চলে গেলেন জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান
বাবলু ভট্টাচার্য: ঢাকা, জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান মারা গেছেন। আজ (১৪ মে) বিকাল ৪ টা ৫৫ মিনিটে রাজধানী ঢাকার একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।পেশায় তিনি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। চিন্তায় ও মননে দূরদর্শী একজন রাষ্ট্রনায়ক। জাতির সব ক্রান্তিলগ্নে একজন শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবী হিসেবে তিনি জাতিকে দেখিয়েছেন আশার আলো। শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, চিন্তাবিদ হিসেবে প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি রেখেছেন অনন্য স্বাক্ষর। আমাদের শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও গবেষণায় অপরিহার্য হয়ে উঠেছিলেন আনিসুজ্জামান। দু’হাত উজাড় করে তিনি আমাদের দিয়েছেন। গোটা জাতি তাঁর চিন্তাচেতনা, ভাবনা- দর্শনের কাছে নতজানু। ড. আনিসুজ্জামান ১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাটে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ডা. আবু তাহের মোহাম্মদ ছিলেন বিখ্যাত হোমিওপ্যাথ চিকিৎসক। মা ‘হাতেম তাই’ গ্রন্থের লেখক। এই অতি সংক্ষিপ্ত পরিচয় থেকে বোঝা যায়, আনিসুজ্জামানের অস্তিত্বের মধ্যেই আছে শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি-ভাবনার গোপন ন্যায়সূত্র। ১৯৫৬ ও ১৯৫৭ সালে স্নাতক সম্মান এবং এমএ-তে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি। ১৯৬২ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন। ১৯৬৫ সালে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট ডক্টরাল ডিগ্রি অর্জন করেন।
মহান ভাষা আন্দোলন, রবীন্দ্র উচ্ছেদবিরোধী আন্দোলন, রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী আন্দোলন এবং ঐতিহাসিক অসহযোগ আন্দোলনে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন।
আনিসুজ্জামান বাংলা সাহিত্য একাডেমি, একুশে পদক, ভারতের পদ্মভূষণ এবং দেশ-বিদেশের আরো অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মান অর্জন করেছেন।
Be First to Comment