বসন্ত বাতাসে সই গো, বসন্ত বাতাসে
বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ, আমার বাড়ি আসে
বন্ধুর বাড়ির ফুল বাগানে, নানা রঙের ফুল
ফুলের গন্ধে, মন আনন্দে, ভ্রমরে আকুল
সই গো, বসন্ত বাতাসে…
– বাউল শাহ আবদুল করিম
—–
নিউজ স্টারডম: কলকাতা, ৬মার্চ ২০২০ বাংলার বসন্তে দোল আসে ফাগুনের সাতরঙা ক্যানভাস নিয়ে। নতুন আলো, নতুন প্রাণকে স্বাগত জানাতে সেই ক্যানভাসে মিশে যায় পলাশ, কৃষ্ণচুড়া, জারুল, শিমুল, অমলতাসের দল। প্রকৃতির এই রঙের বন্যায় যেন ডুবে যেতে চাই আমরাও। সেই প্রতিশ্রুতিটাই বেঁধে দেয় দোল উৎসবের ছন্দ।
তবু কোথাও যেন সেই ছন্দটা কেটে যাওয়ার একটা ইঙ্গিত মিলছে। মানুষ আর প্রকৃতির হাজার-হাজার বছরের সহাবস্থান।
আজ কলকাতা প্রেস ক্লাবে এর উদ্বোধন করলেন ভেষজ আবিরের আবিষ্কর্তা এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর সিদ্ধার্থ দত্ত। ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং ফুড টেকনোলজিস্ট প্রশান্ত বিশ্বাস , রবি বোস, মধুমিতা সরকার, কৃষ্ণেন্দু ব্যানার্জী। বিষাক্ত রাসায়নিক আর যন্ত্রসভ্যতার বেহিসেবি ব্যবহারে আমরা জর্জরিত, বিষাক্ত, রোগগ্রস্ত।
আমাদের শরীর জুড়ে বিষের এই প্রবাহ আমরা ঢেলে দিচ্ছি প্রকৃতির বুকেই। একই সঙ্গে দূরে সরে যাচ্ছি প্রকৃতির সম্পদেই নিজেদের রাঙিয়ে নেওয়ার পরম্পরা থেকে।
বিষ জর্জরিত পৃথিবীকে ফের সবুজ-রঙিন আধুনিকতার পরিবেশ বানানোর লড়াইতে এই ফাগুনেই শুরু হল এই রাঙ্গামাটি সংস্থার পথ চলা। আর এই রাস্তায় ওরা সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছে প্রকৃতিকেই। জল-জঙ্গল-বাজারের উদ্বৃত্ত, অবহেলিত, ফেলে দেওয়া ফুল-বীজ-আগাছা থেকে সম্পদ ছেঁচে এনেছে ওরা। সেই সন্ধানেরই ফসল ‘রাঙামাটি- বিজ্ঞানের নিরাপদ ব্যবহারের একটি সফল পরীক্ষা।
এই পরীক্ষা-নিরীক্ষায় রাঙামাটির সঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা। প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় দুর্গাপুরের ডিআইএটিএম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ।
সংস্থার তরফে সকলকে প্রকৃতির এই রঙের উৎসবে রঙিন হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। গেয়ে উঠুন,
‘আহা আজি এ বসন্তে এত ফুল ফুটে
এত বাঁশি বাজে
এত পাখি গায়।’
Be First to Comment