Press "Enter" to skip to content

জাতীয় বিজ্ঞান দিবসে সদর আর্বান-১ চক্রের উদ্যোগে বিজ্ঞান প্রদর্শনী ও কর্মশালা…..

Spread the love

গোপাল দেবনাথ: মেদিনীপুর, প্রখ্যাত বিজ্ঞানী সি. ভি. রমনের আবিষ্কারকে সম্মান জানিয়ে প্রতিবছর ২৮-এ ফেব্রুয়ারি দিনটি পালিত হয় জাতীয় বিজ্ঞান দিবস হিসেবে। মেদিনীপুর শহরে সদর আর্বান-১ চক্রের উদ্যোগে জাতীয় বিজ্ঞান দিবসে বিজ্ঞান প্রদর্শনী ও কর্মশালার আয়োজন করা হয়। চক্রের ২০টি বিদ্যালয় এই প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করে। বিদ্যালয় ভিত্তিক মডেলগুলি উপস্থাপনার জন্য দু’জন করে ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিল।
শহরের পিছিয়ে পড়া এলাকার বিদ্যালয়গুলির ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে এধরনের প্রদর্শনীতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উৎসাহও ছিল চোখে পড়ার মতো। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলি থেকে এই মডেল প্রস্তুত করা হয়েছিল। ‘পরিবেশ দূষণ’, ‘পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের-কাজ ও গুরুত্ব’, ‘জল দূষণ’, ‘চলো সবুজ বাঁচাই’, ‘তরলের তিন রূপ’ এরকম বিভিন্ন বিষয় ছিল প্রদর্শনীতে। চক্রের শিক্ষক সুভাষ কুন্ডু বলেন, “আমরা গত ছয়-সাত দিন ধরে আমাদের শিশুদের এই মডেল তৈরিতে সহযোগিতা করেছি। তারা খুব আনন্দ সহকারে মডেলটি প্রস্তুত করে এখানে উপস্থিত হয়েছে”।
আর এই কর্মকান্ডের যিনি মূল কান্ডারী, এই চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. অরুণাভ প্রহরাজ জানান, “বিগত বছর থেকে আমরা এই প্রদর্শনীর আয়োজন করছি। গতবছর ১৪টি বিদ্যালয় অংশগ্রহণ করেছিল। এবছর ২০টি বিদ্যালয় অংশগ্রহণ করেছে”। অরুণাভ বাবু বলেন, “সরকারি পরিকাঠামোয় পরিচালিত বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবং এই বিদ্যালয়গুলির প্রতি অভিভাবক-অভিভাবিকাদের আস্থা ফেরাতেই এমন উদ্যোগ। এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের বিজ্ঞান শিক্ষায় যেমন আগ্রহী করে তোলা যাবে, তেমনি বিজ্ঞানভিত্তিক সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে”। এদিনের অনুষ্ঠানে বিচারক ও কর্মশালার অন্যতম বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. বিশ্বজিৎ সেন, অধ্যাপক বিদ্যাসাগর শিক্ষক শিক্ষণ মহাবিদ্যালয়। বিশ্বজিৎ বাবু বলেন, “প্রাথমিক স্তরে এ ধরনের উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়”। অনুষ্ঠানের শেষে অংশগ্রহণকারী সকল ছাত্রছাত্রীকে ছোট্ট উপহার তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারী বিদ্যালয়গুলিকে মেডেল ও ট্রফি তুলে দেওয়া হয়। প্রথম হয়েছে মন্ডল প্রাথমিক বিদ্যালয়, দ্বিতীয় মির্জা বাজার কামার পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তৃতীয় হয়েছে স্মৃতিকণা শহীদ ক্ষুদিরাম প্রাথমিক বিদ্যালয়। একাডেমিক কাউন্সিলের আহ্বায়ক অতনু মিত্র জানান, “এ ধরনের প্রদর্শনী ও কর্মশালার আয়োজনের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা যেমন উৎসাহ পায়, শিক্ষক-শিক্ষিকারাও তেমনি নিজেদের মধ্যে নতুন কিছু করার তাগিদ অনুভব করেন”।

More from GeneralMore posts in General »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.