নিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতা, ২ই জানুয়ারী ২০২৪: কম্পিউটার সায়েন্স এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রোগ্রামে অন-ক্যাম্পাস ব্যাচেলর অফ টেকনোলজির উদ্বোধনের পর অসাধারণ সাফল্য পেয়েছে রিশিহুড বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত নিউটন স্কুল অফ টেকনোলজি। ইতিমধ্যেই অনলাইনে প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। চলতি বছরের ২০২৪-এর ব্যাচের জন্য এনএসএটি (নিউটন স্কলাস্টিক অ্যাপটিটিউড টেস্ট) গত বছরের ২২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে। এই আবেদন সারা দেশের ছাত্র ছাত্রীরা যারা ২০২২, ২০২৩ বা ২০২৪-এ তাদের উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল পরীক্ষায় ৫০ শতাংশ এর বেশি নম্বর পেয়েছে, তারা সকলেই বি.টেক, কম্পিউটার সায়েন্স এবং আরটিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বিষয়ে আবেদন করতে পারবে। সুযোগ থাকছে শীর্ষস্থানীয় মাল্টিন্যাশনাল এবং নেতৃস্থানীয় স্টার্টআপ সহ বছরে ৫ থেকে ৪০ লক্ষ টাকার বেতনের প্লেসমেন্ট প্যাকেজ সহ ১৮০০ এর বেশি নিয়োগকারী সংস্থার সাথে কাজ করার। এখনও অব্দি ৩০০০ এর বেশি প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে কাজ করে চলেছে এবং আন্তর্জাতিক স্টাডি ট্রিপের মাধ্যমে সিঙ্গাপুর এবং সিলিকন ভ্যালিতে ফান্ডেড কনফারেন্সে যোগ দিয়েছেন এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা।
প্রাথমিক ইনটেক রাউন্ডের মাধ্যমে, আবেদনকারীদের জন্য রয়েছে একগুচ্ছ বৃত্তির সুযোগ, যা তাদের ভর্তির সম্ভাবনাকে আরো এক ধাপ এগিয়ে দিতে পারে। এনএসএটি ইন্টারভিউ স্কোর, জেইই, সিবিএসই, কেভিপিওয়াই এবং অলিম্পিয়াড পারফরম্যান্সের উপর ভিত্তি করে, শিক্ষার্থীরা ১০০ শতাংশ পর্যন্ত মেধা-ভিত্তিক বৃত্তি পেতে পারে তাদের টিউশন ফি এর জন্য। মহিলা শিক্ষার্থীদের একাডেমিক লক্ষ্য পূরণে উৎসাহিত করার জন্য এই প্রোগ্রামটি ৪ বছরের জন্য টিউশন ফি এর উচ্চ বৃত্তি প্রদান করবে। পুরো পাঠ্যক্রমটি সুনিপুণভাবে, সমালোচনামূলক ভাবে চিন্তা করতে এবং জটিল সমস্যার সমাধান করতে ও শিল্পে সাফল্য নিশ্চিত করে দ্রুতগতির মাধ্যমে প্রযুক্তিগত ভাবে পরিবেশে উন্নতি করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। মোট ২০০০ এর ওপর নিয়োগকারী অংশীদারদের সাথে নিউটন স্কুল অফ টেকনোলজি শিক্ষার্থীদেরকে ভবিষ্যতের চাকরির জন্য প্লেসমেন্ট এবং ৬ মাসের ইন্টার্নশিপ প্রদান করবে, যাতে তারা শীর্ষ-স্তরের কোম্পানিগুলির সাথে কাজ করার বাস্তব অভিজ্ঞতা লাভ করে। দিল্লী এনসিআর-এ অবস্থিত এই কোর্সটি শিক্ষার্থীদের অর্থায়নে আন্তর্জাতিক স্টাডি ট্রিপ এবং কনফারেন্স, এমআইটি, ডিউক ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক স্তরের ক্লাস এবং অ্যামাজন এবং গুগল সহ আরও অনেক কোম্পানির সাথে বিশ্বব্যাপী এক্সপোজারে কাজ করার সুযোগ দেয়। এনএসটির ছাত্ররা ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্ট ক্লিয়ার করে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টুডেন্ট কোডিং প্রতিযোগিতায় শিল্প বিশেষজ্ঞদের মেন্টরশিপের অধীনে প্রথম সেমিস্টারেই ভারতের শীর্ষ কলেজগুলিকে ইতিমধ্যেই ছাড়িয়ে গেছে।
এই কোর্সটি শিক্ষার্থীদের তাদের স্টার্ট-আপ সম্পর্কে সরাসরি ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্টদের কাছে তুলে ধরার সুযোগ করে দেয় এবং শিক্ষার্থীদের জন্য উপলব্ধ ১ কোটি টাকার স্টার্ট-আপের অতিরিক্ত সুবিধার সাথে তহবিল সংগ্রহের সুযোগও করে দেয়।
প্রোগ্রামে নথিভুক্ত ছাত্রদের মধ্যে অন্যতম মুরালি মাধব বলেন, “আমি সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে যেতে পেরে আনন্দিত এবং নিউটন স্কুল অফ টেকনোলজি আমাকে যে সুযোগ দিয়েছে তার জন্য কৃতজ্ঞ। বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠাতা এবং সহকর্মী শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগের কারণে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে আরো অনেক সাহায্য পেয়েছি। টেক ইন্টিগ্রেটেড প্রোগ্রামটি আমাকে ‘আইইইই হরিয়ানায়’ প্রথম স্থান পেতে সাহায্য করেছে।”
নিউটন স্কুল অফ টেকনোলজির সহ-প্রতিষ্ঠাতা সিদ্ধার্থ মহেশ্বরী বলেছেন, “আমরা প্রযুক্তি শিক্ষার ভবিষ্যৎকে প্রাণবন্ত করে তুলছি। আমাদের পাঠ্যক্রমটি আট-সেমিস্টারে ভাগ করা হয়েছে এবং কম্পিউটার বিজ্ঞান, এআই বিষয়ের ওপর ক্রমাগত আপডেট করা হচ্ছে। এই সক্রিয় পদ্ধতি আমাদের এবং ছাত্রদের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির শীর্ষ স্থানে রেখেছে।”
উল্লেক্ষ প্রথম এবং দ্বিতীয় বছরে, শিক্ষার্থীরা প্রোগ্রামিং এর মৌলিক বিষয়, ডেটা স্ট্রাকচার এবং অ্যালগরিদম, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং ফাউন্ডেশনাল সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর নজর দিয়েছে। জটিল ব্যবহারকারী গবেষণা এবং বৃদ্ধির কৌশল, এআই এর জন্য গণিত, মেশিন লার্নিং এবং এনএলপি এর ওপর তৃতীয় বছরে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে । শেষ বছর রয়েছে উদ্যোক্তাদের কেন্দ্র করে- স্টার্ট-আপ এবং স্টার্ট-আপ সম্পর্কিত শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত প্রযুক্তির অন্যতম হিসেবে প্রস্তুত করা।
Be First to Comment