননীয় অতিথিদের মধ্যে ছিলেন পরিচিত চিত্র পরিচালক প্রভাত রায়,সংস্থার রেজিষ্টার শোভা কোসার,সচিব সজল কোসার সহ অনেকে। এম এল কোসার অ্যায়ার্ড পান গুণী তবলাবাদক পঃ গোবিন্দ বোস। তবে গোবিন্দবাবু পুরস্কৃত অর্থমূল্য ৫১ হাজার টাকা ফিরিয়ে দিয়ে বলেন এটা সংগীতের কল্যাণে ব্যবহৃত হোক। এই সম্মান পেলেন কণ্ঠশিল্পী পঃ দীননাথ মিশ্রও। সান্ধ্য আসরে তিন তাল লহরা(পেশকার, কায়দা, রেলা,টুকরা, চক্রদার) শোনান পঃ গোবিন্দ বোস। এদিন তার নির্বাচন আজরানা,পঞ্জাব,বেনারস,লখনউ ও ফারুকাবাদ ঘরাণার কিছু কম্পোজিশন! পঃ দীননাথ মিশ্র-র উপস্থাপনায় ছিল রাগ বাগেশ্রী(বিলম্বিত একতাল, দ্রুত তারানা, দ্রুত তিন তাল)। শেষে মিশ্র পরমেশ্বরী ভজন যাতে সমর্পিত ভাব ফুটে ওঠে!সহায়তায় ছিলেন হিরন্ময় মিত্র, বিজয় মিশ্র, সোমনাথ বোস ও পঃ দেবাশিস অধিকারী।সমাবর্তন উৎসবে সফল ছাত্র-ছাত্রীদের পুরস্কার ও শংসাপত্র প্রদান করা হয়।

More from GeneralMore posts in General »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.