সুজিৎ চট্টোপাধ্যায়- কলকাতা, ২৯শে ডিসেম্বর,- ক্যান্সার শব্দেই আতঙ্ক অথচ আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে ,সঠিক সময়ে সঠিক পদ্ধতিতে চিকিৎসা করলে ক্যান্সারমুক্ত হওয়া যায়।কিন্তু জনসচেতনার অভাবে মানুষ আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন। ক্যান্সার রোগে রোগী ও পরিজন ওষুধ পথ্যের পাশাপাশি মানসিক দৃঢ়তার প্রয়োজন হয়। এই রোগে চিকিৎসা যেহেতু দীর্ঘসময় চলে তাই খরচের বহরও থাকে। অনেকে আবার রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর আস্থা না রাখতে পারে দক্ষিণ ভারতে যান। ফলে খরচ যেমন বাড়ে,তেমন সময় নষ্ট হয় আমরা ভুলে যাই এই চিকিৎসায় সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
শনিবার কলকাতায় মৌলালি যুবকেন্দ্রে অধুনা স্বামী বিবেকানন্দ অডিটোরিয়ামে হেমাটোলজি এডুকেশন এন্ড রিচার্চ ট্রাস্ট আয়োজন করে একটি সেমিনার ‘ জার্নি অফ হেমাটোলজিক্যাল পেসেন্টস টু আদার স্টেটস ফর ট্রিটমেন্ট’। আলোচনায় অংশ নেন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ,সমাজসেবী ও বুদ্ধিজীবী কয়েকজন। অংশ নেন রক্তবাহিত ক্যান্সার থেকে মুক্ত রোগী ও পরিজনেরা।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন প্রখ্যাত হেমাটোলজিস্ট ডঃ তুফান কান্তি দোলাই তিনি জানান রাজ্যে ঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করলে শিশুদের ক্ষেত্রে প্রায় নব্বই শতাংশ রোগীদের সুস্থ করা যায়। বড়দের ক্ষেত্রে প্রায় সত্তর শতাংশ। সরকারি ব্যবস্থায় আস্থা রাখলে খরচও কম হয়। ভিনরাজ্যে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
রক্তবাহিত ক্যান্সার আবিষ্কৃত হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়। শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয় নাইট্রোজেন মাস্টার গ্যাস। যা মানবদেহের রক্ত কণিকা নষ্ট করে দেয়। ফলশ্রুতি ব্লাড ক্যান্সার এরপর থেকে লিম্ফোমা ,লিউকোমিয়া চিকিৎসার গবেষণা শুরু হয়। এই মুহূর্তে প্রায় দুশো রকমের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন বিশ্বের বহু মানুষ সমীক্ষা বলছে বিশ্বে তৃতীয় ক্যান্সারে আক্রান্ত দেশ ভারত।একটু সচেতন হলে প্রায় তিরিশ শতাংশ রোগকে প্রতিহত করা যায় আধুনিক চিকিৎসায় কেমো থেরাপি ও বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট এর উন্নত প্রযুক্তি এখন বহু মানুষকে ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তি দিচ্ছে।
এই অনুষ্ঠানের শেষপর্যায়ে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন শ্রাবনী সেন।কত্থক নৃত্য পরিবেশন করে আম্রপালি ডান্স একাডেমি। আবৃত্তি পরিবেশন করে নারী সংস্থা উড়ান, নাটক পরিবেশন করে ফোর্থ বেল থিয়েটার গ্ৰুপ।
আশার কথা ,বিজ্ঞান দ্রুত গবেষণা চালাচ্ছে মানবদেহের চব্বিশ হাজার জিনের সফল চিত্রাঙ্কনের এবং জিনের বিকারে কি ক্যান্সার হয় তা চিহ্নিতকরণের। নতুন বছরে এই সাফল্য পেলে ঘটবে ক্যান্সার নামের অভিশপ্ত মারণরোগ থেকে চিরকালীন মুক্তি।
চতুর্থ বার্ষিক জাগরণ- ২০১৯
More from GeneralMore posts in General »
- বরানগরে তরুস্তুতি….।
- এটিএম কার্ড ফিরিয়ে দিল মঙ্গলকোটের ‘নিখোঁজ’ যুবক কে!….
- Your Summer Dishwashing Routine Made Simple…..
- প্রয়াত বিচারকের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোওয়ার আসর….।
- TV9 বাংলার নতুন নিউজ সিরিজ ‘বিপন্ন উত্তরবঙ্গ’….।
- কলকাতার গান এন্ড শেল ফ্যাক্টরি পরিদর্শনে প্রতিরক্ষা দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সঞ্জয় শেঠ….।
Be First to Comment