গোপাল দেবনাথ – আজ থেকে ৪২ বছর আগে, এক মিশনারী প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে জে এন রায় হাসপাতাল এক গর্ভবতী মহিলা এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন (ওই শিশুকন্যার কোন পিতৃ পরিচয় ছিল না)।
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে সেই শিশু কন্যা কিংবা তার মায়ের কোন যোগাযোগ ছিল না। কিন্তু আজকের দিনে যোগাযোগ সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য নানা রকম উপায় সহজলভ্য। ঠিক করলাম আমাদের জে এন রায় হাসপাতাল কে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে যুক্ত করার এর পরেই একটা সুন্দর ঘটনার সাক্ষী হলাম আমরা সবাই। বিশেষ করে যখন আমরা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে নিজেদের যুক্ত করি তখন থেকে ওই মহিলা সেদিনের শিশু আজকে সে একজন ৪২বছরের সুন্দরী। আমাদের হাসপাতালের সাথে প্রতি নিয়ত যোগাযোগ শুরু করলেন।
কিন্তু ঘটনাটা অত্যন্ত হৃদয় বিদারক, ওই শিশুটিকে সেই মিশনারী প্রতিষ্ঠান থেকে সমস্ত আইন মেনে ফরাসি এক দম্পতির হাতে তুলে দেওয়া হয়, তারা যথেষ্ট স্নেহ যত্নে সেদিনের শিশু আজকের অ্যাঞ্জেলা কে বড় করে তোলেন।
কিন্তু ভারত বর্ষ, বাংলা, কলকাতা এঞ্জেলার রক্তে, তাই সে কোনোদিনও ভুলতে পারিনি তার জন্মভূমিকে। মাকে খুঁজতে খুঁজতে এসে পৌঁছে ছেন এই হাসপাতালে সেই সুদূর ফ্রান্স থেকে।
যেদিন থেকে যোগাযোগ সেদিন থেকে এই হাসপাতাল ও নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তার হারানো মাকে খুঁজে বের করার, এখন এঞ্জেলা ও প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছে নিজে। এই সব কথা জানা গেল এই হাসপাতালের পরিচালন সমিতির প্রধান সজল ঘোষ এর কাছ থেকে।
এই মানবিক কাজের জন্য সংবাদ মাধ্যমের সহযোগিতা প্রার্থনা করেন।এই ঘটনাটা কে মানুষের সামনে তুলে ধরে সংবাদমাধ্যম যদি তার মানবিক মুখ টাকে আর একবার সামনে আনে, তাহলে হয়তো কলকাতা পারবে এঞ্জেলার মাকে খুঁজে দিতে। এত বছর পর এঞ্জেলার আগমনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জন্মদিনে কেক কাটার আয়োজন করে ছিল, সবাই খুশী এই আয়োজনে।
সজল জানালেন আপনাদের সকলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, একবার ওই পরিতক্ত বাঙালি মেয়েটার পাশে এসে দাঁড়াবার জন্য, যে সম্পূর্ণ ভাবে তার নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভারতীয় থেকে ফরাসি হয়ে গিয়েছে।
Be First to Comment