সায়ন দেবনাথ : কলকাতা, ১০ অক্টোবর, ২০২৩। শারীরিক অসুস্থতার পাশাপাশি মানসিক রোগ সম্পর্কে সচেতনতার অভাব ও পারিবারিক অবহেলার কারণে প্রতিবছর বহু মানুষের মৃত্যু হয় বিশ্ব সহ এই দেশে। তাই মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ও মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে প্রতিবছর ১০ অক্টোবর পালিত হয় বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। ১৯৯২ সাল থেকে কিছু দেশ এই দিন থেকেই মানসিক রোগ সচেতনতা সপ্তাহ পালন করে। এবছর মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের মূল থিম হলো ‘মেন্টাল হেল ইস এ ইউনিভার্সাল হিউম্যান রাইটস’। অর্থাৎ মানসিক স্বাস্থ্য আমাদের মৌলিক অধিকার। সারা বিশ্বের মতো এই রাজ্যেও দিনটি পালিত হচ্ছে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে। কলকাতার যোধপুর পার্কের মিরাকেল ইনস্টিটিউট অফ সাইক্রিয়াটিতে পালিত হয় ‘কলকাতা মেন্টাল হেলথ অ্যাওয়ারনেস সিম্পোজিয়াম।’ যেখানে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ের উপদেষ্টা ও এস এস কে এম হাসপাতালের ইন্সটিটিউট অফ সাইকিয়াট্রির প্রাক্তন অধিকর্তা ডাক্তার প্রদীপ কুমার সাহা বলেন, ‘করোনা পরবর্তী সময়ে সারা বিশ্ব জুড়ে মানসিক অবসাদে মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে।
আগে যেখানে ৪০ সেকেন্ডে একজন করে আত্মহত্যা করত কোভিড পরবর্তী সময়ে ৩৪ সেকেন্ডে একজন করে মানুষ আত্মহত্যা করছেন ভয়ঙ্কর মানসিক অবসাদে। কোভিড অতিমারির পর এখন শুরু হয়েছে অবসাদের অতিমারি।
তিনি বলেন, মানসিক অবসাদ কাটাতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি যদি দেখা যায় কেউ স্বাভাবিক আচরণ করছে না, খিদে কমে গেছে, ঘুম কমে গেছে তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন ।
মুম্বাইয়ের বিশিষ্ট মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডক্টর নিলেশ সাহা বলেন, সময় যত যাচ্ছে বড়োদের পাশাপাশি ছোটোদের মধ্যেও নানা চিন্তা সংক্রান্ত রোগ বা এংজাইটি ডিসওর্ডার বাড়ছে। এ ব্যাপারেও সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নিয়মিত ওষুধ সেবন, কাউন্সিলিং ও যোগার মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অশোক নাথ বসু, প্রাক্তন ডিন দীপঙ্কর ঘোষ এবং স্থনীয় কাউন্সিলর মৌসুমী দাস। এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চে যে সকল সাধারন মানুষ এই প্রতিষ্ঠান থেকে চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে সুস্থ আছেন সেইসব মানুষ তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
Be First to Comment