নিউজ স্টারডম: কলকাতা, পরিচালক জয় ভট্টাচার্যর ছবি ‘দা জোকার’ মূলত সেই সমস্ত লোকেদের গল্প যারা সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজের ফিলিংস সম্পূর্ণরূপে উন্মুক্ত করে দেয়। নিজের ইমোশনকে সম্পূর্ণরূপে যারা সকলের সামনে তুলে ধরে তারা ভুলে যায় যে কিছু মানুষ সেটার অ্যাডভানটেজ্ নিতে পারে। এই গল্পে কিছু মেয়ে একটি সংস্থা চালায়, যাদের মূল উদ্দেশ্য ইমোশনালি ডিপ্রেসড কিছু লোকেদের টার্গেট করা, তারপর তাদের সাথে প্রেমের নাটক করে তাদের পয়সা হাতিয়ে নেওয়া। এরকমই নাটকের শিকার হয় দিজোকার ছবির দুটি চরিত্র-সায়ন বিশ্বাস ও বিরেশ রায়। সায়ন হঠাৎ পাওয়া ধাক্কা সামলাতে না পেরে, সুইসাইড করে।
সদ্য প্রেমে আঘাত প্রাপ্ত বিরেশ ও মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। অথচ দুজনের এই অবস্থার জন্য যারা দায়ী তাদের বিপক্ষে কোন তথ্য প্রমাণ না থাকার জন্য পুলিশ কিছুই করতে পারে না। বীরেশের বাবা মা ওকে সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে পাঠায়। সাইক্রেটিস্ট বুঝতে পারে বীরেশ একটা ট্রমার মধ্যে দিয়ে চলেছে। মেয়েদের বিদ্রুপ ও মেনে নিতে পারছে না। এর সাথেই আবির্ভাব হয় একটা জোকারের। যে দিনরাত বিরেশ কে ভয় দেখায়। পরিস্থিতি অন্যরকম রূপ ধারণ করে যখন একটার পর একটা মেয়ে এবং তাদের প্রিয়জনরা মারা যেতে আনন্দ করে। বীরেশের দেখার জোকার ওদের মারতে থাকে। ক্রাইম ব্রাঞ্চ এর ইনভেস্টিগেটিং অফিসার আর্যমান খুনি ও হত্যার মোটিভ দুটোই বুঝতে পারেনা। তবে শখের গোয়েন্দা সৌমিত্র চ্যাটার্জী র সহযোগিতায় এটা বুঝতে পারে যে মেয়েগুলো যাদের ক্ষতি করেছে তাদের মধ্যেই কেউ ঘটনা ঘটাচ্ছে। হত্যার বীভৎসতা খুনির অস্বাভাবিক মানসিক অবস্থার পরিচয় দেয়। পরিস্থিতির অতিরিক্ত খারাপ হওয়ার আগে সৌমিত্র আর্যমান কে বিষয়টি সামলাতে বলেন। মেয়েগুলোর এবং তার সাথে বীরেশের ও ভবিষ্যৎ অবস্থা সম্পর্কে সন্দিহান হয়ে ওঠেন সকলে। কে এই জোকার? কেন সে একটার পর একটা খুন করে? বীরেশ কে সে ভয় দেখায় কেন? আর্যমন কি পারবে মেয়েগুলো কে ও তাদের কাছের লোক গুলোকে বাঁচাতে? সাইক্রিয়াটিস্ট কি পারবে বীরেশ কে জোকারের ভয়ের হাত থেকে মুক্ত করতে? এসব জানতে গেলে পুরো ছবিটা দেখতে হবে। এই মার্চ মাসেই আসছে দা জোকার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে।
নর্থ বেঙ্গল, মন্দারমনি ও কলকাতার বিভিন্ন অংশে শুটিং হওয়া এই ছবিটি তে অভিনয় করেছেন-সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, আমান রেজা, জয় বোস, অর্চিষ্মান সিং, বিবেক রায়, মৌ বৈদ্য, প্রাঞ্জল সরকার, সংযুক্তা রায়, জিনিয়া মুখার্জি, কোহিমা বসু, হিমিকা পাত্র, জয় ভট্টাচার্য প্রমুখ।
একটি মাত্র গানের সুর ও কথা দিয়েছেন, সুমিত রায়। গান গেয়েছেন সপ্তপর্ণী ।
“ছিপ সুতো চার” এরপর পরিচালক জয় ভট্টাচার্য র এই ছবিটি আবার কিছু নতুন চিন্তা নিয়ে আসছে। ফিল্ম এর মাধ্যমে সমাজকে সচেতন করা পরিচালকের উদ্দেশ্য। ছবির কাহিনী চিত্রনাট্য সংলাপ পরিচালকের নিজের। সানি এন্টারটেইনমেন্টের কর্ণধার সানি ভট্টাচার্য ছবির গল্প নিয়ে এবং কাজ নিয়ে ফ্যাশনে উৎসাহিত। এটি প্রযোজক এর প্রথম ছবি। সদ্য বি কম পাশ করা সানি ভট্টাচার্যী নিজেও একজন পরিচালক হতে চান এবং এই ছবিতেও সহযোগী পরিচালক তথা সিনেমাটোগ্রাফি রো কাজ করেছেন। ডিওপি রঞ্জিত মন্ডল শুভেন্দু সাহা ও উদয় রায় নতুন হলেও ভালো কাজ করেছেন বলে পরিচালক মনে করেন। নিজে আর্কিটেকচারাল লাইটিং করেন বলে জয় ভট্টাচার্য নিজেই লাইট ডিজাইন এর দায়িত্বে ছিলেন। ছবিটি হিন্দি, বাংলা এবং সাদরি ভাষায় রিলিজ হতে চলেছে। প্রচারে দেবব্রত রায় চৌধুরী।
Be First to Comment