গোপাল দেবনাথ: কলকাতা, ২২মে, ২০২০। প্রায় দু মাস হল করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে দেশ সহ এই রাজ্যে টানা লকডাউন চলছে। মানুষের হাতে অর্থের সংস্থান নেই এরই মধ্যে হাজির ঘূর্ণিঝড় আমফান। এই ধরণের ধ্বংসলীলা আমাদের রাজ্য গত ২৫০ বছরের মধ্যে দেখেনি।
রাজ্যের দেড় কোটি মানুষ এই আমফানের শিকার হয়েছেন সেই সাথে এই সকল মানুষদের মাথার ছাদ ও চলে গেছে। মানুষ অসহায় অবস্থার মধ্যে আছেন। শহর কলকাতা এই আম ফানের প্রভাবে চূড়ান্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এই শহরের প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বড় গাছ ধ্বংস হয়ে গেছে। এই ঘূর্ণিঝড় বহু বাড়ি দেওয়াল সবই নষ্ট করে দিয়েছে। রাজ্যে ৮৬জন মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। আমাদের শহর কলকাতার শিশুদের প্রিয় জায়গা বিধান শিশু উদ্যান আজ প্রায় ধ্বংস স্তূপে পরিণত হয়েছে।
জননেতা অতুল্য ঘোষ প্রতিষ্ঠিত এই উদ্যানের সম্পাদক গৌতম তালুকদার জানালেন, এই উদ্যানের সীমানা বরাবর অন্তত তিন থেকে চারশ মিটার পাঁচিল পড়ে গেছে। অজস্র গাছ ভেঙ্গেছে। বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের খেলনাগুলো ভেঙ্গে গেছে। বহু টাকা খরচ করে বানানো টিনের সেডগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এই সেডগুলো মূলত মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস এবং মকটেস্টের জন্য ব্যবহৃত হোতো। জানিনা কবে এবং কিভাবে সবকিছু মেরামত করে বিধান শিশু উদ্যানকে তার আগের রূপে ফিরিয়ে নেওয়া যাবে।
সবচাইতে বিপজ্জনক বিষয়টি হোলো পাঁচিল ভেঙ্গে পড়া। আমাদের উদ্যানের দক্ষিণ দিকের পাঁচিলের পাশেই বেআইনি বস্তি। সেই দিক দিয়ে বাচ্চারা উদ্যানে ঢুকছে। তাদের মধ্যে কেউ গাছে উঠছে বা পুকুরে স্নান করছে।
একই অবস্থা উদ্যানের উত্তর দিকে। ও দিকের পাঁচিল ভেঙ্গেছে বেশ কিছুটা অংশ জুড়ে। বস্তিতে গিয়ে বাবা মায়েদের বলা হয়েছে তাদের বাচ্চাদের বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখতে। একইভাবে উদ্যানের উত্তর দিকের পুলিশ আবাসনের বড়দের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে বাচ্চাদের প্রতি একটু খেয়াল রাখবেন।
বিধান নিবাস, ঈশ্বরচন্দ্র নিবাস, এলিট আবাসন, স্কাইলাইনে বসবাসকারী আমাদের সকল শুভানুধ্যায়ীদের কাছে আবেদন – যতদূর সম্ভব আপনারা খেয়াল রাখবেন যাতে কেউ পাঁচিলের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে উদ্যানে বিপদ না ঘটায়।
এই পাঁচিল মেরামতের বিপুল অর্থের সংস্থান সময় সাপেক্ষ। আমাদের সমস্ত অভিভাবক অভিভাবিকাসহ শুভানুদ্ধায়ীদের কাছে সাহায্যের আবেদন রাখছি।
Be First to Comment