**স্বর্গীয় নারায়ণ দেবনাথ এর অনুমোদিত নন্টে – ফন্টে এর চিত্রায়ন করা সর্বপ্রথম ফিচার ফিল্ম জালান ইন্টারন্যাশনাল ফিল্মস এর প্রযোজনা।**
নিজস্ব প্রতিনিধি ; কলকাতা, ৩০ এপ্রিল ২০২৩। স্বর্গীয় নারায়ণ দেবনাথ এর অমর সৃষ্টি নন্টে ফন্টে’র টুকরো টুকরো কাহিনী প্রায় শিশু কিশোর থেকে শুরু করে সকলের ই জানা আছে, তবু আর একবার মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য সারসংক্ষেপ দেওয়া হলো:-
হিরাগঞ্জ আর মতিগঞ্জ কেঁপে ওঠে – নন্টে ফন্টের তান্ডবে। ১২ বছরের দুই পুঁচকের জ্বালায় জেরবার সবাই। তাঁদের জ্বালায় অতিষ্ট হয়ে হাতী স্যারের হোস্টেলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় তাঁদের পরিবার। অগত্যা দুই পুঁচকে এসে ওঠে হোস্টেলে। দুজনের ঠাঁই হয় একই ঘরে।
শুরু হয় দুজনের লড়াই। কে বড়ো? নন্টে যেমন ফন্টেকে জব্দ করতে চায় , তেমনি ফন্টেও বুদ্ধি আঁটে কিভাবে নন্টেকে ঘায়েল করবে। এসব করতে গিয়েই তারা ধরে ফেলে চোর – কাঁকড়াকে।
কাঁকড়া, ড্রাগনের পরিবারের এক অন্যতম সদস্য।
এই ড্রাগনের অনেক স্বপ্ন। তার হাত দিয়েই তো তৈরী হয়েছে কতো নামকরা চোর, জালিয়াত। উঃ- ভাবা যায়…… চোর ডাকাতে চারপাশ ভরিয়ে দিতে পারলে তাকে আর পায় কে? অন্য দিকে চোর ধরে হাতী স্যারের বাহবা কুড়ায় নন্টে – ফন্টে। এই সব দেখে জ্বলে ওঠে কেল্টুদা। কেল্টুদা নন্টে ফন্টের থেকে বেশ কয়েক বছরের বড়ো। কেল্টু দা হোস্টেলের মনিটার। সবাই কেল্টুদাকে সমীহ করে চলে। কেল্টুদা নন্টে – ফন্টের খাবার ঝেড়ে খায়। মিথ্যে কথা বলে তাঁদের হাতী স্যারের কাছে মার খাওয়ায়। পদে পদে নাস্তানাবুদ করতে থাকে কেল্টুদা। বারে বারেই নন্টে – ফন্টেকে জব্দ করতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে যায় কেল্টুদা। কেল্টুদার মুখে শুধু বড় বড় কথা – সে তান্ত্রিক হবে, সে নাকি ক্যারাটে মাস্টার…… বাঘও নাকি তাকে ভয় পায় – এইসব গুলগল্পে মাস্টারপিস এই কেল্টুদা।
একসময় হাতী স্যারের ভাগ্নি ফোন করে জানায় – সুন্দরবনে তাদের বাড়ির পাশে নাকি বাঘ ঢুকেছে। ব্যাস….. হাতীস্যার তাঁদের নিয়ে সুন্দরবনের বাঘ মারতে আসে। ফেরার পথে তাঁদের বাসটা আবার হাইজ্যাক করে দুই ক্রিমিনাল। ক্রিমিনাল দুজন আবার সব শুধু ভুলে যায়। সেই ভুলে যাওয়ার রোগের বশেই বাস সমেত গোটা টিম এসে পরে ড্রাগনের খপ্পরে।
ড্রাগনের আনন্দ তো আর ধরেনা। বাসে কতজন…… এদের সবাইকে যদি সে চোর ডাকাত বানাতে পারে, তাহলে তো কেল্লাফতে। শুরু হয় চুরি বিদ্যার ট্রেনিং …… কিন্ত এ তো সর্বনাশে কান্ড। সবাই যদি চোর ডাকাত হয় – তাহলে গোটা দেশে নেমে আসবে সাড়ে সর্বনাশ। না না – যেভাবে হোক – ড্রাগনের হাত থেকে উদ্ধার করতেই হবে সকলকে। আসরে নামে নন্টে ফন্টে। ধরা পড়বে কি ড্রাগন? রহস্যে রোমাঞ্চে ভরা এই সিনেমা। জানতে হলে অবশ্যই দেখতে হবে কমিকস নিয়ে তৈরি প্রথম বাংলা ছবি নারায়ণ দেবনাথের অন্যবদ্য সৃষ্টি – নন্টে ফন্টে।
*কাহিনী : নারায়ণ দেবনাথ*
*চিত্রনাট্য ও সংলাপ : অম্লান মজুমদার*
*সঙ্গীত : অনুপম রায়*
*সিনেমাটোগ্রাফার : আয়ুব আলী খান।*
*শিল্প নির্দেশনা : সমর হালদার*
*কালারিষ্ট : ঋতজিৎ*
*গণমাধ্যম প্রচার – রানা বসু ঠাকুর*
*প্রোমো এডিটর- অনির্বাণ চ্যাটার্জি*
*Motion এডিটর – অনির্বাণ ব্যানার্জী*
*কার্যনির্বাহী পযোজক : বিশ্বজিৎ মুখার্জী*
*সহ- প্রযোজক : আকৃতি জালান*
*প্রযোজনা : জালান ইন্টারন্যাশনাল ফিল্মস*
*পরিচালনায় : অনির্বান চক্রবর্তী*
*অভিনয়ে : পরান বন্দ্যোপাধ্যায় , অম্লান মজুমদার, শুভাশিস মুখার্জী, সুমিত সমাদ্দার, লামা, কাঞ্চনা*, *বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, পার্থসারথি দেব, পুলকিতা, সোহম বসু রায় চৌধুরী, সোহম বোস, কৃষ্ণ ব্যানার্জী , মনোজ্যোতি মুখার্জী, নিমাই ঘোষ সহ অন্যান্যরা।
নন্টে ফন্টে ও আমি – সাংবাদিকদের কাছে তার অভিজ্ঞতা জানালেন অভিনেতা ও স্ক্রিপ্ট লেখক অম্লান মজুমদার
অনেক অভিনয় করেছি …অনেক চিএনাট্য লিখেছি….কিন্তু নন্টে ফন্টে আমার জীবনে এক অন্য অনুভূতি …. স্বয়ং নারায়ণ দেবনাথ নিজের হাতে আমায় আটশো কমিকস তুলে দিয়েছিলেন পড়ার জন্য ….হ্যাঁ ,আটশো …..ঠিক ই পড়েছেন!
যদিও তার আগে আমি অনেকটাই পড়ে ফেলেছি ….তবু তার হাত থেকে পাওয়াটা আমার কাছে ভাগ্যের ব্যাপার। ….কমিকস নিয়ে প্রথম ছবি …অভিনয় ও লেখা, দুভাবেই আমি যুক্ত …আর কি চাই?…পরান বন্দোপাধ্যায় ..শুভাশিসদা ..পার্থ সারথী দেব…লামা দা…কাঞ্চনা …এদের সঙ্গে অভিনয় …. আর সব থেকে বড় পাওয়া শুটিং লোকেশনে নারায়ণবাবু এসে কাগজ নিয়ে আঁকলেন নন্টে ফন্টে । এখন দর্শকদের মন ছুঁয়ে গেলে তবেই আমাদের পরিশ্রম সার্থক হবে। প্রয়াত নারায়ণ বাবু’র প্রতি সঠিক শ্রদ্ধা নিবেদন হবে বলে আমি মনে করি।
Be First to Comment