মোল্লা জসিমউদ্দিন; চলতি সপ্তাহে সম্ভবত ৩রা জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে তৃণমূল বিধায়ক খুনে অভিযুক্ত বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের আগাম জামিনের মামলায় শুনানি হতে পারে। নিহত বিধায়কের স্ত্রীর নিম্ন আদালতে পুনরায় তদন্তের আবেদন মঞ্জুর হওয়ায় মুকুল রায় তড়িঘড়ি কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছেন বলে প্রকাশ। ২০১৭ সালে নভেম্বর মাসের পর একদা তৃনমূলের ‘চাণক্য’ মুকুল রায় দলবদলের পর রাজনৈতিক আক্রোশে ২৫ টি ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই ১২ টি মামলা আদালতের তরফে খারিজ হয়েছে। এইমুহূর্তে সরশুনায় রেলবোর্ড প্রতারণা মামলা, বড়বাজারে তোলাবাজির মামলার পাশাপাশি বীরভূমের লাভপুরের তিনভাই খুনের মামলার সাথে নদীয়ার তৃনমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে নাম জড়িয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়ের। প্রায় মামলায় আইনি রক্ষাকবচ মিললেও নদীয়ার বিধায়ক খুনে আইনি রক্ষাকবচ মেলেনি। উল্লেখ্য, এই খুনের মামলায় তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি নিম্ন আদালতে দ্বিতীয় পর্যায়ে পুনরায় তদন্তের আবেদন করলেও তা মঞ্জুর হয়নি। সেসময় অভিযুক্ত মুকুল রায় কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হলেও তা খারিজ হয়। কেননা নিম্ন আদালতে সিআইডির আবেদনটি খারিজ হয় বলে। তবে সম্প্রতি নিহত বিধায়কের স্ত্রী দিপালী বিশ্বাস নিম্ন আদালতে সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে পুনরায় তদন্তের আর্জি রাখেন। তাতে সংশ্লিষ্ট এজলাসের বিচারক সেই আর্জি মঞ্জুর করায়, মুকুল রায়ের গ্রেপ্তারির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই তড়িঘড়ি কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদনটি রাখেন মুকুল রায়। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পূজার দিন সন্ধেবেলায় নদীয়ার হাঁসখালি এলাকায় এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। এই খুনে সুজিত মন্ডল এবং কার্তিক মন্ডল নামে দুজন এলাকাবাসী গ্রেপ্তার হয়। এই দুজন ছাড়াও নদীয়ার বিজেপির জেলা সভাপতি জগন্নাথ সরকার এবং বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়ের নাম জড়ায় মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে। এই খুনে পুলিশি নিস্ক্রিয়তার জন্য তৎকালীন ওসি অনিন্দ বসু সাময়িক বরখাস্ত হন। সেইসাথে নিহত বিধায়কের দেহরক্ষীও বরখাস্ত হন। বর্তমানে এই দুই পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছে। খুনের দিন নিহতের বিধায়কের সাথে দেহরক্ষী ছিলেন না। কেননা সেসময় ছুটিতে ছিলেন দেহরক্ষী। কেন দেহরক্ষীর ছুটি মঞ্জুর করা হয়েছিল। তাও পুলিশের বিভাগীয় তদন্তে বারবার উঠে এসেছে। এই খুনের মামলায় তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি নিম্ন আদালতে চার্জশিট দাখিল করে থাকে। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ে পুনরায় তদন্তের পিটিশন জানায় সংশ্লিষ্ট এজলাসে। সেসময় সেই পিটিশন খারিজ হয়। সম্প্রতি নিহতের স্ত্রী নিম্ন আদালতে পুনরায় তদন্তের আবেদন রাখেন। তাতে সেই আবেদন মঞ্জুর হয়। আর এতেই সিঁদুরে কালো মেঘ দেখে মুকুল শিবির। সেজন্য আগাম জামিন পেতে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হন মুকুলের আইনজীবী। চলতি সপ্তাহে সম্ভবত ৩রা জানুয়ারি বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হতে পারে।
চলতি সপ্তাহে বিধায়ক খুনে মুকুলের আগাম জামিনের শুনানি?
More from GeneralMore posts in General »
- Minimally Invasive Robotic Surgery at Narayana Hospital RN Tagore Hospital, Mukundupur, Offers Life-Changing Results for Ureteric Stone Patient….
- H.E. Dr. C.V. Ananda Bose, Hon’ble Governor of West Bengal, Inaugurates the AIU East Zone Vice Chancellors Meet 2024-2025 with JIS University as the Host University….
- আদিবাসী শিশু কল্যাণ বিদ্যাপীঠের ছাত্র-ছাত্রীদের সংগে এবার গোবরডাঙ্গা নকসা।
- কলকাতায় আইআইটি – জেইই এবং নিট কোচিংয়ে রাইস বানসাল এর নতুন উদ্যোগ…।
- নিউ দিল্লিতে কর্তব্য পথের নেতাজি মূর্তিতে লেফটেন্যান্ট পিল্লাইয়ের শ্রদ্ধা ও ভারতীয় সেনার সম্মান প্রদর্শন…..।
- এন্টোড কলকাতায় শিশু কিশোরদের শ্রবণ হ্রাস সমস্যার বৃদ্ধি মোকাবিলায় জাতীয় শ্রবণ সপ্তাহের আয়োজন করলো…।
Be First to Comment