Press "Enter" to skip to content

“জাদুকর এবং তাঁর কবিতার সনেট-ফনেট” – জাদুশিল্পী পি সি সরকার জুনিয়র….।

Spread the love

প্রদীপের সঙ্গে আলাপ= প্রলাপ….।

এই সিরিজের নোতুন সংযোজন নং-১

প্রদীপ চন্দ্র সরকার : জুনিয়র, লেখক ও জাদুশিল্পী।

ম্যাজিক দ্যাখানোর ফাঁকে- ফোকরে
কবিতা লেখা, ম্যান্ডোলিন বাজানো
প্রবন্ধ লেখা, ছবি আঁকা এবং
বৌ-কে Impress করাটা হ’চ্ছে
আমার বিনোদন। আমাকে কেউ ভালো
ব’ললেই আমি, প’টে যাই।
সবাই বলেন আমাকে, কবিতার অ্যাকটা
বোই লিখতে। লিখছি। নীচের লেখাটা
হচ্ছে সেই বোই-এর ভূমিকার অংশ হিসেবে
অ্যাকটা জবাব দিহি।
দু-মাসের মধ্যেই প্রকাশ পাবে।
একটু স্যাম্পেল দিলাম। প্রকাশ পেলেই
জানাবো।
•••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
“জাদুকর এবং তাঁর কবিতার সনেট-ফনেট”
– জাদুশিল্পী পি সি সরকার জুনিয়র
____________________________

এই তো ক’দিন আগে,
পোকায় খাওয়া অর্থ-বিহীন ঘূণাক্ষরের মতো,
বেড়িয়ে ছিলো, কলম ঘষে,
লেখা দু-চার-লাইন !
না ছিলো তাতে ছন্দ-টন্দ,
রূপ রস ভরা , গন্দ্ধ-টন্দ্ধ,
অথবা কোনও আঁতলামী সহ ,
নিয়ম ভাঙ্গা আইন।
(+)
অ্যাক রসিক প্রকাশক,
ক’দিন ধ’রেই লেগে ছিলেন,
আমার পিছু পিছু!
খাতা খানাকে, হঠাৎ জোরে,
কেড়ে নেছেন খপাৎ ক’রে!
দু-তিনটে তার পত্রিকাতে,
ছেপেও ছিলেন, মজার সাথে,
খোবলানো তার কিছু!!
তাতে পাঠক কূলে ব’য়ে গেছিলো,
(কথাটা নাকি হক।)
দশ বারো ভোল্ট হ’বে হয়তো,
মৃদু অ্যাকখানা শক্।
(+)
সোফেস্টিনস্টি গসিপাসরে,
ও রা ব’ললেন “বা—রে!!!
দেখি, দেখি, দেখি, দেখি!!
ও সত্যি লিখেছে নাকি?
নেই কি কোথাও ভুল?
তাহ’লে দ্যাখো পঁচা গোবরে,
ব্যাকিং-পেয়ে, কপাল জোরে,
ফুটেছে পদ্ম ফুল !?!
অ্যাক আধ-ফোটা তেল জমেছিলো,
তাতেই জ্বেলেছে আলো!! ”
খবর পেলাম, মুখ ব্যাঁকালেও,
আড়ালে ব’লেছে “ভালো” !!
( &)
আর তার পরেতেই ব্যাস্ !!
বাঙালি জাতির স্বভাবোনুযায়ী,
খেয়ে ফেল্লাম গ্যাস্ !!
ম্যাজিক নাকি মঞ্চ ছেড়ে, উঠলো স্মৃতির ফ্রেমে!
টই টুম্বুর হয়েই গেছিলাম, কবিতা লেখার প্রেমে।

প্র-স্তাবক আর বাকি ওরা, ব’ললো, বা বা বা!
অ্যাত্তোদিনে প্রকাশ পেলো, ” পিয়োর প্রতিভা! ”
আরও লেখো তুমি, আরও লেখো,
লিখেই চলো হে ভাই!
কবিতার এই ‘ঢল’ খানাকে, কখনো থামাতে নাই। ”

গা ঘেঁষে ব’সে ব’ললো বুঝিয়ে,
রুমাল দিয়ে ঘামটা মুছিয়ে,
“জীবনের পথে কতো না হেঁটেছো।
ম্যাজিক ঘটাতে প্রচুর খেটেছে,
অ্যাখোন একটু চেয়ারে বসিয়া, জিরাইয়া লহ ভাই।
আবার খাটতে জান-প্রাণ ভ’রে,
অ্যাকটানা , বেশ কিছুদিন ধ’রে,
বিশ্রাম ন্যাওয়া চাই।
কবিতা লিখিবে চেয়ারে ব’সিয়া,
কলোমটা শুধু কাগজে ঘোষিয়া।
ছন্দ গোড়িবে রোসিয়া রোসিয়া;
নব নব সারপ্রাইজ !!
দুনিয়ার লোক হইবে ধন্য,
সাহিত্য তোমাকে জোগাবে অন্ন,
পাইবে নোবেল প্রাইজ!
জ্ঞানপীঠ বা ম্যাগসাইসাই, অ্যাকাডেমি বা অন্য,
সবকটা প্রাইজ ওয়েট ক’রছে,
কেবলি তোমার জন্য। ”

কিন্তু অ্যামোনও ব্যক্তি আছেন,
যাঁরা বাস্তব ভালোবাসেন।
জীবনটা তাঁরা রূপকথাতে
যতোটা পারেন ঠাসেন।
কলমে লেখা কল্পনা নয়,
চোখের দ্যাখা বাস্তব ময়,
দিগন্তের এই সীমানা মাঝেই অবাস্তবের দেশে।
গতরে খেটে,হাতে হাত ধ’রে,
চ’লে যেতে চান ভেসে।
ব’ললেন তাঁরা-“আরে ছ্যা, ছ্যা, ছ্যা,
এ কী ক’রছো, অ্যাঁ!!!
এটা কি তোমায় সাজে?
যেটা যার কাজ, তার করা ভালো।
ম্যাজিক-প্রদীপ জ্বালিয়েই চলো,
এ-সব তুমি কী ক’রছো????
কবিতাতে ক্যানো মোরছো ???

চমকে গেলাম আমি!
পুরোটা সঠিক না হ’লেও ওরা,
কথাটা বোলেছে দামী!
নইলে দেখুন, মন-প্রাণ-খুলে,
সামাজিকতার সীমা রেখা ভুলে,
‘মুডে থাকা’ এই আমায়?
কবিতা লিখতে থামায়?

খুলে ব’লি আমি, “আরে ধুচ্ছাই,
পাগোল হ’য়েছো নাকি??
ম্যাজিককে দেবো ফাঁকি?
শুধু শুধু ভেবে, তোমরা অ্যাতোটা,
সিরিয়াস ক্যানো হোচ্ছো ?
ভুল কথা ভেবে তোমরা দেখছি,
মিথ্যে কষ্টো পাচ্ছো।
শুনে রাখো ভাই, তোমরা সবাই, চিন্তার কিছু নেই!
জাদু মিশে আছে সবার ভেতরে,
নানাভাবে লুকিয়েই!
যন্ত্রপাতি , বিজ্ঞান আর শিল্প- সাহিত্য-কর্ম,
রেওয়াজ ,আওয়াজ, সবারই ‘ম্যাজিক’ ধর্ম।
কৌশলগুলো সব বিজ্ঞান, সবই ছন্দেতে ভরা,
নাটুকে জিনিস,হিসেব মতো সাজিয়ে গুছিয়ে গড়া।
অভিনয় গুলো ফুটিয়ে তুলতে, বাকপটু হ’তে হবে।
বাকপটু হ’তে,পড়াশোনা ভাই ,তোমায় ক’রতে হবে। হ’তেই হবে জাদুকরকে, কারিগরী জানা মিস্ত্রি।
যন্ত্রচালনা, পুরো খুঁটিনাটি, তবেই ঘটবে mystery.
জানতে হবে গো অনেক ভাষা,
নানান লোকের মনের আশা,
ছন্দপতন ঘটবে খ্যালাতে, রিদম সেন্স না থাকলে।
সামাজিকতা, ধর্মের বাণী, খবর পুরো না রাখলে।সীমানা খানা জানতে হবে,
‘বাস্তব’ সেটা কদ্দুর?
মনের আঁধার কোত্থেকে শুরু,
কোথায় বা শেষ রোদ্দুর।
শরীরটাকে রাখতে হবে, ‘অ্যাক্রোবেটিক ফিট’,
চরিত্রটা রাখতে হবে, ‘স্পট লেস অ্যান্ড ‘নিট’।
ম্যাজিকের এই ডেস্টিনেশন!
সব চলারই শেষের স্টেশন।
ম্যাজিক যাঁরা করেন,
মানে ‘মিথ্যে’ যাঁদের সত্যি,
বাক্যি দিয়ে কাটাকূটি গ্যালারি, সহজাত প্রবৃত্তি।

তবে, একেই যদি কবিতা বলো,
হিসেব তাহ’লে অন্য ।
খাটতে হয়না বাড়তি কিছু,
এ-সব লেখার জন্য।

আমি লিখে রাখি, এখানে সেখানে,
প্লেনের টিকিটে, ঠোঙার পেছনে।
এলো-মেলো ভাবে যেখানে সেখানে,
যখোন য্যামোনি ইচ্ছে।
(তবে)
আজকাল ভাই কে বা কাহারা,
সব কিছু তার দিতেছে পাহারা,
ডাস্টবিন থেকেও আড়ালে তাহারা,
যত্নে কুড়িয়ে নিচ্ছে!
আমাকে না-ব’লে,
পুরোটা গোপনে,
ছাপতে পাঠিয়ে দিচ্ছে!!

(আমি) আসল কথাটি কোই,
আমি মোটেই ‘কবি’ নোই !!
হঠাৎ ক’রে, কপালের জোরে,
ছন্দটা মেলে, ম্যাজিকের বরে,
কলমটা ধ’রলেই ।

‘কবি’ হোতে গ্যালে প্রতিভা-ট্রতিভা,
অফুরান থাকা দরকার।
আমি তো নিছক মাদারি একটি,
প্রদীপ চন্দ্র সরকার।

 

More from BooksMore posts in Books »
More from InternationalMore posts in International »
More from Writer/ LiteratureMore posts in Writer/ Literature »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.