৭০ বছর পূর্তিতে চীনের সাংবাদিক সম্মেলন
গোপাল দেবনাথ – ১৯৪৯ সালে ১লা অক্টোবর মাওয়ের নেতৃত্বে কমুনিস্ট রাজ শুরু চীনে। এর মধ্যে কেটে গেছে ৭০টা বছর। ১৯৫৭সালে ‘গ্রেট লিপ ফরোয়ার্ড মুভমেন্টস ‘,-এর মাধ্যমে কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিতে পা ফেলে সমাজতান্ত্রিক পথে এগিয়ে যায় চীন। ফলে আজ চীন নিজেকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত করেছে।
ভারত তথা বাংলাসহ সমগ্র উত্তরপূর্বাঞ্চলের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক বহু প্রাচীন। ১৯৫৪ সালে নেহেরু – চৌ এন লাই এর উদ্যোগে পারস্পরিক সম্পর্ক দৃঢ় করতে পঞ্চশীল নতি চুক্তি করেন। মূলত দুই দেশ নিজেদের সার্বর্ভৌমত্ব বজায় রেখে শান্তিপূর্ণ ও বন্ধুত্বের সহাবস্থানে থাকবে বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে।
চীনের ৭০বছর পূর্তিতে কলকাতার গ্রান্ড হোটেলের বলরুমে দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের সাংবাদিকদের নৈশ ভোজে আপ্যায়িত করে কলকাতার দি কনসুলেট জেনারেল অফ দি পিউপিল’স রিপাবলিক অফ চীন। মূলত এই আয়োজন ছিল দেশের পাঁচটি রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খন্ড, ছত্তীসগঢ় এবংওড়িশার সাংবাদিকদের সঙ্গে। এই প্রীতি সম্মেলনে হাজির চীনের ছিলেন কনসাল জেনারেল ঝা লিউক। তিনি বলেন, চীনে নিজস্ব সাইট অত্যন্ত জনপ্রিয়। কিন্তু ভারতে টুইটার ও ফেসবুকের চল। তাই এই সংবাদ বিষয়ক টুইটার একাউন্টের উদ্বোধন করে চীনের কনসাল জেনারেল ঝা লিউক বলেন তাই এই পদ্ধতিতেই আমার টুইটার হ্যান্ডেল এর শুভ সূচনা করলাম। আগামীদিনে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ককে মজবুত করে গড়ে তুলতে যা যথেষ্ট সাহায্য করবে। তিনি আরও জানান, চীনের এই ৭০বছরের ঐতিহাসিক ক্ষনকে স্মরণীয় করে রাখতে এবং প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সঙ্গে বন্ধত্বের সম্পর্ককে সুদৃঢ় করতে কনস্যুলেট বছরভর নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে চীনের কনসাল জেনারেল কলকাতার রক্ষক ফাউন্ডেশনের ম্যানেজিং ট্রাস্ট্রি ও কর্ণধার চৈতালি দাসের হাতে তুলে দেন একটি সার্টিফিকেট। চীনের ইউনান প্রদেশে চীনের বিদেশ দফতরের তরফে আয়োজিত দারিদ্র দূরীকরণ কর্মসূচিতে ভারতীয় স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে যোগদানের জন্য। প্রসঙ্গত বলা যেতে পারে এই ভারতবর্ষের প্রথম কোন মহিলা এই সম্মানীয় সার্টিফিকেটটি পেলেন। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে চৈতালি দাস এবং এ এন এম গ্লোবাল মিডিয়া রিসার্চ এর সি ই ও অভিজিৎ নন্দী তাদের চীন সফরের অভিজ্ঞতা এবং চীন সরকারের অতিথিপরায়ণতার বর্ণনা করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে এক ভিডিও প্রদর্শনের মধ্যে দিয়ে চীনের ৭০ বছরের উজ্জ্বল প্রগতির ছবি তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানের শেষে ছিল চীনা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অসাধারণ চীনা লোকগীতির সুর মূর্ছনা চীন ভারত মৈত্রীর সুরকেই যেন মূর্ত করে তোলে। তথ্য সহায়তা- সুজিত চট্টোপাধ্যায়।
Be First to Comment