সুজিৎ চট্টোপাধ্যায়: কলকাতা,২রা ফেব্রুয়ারি ২০২০ মানবজাতির শুরুতে খাদ্য ছিল ঘাস ও ঘাস জাতীয় লতাপাতা। ফ্রান্স ও আফ্রিকার একদল গবেষক ৩০ লাখ বছর আগের মানুষের ফসিল নিয়ে গবেষণা করে এই সিদ্ধান্তে এসেছেন।এই গবেষণা প্রসিডিংস অফ দি নাশেনাল একাডেমী অফ সায়ন্সের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত হয়েছে। মাংস খাওয়ার চল অনেক পরে শুরু হয়। বেঁচে থাকার অন্যতম শর্ত খাদ্যগ্রহণ।বিবর্তনের সাথে সাথে মানুষ নতুন নতুন খাদ্য খুঁজে পেয়েছে। কাঁচা ফলমূল শাকসবজি,মাছ, মাংস থেকে আগুন আবিষ্কারের পর ঝলসে খাওয়ার চল শুরু। সভ্যতার বিবর্তনে চাষ আবাদ। মশলার আবিষ্কার। আজ বিবর্তনের চূড়ান্ত পর্যায়ে মানুষ ভেবেছে খাদ্য শুধু পেট ভরানোর বস্তু নয়।খাদ্য নির্মাণ ও খাদ্যের স্বাদ তৈরির এক প্রয়োজনীয়তা মানুষ বুঝতে শিখেছে। দুহাজার সাল থেকে চালু হয়েছে পপুলার ফুড অ্যান্ড ট্রেন্ড। দুহাজার সাত সালে খাদ্য তালিকায় যুক্ত হয়েছে কুল এইড পিকল। এই মুহূর্তে কেক পপ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।এতদিন রান্নার বই এর বাজার ছিল বিশ্বজোড়া। ইন্টারনেটের দৌলতে দুনিয়ায় দুনিয়ার খাদ্যরসিক এক হও স্লোগান তুলেছেন। গড়ে উঠছে ফুড ব্লগারদের দল। জনসংযোগ ও ইভেন্ট সংস্থা ক্যান্ডিড কমিউনিকেশন ও সিদ্দস হসপিটালিটির যৌথ উদ্যোগে খাদ্য সংরক্ষন ও অপচয় সংক্রান্ত এক আলোচনা হলো শুক্রবার মধ্য কলকাতার এক হোটেলের রুফটপে।
অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন ওহ মোমোর চিফ ব্র্যান্ড অফিসার মুরলীকৃষ্ণন,খাদ্য বিশেষজ্ঞ ও প্রধান শ্যেফ প্রিয়াঙ্কা এম, ফ্যাশন ডিজাইনার ইন্দ্রনীল মুখার্জি, সিদ্দস হসপিটালিটির পক্ষে অঙ্কুর সিদ্দিকী এবং বিশিষ্ঠ ফুড ব্লগার ইন্দ্রজিৎ লাহিড়ী, রুকসানা এ কাপাডিয়া, পুনম মুখার্জি, লুনা চ্যাটার্জি। আলোচনায় সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন ক্যান্ডিড কমিউনিকেশন এর পরিচালক পারমিতা ঘোষ। বাংলার খ্যাতনামা লেখক প্রয়াত মুজতবা আলী বলেছিলেন, পৃথিবীতে দু ধরণের মানুষ আছে, ভোজন পটু আর ভোজনবিলাসী। ফ্রান্সের ইতিহাসেও একই কথার প্রতিধ্বনি মেলে। সেখানে আছে গুর্মা ও গুর্মে। প্রথম পক্ষের মানুষজন খাওয়ার জন্য বাঁচেন। যা পান তাই খান। পেট ভরাটাই শেষ কথা। আর গুর্মেরা খাদ্যের গুণাগুণ, স্বাদ গন্ধ, ঠান্ডা গরম সম্পর্কে চুল চেরা বিশ্লেষণ করেন। কোন রান্নার কি তাপমাত্রা তাই নিয়েও খাদ্যের স্বাদ গন্ধ রং এর পরিবর্তন লক্ষ্য রাখেন।
পারমিতা জানান, আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি সঞ্ঝাঁচুলায় সেরা ব্লগারের পুরস্কার দেওয়া হবে ।প্রশ্ন উঠতে পারে ভবিষ্যতের পৃথিবীতে কি আর খাদ্য শিল্প হিসেবে কি থাকবে? কেননা সংবাদ সূত্র বলছে আমেরিকায় গবেষণাগারে তৈরি হয়েছে জুস প্লাস। এক ধরণের ট্যাবলেট। যা একটি খেলে সপ্তাহে পাঁচদিন ফল সবজি না খেলেও দেহ পুষ্টি পেয়ে যাবে। একটি বড়িতেই মিলবে ভিটামিন এর খনিজ উপাদান। চার মাসের প্যাকেজে মিলছে ।ভারতীয় টাকায় যার মূল্য কুড়ি হাজার টাকা।
Be First to Comment