Press "Enter" to skip to content

পার্ক স্ট্রিট গণধর্ষণ মামলায় নিম্ন আদালতের কাজে হস্তক্ষেপ নয়, জানালো হাইকোর্ট

Spread the love

মোল্লা জসিমউদ্দিন,

সোমবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টে পার্ক স্ট্রিট গনধর্ষন মামলায় নিম্ন আদালতের বিচার প্রক্রিয়ায় দ্রুত শুনানি চাওয়া এক পিটিশনের শুনানি চলে। সেখানে দ্রুত শুনানির আবেদন খারিজ করে কলকাতা হাইকোর্ট পরিস্কারভাবে জানিয়ে দেয় – ‘নিম্ন আদালত অর্থাৎ সিটি সেশন কোর্টে যেমন বিচার প্রক্রিয়া চলছে, ঠিক তেমনিই চলবে। নিম্ন আদালতে শুনানিতে কোন অনিয়ম নেই ‘। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩ মার্চ কলকাতা হাইকোর্ট পার্ক স্ট্রিট গনধর্ষন মামলায় নিম্ন আদালত কে তিন মাসের মধ্যে মামলা নিস্পত্তি করার অনুরোধ জানিয়েছিল। তিন মাস তো বটেই আটমাস কেটে যাওয়ায় এখনো এই মামলার নিস্পত্তি ঘটেনি। তাই অভিযুক্তদের পক্ষে দ্রুত শুনানির আবেদন চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করেন মামলাকারীর আইনজীবী। সোমবার দুপুরে এই পিটিশনের শুনানিতে বিচারপতি পার্ক স্ট্রিট গনধর্ষন মামলায় নিম্ন আদালতের বিচার প্রক্রিয়ায় কোন হস্তক্ষেপ করতে রাজী নয় বলে জানিয়ে দেন। উল্লেখ্য, ২০১২ সালে ৯ ফেব্রুয়ারির পার্ক স্ট্রিট গনধর্ষন মামলায় প্রথম পয্যায়ে দুজনের দশ বছরের কারাবাসের রায়দান ঘটে। দ্বিতীয় পয্যায়ে বাকি অভিযুক্তদের মধ্যে দুজন গ্রেপ্তার হয়। গনধর্ষন কান্ডে নির্যাতিতা ২০১৫ সালে ১৩ মার্চ মশাবাহিত রোগে মারা যান। ২০১২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারিতে ঘটে যাওয়া এক সন্ধ্যায় পার্কস্ট্রিটে একটি মারুতি ভ্যান এর মধ্যে গণধর্ষণ করা হয় এক মহিলাকে। সেই গণধর্ষণ মামলায় নিম্ন আদালতে দুজন অভিযুক্ত কে দশবছরেের সাজা দিলেও পরবর্তী পর্যায়ে আরো দুই অভিযুক্ত গ্রেফতার হলেও তাদের মামলা এখনো পর্যন্ত নিম্নআদালতে ঝুলে রয়েছে। শাস্তি কবে পাবে সে বিষয়ে নিয়ে দীর্ঘ প্রশ্নচিহ্ন থেকে যাচ্ছে।মামলার আবেদনকারির পক্ষের আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি জানিয়েছেন – “২০১২ সালে ৯ ফেব্রুয়ারিতে একটি মারুতি ভ্যান এর মধ্যে এক মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় কলকাতার ব্যাঙ্কশাল আদালতে দীর্ঘ শুনানির পর অভিযুক্তদের সাজা ঘোষণা করে কলকাতা নগর দায়রা আদালত। এই পার্কস্ট্রিট গণধর্ষণ মামলায় আরো দুই অভিযুক্ত দীর্ঘদিন ফেরার ছিল। ২০১৬ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আজাহার আলী সহ দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২৪ শে নভেম্বর ২০১৬ সালে গণধর্ষণ মামলায় অতিরিক্ত চার্জশিট দেয় পুলিশ। ১৭ ই ডিসেম্বর ২০১৬ সালে কলকাতা নগর দায়রা আদালতে শুরু হয় এই মামলার শুনানি। ২০ এপ্রিল ২০১৮ সালে পার্কস্ট্রিট গণধর্ষণ মামলার দ্বিতীয় পর্বের সার্চ ফ্রেম হয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। এই দুই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় সংবিধানের ফৌজদারি ধারা ৩৭৬( ২) জি,১২০ বি,৫০৬,৩৪ নম্বর ধারায় মামলার শুনানি শুরু হয়।২০১৯ সালে ৩ রা মার্চ কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল ৩ মাসের মধ্যে মামলার শুনানি শেষ করতে হবে। দীর্ঘ আট মাস কেটে গেলেও মামলা শুনানি দূর অস্ত এখন পর্যন্ত সাক্ষীদের বয়ান সম্পূর্ণ করে উঠতে পারেনি পুলিশ। মামলার শুনানি শেষ কবে হবে সেইটাও পরিষ্কার নয়। চলতি বছরের ২২ শে ডিসেম্বর কলকাতা নগর দায়রা আদালতের এই পাক স্টিট গণধর্ষণ মামলার বিচারক অবসর নেবেন, স্বাভাবিকভাবেই মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।এই অনিশ্চয়তা কাটাতে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয় অভিযুক্ত আজাহার আলী ওরফে আলী খান। আইনজীবীর মাধ্যমে দ্রুত শুনানির আবেদন চেয়ে মামলা দাখিল হয়। সোমবার দুপুরে এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি নিম্ন আদালতে এই মামলার সমস্ত কাগজপত্র দেখে জানিয়ে দেন – নিম্ন আদালতে শুনানিতে কোন অনিয়ম নেই, যেমন ভাবে বিচারপ্রক্রিয়া চলছে তেমনই চলবে। মামলার বিষয়ে কোন হস্তক্ষেপ করতে রাজী নয় তা জানিয়ে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।

More from GeneralMore posts in General »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.